ঢাকায় গাড়ি চুরির সিন্ডিকেট by রুদ্র মিজান
রাজধানী
ও এর আশপাশে ছড়িয়ে আছে শতাধিক গাড়িচোর চক্র। নানা কৌশলে গাড়ি চুরি করাই
তাদের কাজ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে প্রায়ই গ্রেপ্তার হয় চোররা। কিছুদিন
কারাভোগ করে। আবার জামিন নিয়ে বের হয়ে ফের আগের কাজে লিপ্ত হয় চোর চক্রের
সদস্যরা। দিন দিন তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তে অগ্রসর হচ্ছে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অন্যদিকে, নিত্য-নতুন কৌশল অবলম্বন করছে চোর চক্র।
প্রতি মাসেই একাধিক চোর গ্রেপ্তার হলেও থামছে না চুরি। গত তিন মাসে প্রায়
একশ’ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গত জুন মাসে গ্রেপ্তার
করা হয়েছে ২৩ চোরকে। মামলা হয়েছে ৩১টি। ১৩টি প্রাইভেটকার, ছয়টি জিপসহ
উদ্ধার হয়েছে ৫৬টি গাড়ি। মে মাসে গাড়ি চুরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার
করা হয়েছে ৩৯ জনকে, মামলা হয়েছে ৪৪টি। উদ্ধার হয়েছে ৫১টি গাড়ি। এপ্রিলে
গ্রেপ্তার হয়েছে ৩০ জন, মামলা হয়েছে ৪০টি। গাড়ি উদ্ধার হয়েছে ৬৮টি।
চোরদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে গাজীপুর এলাকায়। প্রায় ১০-১৫ জনের এই সিন্ডিকেটটি বিভিন্ন কৌশলে চুরি করে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি হলেও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে তারা। সম্প্রতি ডিবির অভিযানে গ্রেপ্তার চোর চক্রের এক সদস্য পুলিশকে জানিয়েছে, যারা এই চক্রে যোগ দেয় শুরুতে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণকালে চুরির সময় তাকে ঘটনাস্থলের আশপাশে রাখা হয়। বিশেষ করে পার্কিং করা গাড়ি চুরির সময় তার দায়িত্ব থাকে লোকজন কেউ ওই দিকে এলো কি-না তা নজরদারি করা। নেত্রকোনা সদরের বালিচুরির চান মিয়াকে এভাবেই প্রশিক্ষণ দিতো চক্রের বড় ভাইয়েরা। এমনকি বাসায় বসেই প্রশিক্ষণ দেয়া হতো কিভাবে মুহূর্তের মধ্যেই গাড়ির লক খোলা যায়। প্রাইভেট কার, জিপ, সিএনজি অটোরিকশা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চুরি করে তারা। এই চক্র অভিনব পন্থায় মোটরসাইকেল ছিনতাই করতো।
জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের সদস্যরা জানিয়েছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইশারা দিয়ে মোটরসাইকেল থামানো হতো। এমনভাবে ইশারা করা হতো মনে হতো তারা ডিবি পুলিশের সদস্য। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশের পোশাক পরেই নির্জন রাস্তায় অবস্থান নিতো তারা। মোটরসাইকেল থামানো মাত্রই তার কাগজপত্র তল্লাশি করতো। এরমধ্যেই অস্ত্র দেখিয়ে জিম্মি করে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিতো। কখনো কখনো মোটরসাইকেল থামানোর পরপর মামলা আছে জানিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়া হয়। টেনেহিঁচড়ে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মূল সড়ক থেকে গলিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর শুধু মোটরসাইকেল না, সর্বস্ব লুটে নেয় চক্রের সদস্যরা।
