যৌন কেলেঙ্কারির জের সাহিত্যে নোবেল স্থগিত
এ
বছরের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থী
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রভাবশালী এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন ও আর্থিক
কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার
প্রদানের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান সুইডিশ একাডেমি। এ বছরের পুরস্কার
‘রিজার্ভ’ রাখা হবে। পরবর্তী বছর ২০১৯ সালে সাহিত্যে দুইটি পুরস্কার ঘোষণা
করা হবে। শুক্রবার সকালে এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এ খবর
দিয়েছে সিএনএন।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকালে বৈঠকে বসে সুইডিশ একাডেমির ১০ সদস্য। তারা ২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার সকালে দেয়া বিবৃতিতে সুইডিশ একাডেমির সেক্রেটারি বলেন, আমরা মনে করি, নতুন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করার আগে মানুষের আস্থা অর্জন করা জরুরি। স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত অন্যান্য বিষয়ে নোবেল পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। পুরস্কার স্থগিত করার বিষয়ে সুইডিশ একাডেমির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে নোবেল কমিটি। সংস্থাটি বলেছে, সুইডিশ একাডেমিতে সৃষ্ট সঙ্কট নোবেল পুরস্কারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘ মেয়াদে নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবে। এই পদক্ষেপ ২০১৮ সালে অন্যান্য ক্যাটাগরিতে নোবেল পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
সংকটের একেবারে কেন্দ্রে আছেন ফরাসি ফটোগ্রাফার জিন-ক্লড আর্নল্ট। তিনি একাডেমির কমিটি সদস্য কাটারিনা ফ্রস্টেনসন এর স্বামী। এছাড়া তিনি একাডেমির অর্থায়নে একটি সাংস্কৃতিক প্রকল্প চালিয়েছেন। কিন্তু সমপ্রতি তার বিরুদ্ধে যৌন হামলার অভিযোগ আনে একাডেমির ১৮ নারী কর্মী। তারা অভিযোগ এনেছে, আর্নল্ট বিভিন্ন সময়ে তাদের যৌন হয়রানি করেছেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে দু’জন সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন। আর্নল্টের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হচ্ছে, তিনি সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টরিয়াকেও অযাচিতভাবে সপর্শ করেছেন। আর্নল্ট অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে আর্নল্টের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সুইডিশ একাডেমি। এ অবস্থায়, সামপ্রতিক সপ্তাহগুলোতে, পদত্যাগ করেছেন সুইডিশ একাডেমির ছয় সদস্য। অনেকে পদত্যাগ করার পেছনে কারণ ছিল, এই সংকট সামলাতে একাডেমির দুর্বল মোকাবিলা। পদত্যাগ করা সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, একাডেমির প্রধান অধ্যাপক সারা ড্যানিয়াস ও আর্নল্টের স্ত্রী ফ্রস্টেনসন। পরবর্তীতে অবশ্য এক বৈঠকে কমিটির সদস্যরা আর্নল্টের স্ত্রী ফ্রস্টেনসনকে সরিয়ে দেয়ার বিপক্ষে ভোট দেন।
সুইডিশ একাডেমির সদস্যরা চাইলেই আজীবন সদস্যপদ থাকার কারণে পদত্যাগ করতে পারেন না। এর জন্য দরকার সুইডেনের রাজার অনুমোদন। তিনি সমপ্রতি জানিয়েছেন, সদস্যদের পদত্যাগ করার সুবিধার্থে এই নিয়মে পরিবর্তন আনা হবে। সব মিলিয়ে বর্তমানে কমিটি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। এই ১১ জনের মধ্যে একজন হচ্ছেন কার্স্টিং একমান। তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে নিষ্ক্রিয় সদস্য হিসেবে রয়েছেন। কোনো ধরনের কার্যক্রমে তাকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় না। নতুন সদস্য নিয়োগ দেয়ার জন্য কমিটি সংবিধি অনুসারে অন্তত ১২ জনের ভোটের প্রয়োজন হয়।
