শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন, ‘ধর্ষণের পর হত্যা’
হত্যাকাণ্ডের
দু’দিন শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ পেয়েছে সুরতহাল রিপোর্ট। যেখানে
চট্টগ্রামের সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়ার ওপর
চালানো ভয়াবহ নির্যাতনের চিত্র উঠে এসেছে। তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিনের
দাবি, গণধর্ষণের পর তাসফিয়াকে হত্যা করা হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সদর ডেইলপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্নের পর শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন মোহাম্মদ আমিন। তিনি বলেন, তাসফিয়ার গোপনাঙ্গে পাষণ্ডদের গণধর্ষণের ছাপ রয়েছে।
তিনি বলেন, আদনান মির্জা ও তার বন্ধুরা মিলে তাসফিয়ার ওপর গণধর্ষণ চালিয়েছে। এরপর তার বুকে, পিঠে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে অত্যন্ত গোপনে তাসফিয়ার লাশ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের নেভালে ফেলে দিয়েছে।
তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিনের দেয়া তথ্যের সঙ্গে মিল রয়েছে সিআইডির প্রদত্ত সুরতহাল প্রতিবেদনেও। প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে তাসফিয়ার ওপর চালানো নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র। নিহত তাসফিয়ার পিঠজুড়ে রয়েছে অসংখ্য আঘাত। বুক ও সপর্শকাতর অঙ্গসহ সব স্থানেই আঁচড়ের দাগ রয়েছে। এ ছাড়া মুখমণ্ডল থেঁতলানো, চোখ দুটোও নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। নিহতের হাতের নখগুলোও ছিল নীলবর্ণ। সুরতহাল রিপোর্টের এ তথ্য প্রকাশ করেছেন পতেঙ্গা মডেল থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার।
তিনি জানান, তাসফিয়ার বয়স ১৫ বছর। চট্টগ্রাম নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী। চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডে নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকায় মা-বাবার সঙ্গে থাকে তাসফিয়া। তার বাবা মোহাম্মদ আমিন একজন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী।
গত ২রা মে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের নেভালে ১৮ নম্বর ব্রিজের উত্তর পাশে পাথরের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকা তাসফিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে তার পরিচয় পাওয়া না গেলেও বুধবার দুপুরের দিকে থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন বাবা মোহাম্মদ আমিন।
বাবার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বুধবার রাতে তাসফিয়ার প্রেমিক আদনান মির্জা (১৬) কে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদনান মির্জা ও তার ৬ বন্ধুকে আসামি করে মোহাম্মদ আমিন পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এর আগে তাসফিয়ার লাশ উদ্ধারের সময় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন পতেঙ্গা থানার এসআই মোহাম্মদ আনোয়ার। আর যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন সিআইডি।
পতেঙ্গা থানার এসআই মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুমন মুর্শিদীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম দীর্ঘ এক ঘণ্টা সময় নিয়ে ময়নাতদন্ত শেষ করেন। বৃহস্পতিবার বিকালে তাসফিয়ার লাশ তার বাবার হাতে তুলে দেয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে লাশ নিয়ে টেকনাফে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে মোহাম্মদ আমিন। সেখানে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাতে হাজার হাজার মানুষের জানাজা শেষে তাসফিয়ার লাশ দাফন করা হয়।
তাসফিয়ার চাচা নুরুল আমিন বলেন, আদনান কথিত বড় ভাই ও তার তৈরি করা রিচকিডস গ্যাংয়ের সদস্যরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় তারা হত্যা করে লাশটি সমুদ্র উপকূলে ফেলেছে, যাতে তাদের কেউ ধরতে না পারে। এরা শুধু একজন বা দু’জন নয়। এই গ্যাংস্টার গ্রুপের অনেক সদস্যই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। আদনানকে তিনি ঠান্ডা মাথার খুনি বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ফেসবুকে পরিচয় থেকে আদনানের সঙ্গে তাসফিয়ার প্রেম গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানির পর তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন আদনানকে ডেকে শাসিয়ে দেয় এবং তাসফিয়ার পথ থেকে সরে যেতে কড়া নির্দেশ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আদনান তাসফিয়াকে গণধর্ষণের পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার বিকালে তাসফিয়া কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে আমিন তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আদনানের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। আদনান এ সময় নগরীর গোলপাহাড় মোড়ের চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পর বাসায় আসার জন্য তাসফিয়াকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেয়ার পর কিছুই জানে না বলে জানান। পরে মঙ্গলবার রাতে আদনানকে অভিযুক্ত করে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আমিন।
এরপর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ আদনানকে আটক করে নিয়ে এলেও এক ঘণ্টা পর তার সন্ত্রাসী দুই বড় ভাই ফিরোজ ও আকরাম চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার প্রভাব খাটিয়ে আদনানকে ছাড়িয়ে নেয়। আর পরদিন বুধবার তাসফিয়ার লাশ পাওয়া যায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে।
সুরতহাল রিপোর্ট ও তথ্য-উপাত্ত থেকে পুলিশ বুধবার রাতে আবার আদনানকে গ্রেপ্তার করে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদনান ও তার ৬ বন্ধুর নামে থানায় হত্যা মামলা করে পুলিশ। এরপর সন্ধ্যায় আদনানকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয়। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলেও আদালত ৬ই মে রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আদনানকে কারাগারে পাঠায় বলে জানান পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, বুধবার দিনগত মধ্যরাতে নগরীর দক্ষিণ খুলশীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে আদনান মির্জাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয়েছে মোবাইল ফোন সেট। তার মোবাইলের কললিস্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য অ্যাপসের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত আদনানের বন্ধুরা পলাতক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ইস্কান্দর মির্জার ছেলে আদনান মির্জা। থাকে দক্ষিণ খুলশী এলাকায়। নগরীর বাংলাদেশ অ্যালিমেন্টারি স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে সে। তার রয়েছে একটি কিশোর গ্যাং।
ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সদর ডেইলপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্নের পর শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন মোহাম্মদ আমিন। তিনি বলেন, তাসফিয়ার গোপনাঙ্গে পাষণ্ডদের গণধর্ষণের ছাপ রয়েছে।
তিনি বলেন, আদনান মির্জা ও তার বন্ধুরা মিলে তাসফিয়ার ওপর গণধর্ষণ চালিয়েছে। এরপর তার বুকে, পিঠে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে অত্যন্ত গোপনে তাসফিয়ার লাশ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের নেভালে ফেলে দিয়েছে।
তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিনের দেয়া তথ্যের সঙ্গে মিল রয়েছে সিআইডির প্রদত্ত সুরতহাল প্রতিবেদনেও। প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে তাসফিয়ার ওপর চালানো নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র। নিহত তাসফিয়ার পিঠজুড়ে রয়েছে অসংখ্য আঘাত। বুক ও সপর্শকাতর অঙ্গসহ সব স্থানেই আঁচড়ের দাগ রয়েছে। এ ছাড়া মুখমণ্ডল থেঁতলানো, চোখ দুটোও নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। নিহতের হাতের নখগুলোও ছিল নীলবর্ণ। সুরতহাল রিপোর্টের এ তথ্য প্রকাশ করেছেন পতেঙ্গা মডেল থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার।
তিনি জানান, তাসফিয়ার বয়স ১৫ বছর। চট্টগ্রাম নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী। চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডে নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকায় মা-বাবার সঙ্গে থাকে তাসফিয়া। তার বাবা মোহাম্মদ আমিন একজন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী।
গত ২রা মে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের নেভালে ১৮ নম্বর ব্রিজের উত্তর পাশে পাথরের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকা তাসফিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে তার পরিচয় পাওয়া না গেলেও বুধবার দুপুরের দিকে থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন বাবা মোহাম্মদ আমিন।
বাবার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বুধবার রাতে তাসফিয়ার প্রেমিক আদনান মির্জা (১৬) কে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদনান মির্জা ও তার ৬ বন্ধুকে আসামি করে মোহাম্মদ আমিন পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এর আগে তাসফিয়ার লাশ উদ্ধারের সময় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন পতেঙ্গা থানার এসআই মোহাম্মদ আনোয়ার। আর যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন সিআইডি।
পতেঙ্গা থানার এসআই মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুমন মুর্শিদীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম দীর্ঘ এক ঘণ্টা সময় নিয়ে ময়নাতদন্ত শেষ করেন। বৃহস্পতিবার বিকালে তাসফিয়ার লাশ তার বাবার হাতে তুলে দেয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে লাশ নিয়ে টেকনাফে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে মোহাম্মদ আমিন। সেখানে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাতে হাজার হাজার মানুষের জানাজা শেষে তাসফিয়ার লাশ দাফন করা হয়।
তাসফিয়ার চাচা নুরুল আমিন বলেন, আদনান কথিত বড় ভাই ও তার তৈরি করা রিচকিডস গ্যাংয়ের সদস্যরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় তারা হত্যা করে লাশটি সমুদ্র উপকূলে ফেলেছে, যাতে তাদের কেউ ধরতে না পারে। এরা শুধু একজন বা দু’জন নয়। এই গ্যাংস্টার গ্রুপের অনেক সদস্যই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। আদনানকে তিনি ঠান্ডা মাথার খুনি বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ফেসবুকে পরিচয় থেকে আদনানের সঙ্গে তাসফিয়ার প্রেম গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানির পর তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন আদনানকে ডেকে শাসিয়ে দেয় এবং তাসফিয়ার পথ থেকে সরে যেতে কড়া নির্দেশ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আদনান তাসফিয়াকে গণধর্ষণের পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার বিকালে তাসফিয়া কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে আমিন তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আদনানের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। আদনান এ সময় নগরীর গোলপাহাড় মোড়ের চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পর বাসায় আসার জন্য তাসফিয়াকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেয়ার পর কিছুই জানে না বলে জানান। পরে মঙ্গলবার রাতে আদনানকে অভিযুক্ত করে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আমিন।
এরপর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ আদনানকে আটক করে নিয়ে এলেও এক ঘণ্টা পর তার সন্ত্রাসী দুই বড় ভাই ফিরোজ ও আকরাম চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার প্রভাব খাটিয়ে আদনানকে ছাড়িয়ে নেয়। আর পরদিন বুধবার তাসফিয়ার লাশ পাওয়া যায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে।
সুরতহাল রিপোর্ট ও তথ্য-উপাত্ত থেকে পুলিশ বুধবার রাতে আবার আদনানকে গ্রেপ্তার করে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদনান ও তার ৬ বন্ধুর নামে থানায় হত্যা মামলা করে পুলিশ। এরপর সন্ধ্যায় আদনানকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয়। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলেও আদালত ৬ই মে রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আদনানকে কারাগারে পাঠায় বলে জানান পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, বুধবার দিনগত মধ্যরাতে নগরীর দক্ষিণ খুলশীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে আদনান মির্জাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয়েছে মোবাইল ফোন সেট। তার মোবাইলের কললিস্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য অ্যাপসের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত আদনানের বন্ধুরা পলাতক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ইস্কান্দর মির্জার ছেলে আদনান মির্জা। থাকে দক্ষিণ খুলশী এলাকায়। নগরীর বাংলাদেশ অ্যালিমেন্টারি স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে সে। তার রয়েছে একটি কিশোর গ্যাং।
No comments