'এটা জাস্ট হ্যারাসমেন্ট'
পানামা
পেপারসে ইউনাইটেড গ্রুপের কোনো পরিচালকের নাম নেই বলে দাবি করেছেন গ্রুপের
চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা। আজ দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীর চক্রান্তে হয়রানি করা হচ্ছে
বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। হাসান মাহমুদ রাজা সাংবাদিকদের বলেন, পানামা
পেপারসে আমাদের কোনো নাম নেই। এসব আমরা চেক করে দেখেছি। আপনারাও ওয়েবসাইটে
গিয়ে দেখতে পারেন। এটা জাস্ট হ্যারাসমেন্ট। দুদকের উপপরিচালক এস এম এম
আখতার হামিদ ভূঁঞার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হাসান মাহমুদ রাজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এরপর দুপুরেই দুদকের সচিব মো. শামসুল আরেফিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কাউকেই হয়রানি করা হচ্ছে না। দুদক কাউকে হয়রানি করে না, হয়রানি করার সুযোগও নেই। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখানে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে দেখা হবে। এদিকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে হাসান মাহমুদ রাজা বলেন, পানামা পেপারসে আমাদের কোনো নাম নেই। এসব আমরা চেক করে দেখেছি। এটা একটি পত্রিকা লিখেছিল যে আমাদের নাকি নাম আছে। ২০১৬ সালে পানামা পেপারস প্রকাশ পেয়েছিল। আমাদের তো এখন ডাকার কথা না। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছিল, তাদের ডাকা হয়েছিল। তখন আমাদের ডাকেনি। আমাদের কমপিটিটর উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের নাম প্রকাশ করেছে। আপনারাও ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারেন। আমাকে জিজ্ঞেস করার কিছু নেই। এটা জাস্ট হ্যারাসমেন্ট। আমাদের আয়করের সব নথি জমা দিতে বলেছে। পানামা পেপারসে নাম আসায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ছাড়াও ইউনাইটেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মাল্টি ট্রেড মার্কেটিং লিমিডেটের পরিচালক খন্দকার মঈনুল আহসান, আহমেদ ইসমাইল হোসেন ও আকতার মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) সম্প্রতি ‘পানামা পেপারস’ নামে নথি প্রকাশ করে। যেখানে ১ কোটি ১০ লাখ নথি ফাঁস করা হয়। ওই তালিকায় বিশ্বের প্রভাবশালী কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধানসহ শতাধিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও আত্মীয়-স্বজনের কর ফাঁকি দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। কর ফাঁকি ও অর্থপাচার সংক্রান্ত সাড়া জাগানো এ কেলেঙ্কারিতে এ যাবৎ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীসহ ৩৪ বাংলাদেশি ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের নামও উঠে এসেছে ফাঁস হওয়া তথ্যে। অভিযোগ অনুসন্ধানে ২০১৬ সালের এপ্রিলে দুদকের উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঁঞাকে প্রধান করে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করে দুদক। অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদকের সহকারী পরিচালক মজিবুর রহমান ও উপ-সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাত। এরপর ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্যারাডাইস পেপারসের প্রায় ২৫ হাজার নথি প্রকাশ করা হয়। যেখানে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে। এদের মধ্যে বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। ওই বছরের ৫ই নভেম্বর প্রথম দফায় প্রকাশ করা নথিতে যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজসহ বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির গোপন সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসে। তবে সেখানে কোনো বাংলাদেশির নাম ছিল না।
এরপর দুপুরেই দুদকের সচিব মো. শামসুল আরেফিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কাউকেই হয়রানি করা হচ্ছে না। দুদক কাউকে হয়রানি করে না, হয়রানি করার সুযোগও নেই। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখানে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে দেখা হবে। এদিকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে হাসান মাহমুদ রাজা বলেন, পানামা পেপারসে আমাদের কোনো নাম নেই। এসব আমরা চেক করে দেখেছি। এটা একটি পত্রিকা লিখেছিল যে আমাদের নাকি নাম আছে। ২০১৬ সালে পানামা পেপারস প্রকাশ পেয়েছিল। আমাদের তো এখন ডাকার কথা না। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছিল, তাদের ডাকা হয়েছিল। তখন আমাদের ডাকেনি। আমাদের কমপিটিটর উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের নাম প্রকাশ করেছে। আপনারাও ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারেন। আমাকে জিজ্ঞেস করার কিছু নেই। এটা জাস্ট হ্যারাসমেন্ট। আমাদের আয়করের সব নথি জমা দিতে বলেছে। পানামা পেপারসে নাম আসায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ছাড়াও ইউনাইটেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মাল্টি ট্রেড মার্কেটিং লিমিডেটের পরিচালক খন্দকার মঈনুল আহসান, আহমেদ ইসমাইল হোসেন ও আকতার মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) সম্প্রতি ‘পানামা পেপারস’ নামে নথি প্রকাশ করে। যেখানে ১ কোটি ১০ লাখ নথি ফাঁস করা হয়। ওই তালিকায় বিশ্বের প্রভাবশালী কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধানসহ শতাধিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও আত্মীয়-স্বজনের কর ফাঁকি দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। কর ফাঁকি ও অর্থপাচার সংক্রান্ত সাড়া জাগানো এ কেলেঙ্কারিতে এ যাবৎ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীসহ ৩৪ বাংলাদেশি ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের নামও উঠে এসেছে ফাঁস হওয়া তথ্যে। অভিযোগ অনুসন্ধানে ২০১৬ সালের এপ্রিলে দুদকের উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঁঞাকে প্রধান করে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করে দুদক। অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদকের সহকারী পরিচালক মজিবুর রহমান ও উপ-সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাত। এরপর ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্যারাডাইস পেপারসের প্রায় ২৫ হাজার নথি প্রকাশ করা হয়। যেখানে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে। এদের মধ্যে বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। ওই বছরের ৫ই নভেম্বর প্রথম দফায় প্রকাশ করা নথিতে যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজসহ বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির গোপন সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসে। তবে সেখানে কোনো বাংলাদেশির নাম ছিল না।
No comments