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার না দেয়া বা স্থগিত রাখার ঘটনা এইবারই প্রথম ঘটেনি। এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ছয় বছর পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল। এছাড়া, ১৯৩৫ সালে কোন যোগ্য প্রার্থী না থাকায় পুরস্কার প্রদান করা হয়নি।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকালে বৈঠকে বসে সুইডিশ একাডেমির ১০ সদস্য। তারা ২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার সকালে দেয়া বিবৃতিতে সুইডিশ একাডেমির সেক্রেটারি বলেন, আমরা মনে করি, নতুন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করার আগে মানুষের আস্থা অর্জন করা জরুরি। স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত অন্যান্য বিষয়ে নোবেল পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। পুরস্কার স্থগিত করার বিষয়ে সুইডিশ একাডেমির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে নোবেল কমিটি। সংস্থাটি বলেছে, সুইডিশ একাডেমিতে সৃষ্ট সঙ্কট নোবেল পুরস্কারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘ মেয়াদে নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবে। এই পদক্ষেপ ২০১৮ সালে অন্যান্য ক্যাটাগরিতে নোবেল পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
সংকটের একেবারে কেন্দ্রে আছেন ফরাসি ফটোগ্রাফার জিন-ক্লড আর্নল্ট। তিনি একাডেমির কমিটি সদস্য কাটারিনা ফ্রস্টেনসন এর স্বামী। এছাড়া তিনি একাডেমির অর্থায়নে একটি সাংস্কৃতিক প্রকল্প চালিয়েছেন। কিন্তু সমপ্রতি তার বিরুদ্ধে যৌন হামলার অভিযোগ আনে একাডেমির ১৮ নারী কর্মী। তারা অভিযোগ এনেছে, আর্নল্ট বিভিন্ন সময়ে তাদের যৌন হয়রানি করেছেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে দু’জন সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন। আর্নল্টের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হচ্ছে, তিনি সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টরিয়াকেও অযাচিতভাবে সপর্শ করেছেন। আর্নল্ট অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে আর্নল্টের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সুইডিশ একাডেমি। এ অবস্থায়, সামপ্রতিক সপ্তাহগুলোতে, পদত্যাগ করেছেন সুইডিশ একাডেমির ছয় সদস্য। অনেকে পদত্যাগ করার পেছনে কারণ ছিল, এই সংকট সামলাতে একাডেমির দুর্বল মোকাবিলা। পদত্যাগ করা সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, একাডেমির প্রধান অধ্যাপক সারা ড্যানিয়াস ও আর্নল্টের স্ত্রী ফ্রস্টেনসন। পরবর্তীতে অবশ্য এক বৈঠকে কমিটির সদস্যরা আর্নল্টের স্ত্রী ফ্রস্টেনসনকে সরিয়ে দেয়ার বিপক্ষে ভোট দেন।
সুইডিশ একাডেমির সদস্যরা চাইলেই আজীবন সদস্যপদ থাকার কারণে পদত্যাগ করতে পারেন না। এর জন্য দরকার সুইডেনের রাজার অনুমোদন। তিনি সমপ্রতি জানিয়েছেন, সদস্যদের পদত্যাগ করার সুবিধার্থে এই নিয়মে পরিবর্তন আনা হবে। সব মিলিয়ে বর্তমানে কমিটি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। এই ১১ জনের মধ্যে একজন হচ্ছেন কার্স্টিং একমান। তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে নিষ্ক্রিয় সদস্য হিসেবে রয়েছেন। কোনো ধরনের কার্যক্রমে তাকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় না। নতুন সদস্য নিয়োগ দেয়ার জন্য কমিটি সংবিধি অনুসারে অন্তত ১২ জনের ভোটের প্রয়োজন হয়।
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার না দেয়া বা স্থগিত রাখার ঘটনা এইবারই প্রথম ঘটেনি। এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ছয় বছর পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল। এছাড়া, ১৯৩৫ সালে কোন যোগ্য প্রার্থী না থাকায় পুরস্কার প্রদান করা হয়নি।
No comments