এই চক্রের সদস্য কিশোরগঞ্জের খিলপাড়ার আবদুল আলিমের তথ্যানুসারে চক্রটি বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে ছিনতাই করে। এক্ষেত্রে কৌশলে চা, জুস ও ডাবের পানির সঙ্গে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট খাইয়ে অজ্ঞান করা হয় চালককে। নির্জন রাস্তায় চালককে ফেলে গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা।
তিনশ’ ফিট, উত্তরার জসিমউদ্দিন মোড়, মিরপুরের ষাট ফিট, রূপনগর, বিরুলিয়া বাঁধ, টঙ্গী এলাকা থেকে প্রায়ই গাড়ি ছিনতাই করে এই চক্র। এরকম শতাধিক চক্র রয়েছে ঢাকায়। বড় চক্রের মধ্যে আরেকটি চক্র রয়েছে রামপুরা, খিলগাঁও এলাকায়। ওই চক্রে আবদুল বারেকসহ অন্তত ১৫-১৬ জন সদস্য রয়েছে। এছাড়াও যাত্রাবাড়ী, নারায়ণগঞ্জে রয়েছে আরো কয়েক চক্র। মোহাম্মদপুরে আজহারুল ইসলাম, মিজান মিয়া, ইসমাইল, মজনুর সমন্বয়ে রয়েছে একটি চক্র। এছাড়াও আবদুর রশিদ, তরিকুল, আবদুল হালিমসহ প্রায় ২০ জনের একটি চক্র রয়েছে বসিলা, কেরানীগঞ্জ এলাকায়। ইতিমধ্যে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলো এই চক্রের সদস্যরা। সূত্রে জানা গেছে, কারাগার থেকে বের হয়ে ফের একই অপকর্মে লিপ্ত হয় তারা।
এসব চক্রের চোরাই গাড়ি বিক্রির জন্য রয়েছে আরেক পার্টি। তারা গাড়ির চেসিস নম্বর পরিবর্তনসহ ভুয়া কাগজপত্র তৈরির কাজটিও করে। পাঞ্চ মেশিনের গাড়ির চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর পরিবর্তন করে বিআরটিএ’র অসাধু কর্মকর্তা ও দালালের মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে গাড়িগুলো বিক্রি করে। কিছু সিএনজি অটোরিকশার ক্ষেত্রে মালিকের সঙ্গে দালালের মাধ্যমে যোগাযোগ করে টাকা নিয়ে তা ফেরত দেয় গাড়ি চোরেরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে নানা কৌশল অবলম্বন করে তারা। দিনে যে ফোন ব্যবহার করে রাতে ওই ফোনটি বন্ধ রাখে তারা। এমনকি ফোন চালু রেখে দীর্ঘ সময় কোথাও অবস্থান করে না। ডিএমপ্থির গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নিশাত রহমান মিথুন বলেন, চোররা নানা কৌশল অবলম্বন করে। তারপরও আমরা প্রায়ই তাদের গ্রেপ্তার করছি। গাড়ি জব্দ করছি। গাড়ি চুরি প্রতিরোধ করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
চোরদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে গাজীপুর এলাকায়। প্রায় ১০-১৫ জনের এই সিন্ডিকেটটি বিভিন্ন কৌশলে চুরি করে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি হলেও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে তারা। সম্প্রতি ডিবির অভিযানে গ্রেপ্তার চোর চক্রের এক সদস্য পুলিশকে জানিয়েছে, যারা এই চক্রে যোগ দেয় শুরুতে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণকালে চুরির সময় তাকে ঘটনাস্থলের আশপাশে রাখা হয়। বিশেষ করে পার্কিং করা গাড়ি চুরির সময় তার দায়িত্ব থাকে লোকজন কেউ ওই দিকে এলো কি-না তা নজরদারি করা। নেত্রকোনা সদরের বালিচুরির চান মিয়াকে এভাবেই প্রশিক্ষণ দিতো চক্রের বড় ভাইয়েরা। এমনকি বাসায় বসেই প্রশিক্ষণ দেয়া হতো কিভাবে মুহূর্তের মধ্যেই গাড়ির লক খোলা যায়। প্রাইভেট কার, জিপ, সিএনজি অটোরিকশা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চুরি করে তারা। এই চক্র অভিনব পন্থায় মোটরসাইকেল ছিনতাই করতো।
জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের সদস্যরা জানিয়েছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইশারা দিয়ে মোটরসাইকেল থামানো হতো। এমনভাবে ইশারা করা হতো মনে হতো তারা ডিবি পুলিশের সদস্য। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশের পোশাক পরেই নির্জন রাস্তায় অবস্থান নিতো তারা। মোটরসাইকেল থামানো মাত্রই তার কাগজপত্র তল্লাশি করতো। এরমধ্যেই অস্ত্র দেখিয়ে জিম্মি করে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিতো। কখনো কখনো মোটরসাইকেল থামানোর পরপর মামলা আছে জানিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়া হয়। টেনেহিঁচড়ে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মূল সড়ক থেকে গলিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর শুধু মোটরসাইকেল না, সর্বস্ব লুটে নেয় চক্রের সদস্যরা।
এই চক্রের সদস্য কিশোরগঞ্জের খিলপাড়ার আবদুল আলিমের তথ্যানুসারে চক্রটি বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে ছিনতাই করে। এক্ষেত্রে কৌশলে চা, জুস ও ডাবের পানির সঙ্গে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট খাইয়ে অজ্ঞান করা হয় চালককে। নির্জন রাস্তায় চালককে ফেলে গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা।
তিনশ’ ফিট, উত্তরার জসিমউদ্দিন মোড়, মিরপুরের ষাট ফিট, রূপনগর, বিরুলিয়া বাঁধ, টঙ্গী এলাকা থেকে প্রায়ই গাড়ি ছিনতাই করে এই চক্র। এরকম শতাধিক চক্র রয়েছে ঢাকায়। বড় চক্রের মধ্যে আরেকটি চক্র রয়েছে রামপুরা, খিলগাঁও এলাকায়। ওই চক্রে আবদুল বারেকসহ অন্তত ১৫-১৬ জন সদস্য রয়েছে। এছাড়াও যাত্রাবাড়ী, নারায়ণগঞ্জে রয়েছে আরো কয়েক চক্র। মোহাম্মদপুরে আজহারুল ইসলাম, মিজান মিয়া, ইসমাইল, মজনুর সমন্বয়ে রয়েছে একটি চক্র। এছাড়াও আবদুর রশিদ, তরিকুল, আবদুল হালিমসহ প্রায় ২০ জনের একটি চক্র রয়েছে বসিলা, কেরানীগঞ্জ এলাকায়। ইতিমধ্যে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলো এই চক্রের সদস্যরা। সূত্রে জানা গেছে, কারাগার থেকে বের হয়ে ফের একই অপকর্মে লিপ্ত হয় তারা।
এসব চক্রের চোরাই গাড়ি বিক্রির জন্য রয়েছে আরেক পার্টি। তারা গাড়ির চেসিস নম্বর পরিবর্তনসহ ভুয়া কাগজপত্র তৈরির কাজটিও করে। পাঞ্চ মেশিনের গাড়ির চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর পরিবর্তন করে বিআরটিএ’র অসাধু কর্মকর্তা ও দালালের মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে গাড়িগুলো বিক্রি করে। কিছু সিএনজি অটোরিকশার ক্ষেত্রে মালিকের সঙ্গে দালালের মাধ্যমে যোগাযোগ করে টাকা নিয়ে তা ফেরত দেয় গাড়ি চোরেরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে নানা কৌশল অবলম্বন করে তারা। দিনে যে ফোন ব্যবহার করে রাতে ওই ফোনটি বন্ধ রাখে তারা। এমনকি ফোন চালু রেখে দীর্ঘ সময় কোথাও অবস্থান করে না। ডিএমপ্থির গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নিশাত রহমান মিথুন বলেন, চোররা নানা কৌশল অবলম্বন করে। তারপরও আমরা প্রায়ই তাদের গ্রেপ্তার করছি। গাড়ি জব্দ করছি। গাড়ি চুরি প্রতিরোধ করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
No comments