টান পড়েছে রিজার্ভে
চলতি
অর্থবছর আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার
রিজার্ভে চাপ বেড়ে গেছে। আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে
রিজার্ভের পরিমাণ। এর বিপরীতে বাড়েনি রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সপ্রবাহ। গত
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৩৩৬ কোটি
ডলার। মার্চ মাসে সেই রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৯৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ
ব্যাংকের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের
মতে, এশিয়া ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেশগুলো বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত
থেকে পিয়াজ ও চাল আমদানি বেড়ে যাওয়ায় আমদানির পরিমাণ ব্যয় বেড়ে গেছে।
জানুয়ারি-মার্চ সময়ের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ
আবারো ৩১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে। তবে রিজার্ভ কমে গেলেও ভয়ের কোনো কারণ
নেই। যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জমা আছে, তা দিয়ে আগামী ছয় থেকে
সাত মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ৩০শে জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ২৯ লাখ (প্রায় সাড়ে ৩৩ বিলিয়ন) ডলার। মার্চে তা ৩ হাজার ১৯৩ কোটি ডলারে নেমে আসে। যদিও গত কয়েক বছর ধরে অব্যাহতভাবে রিজার্ভ বাড়ার রেকর্ড গড় ছিল। কিন্তু আমদানির পরিমাণ বাড়ায় সার্বিকভাবে চাপ বেড়েছে রিজার্ভে। যদিও দেশে প্রবাসীদের পাঠানো আয় তথা রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। একইভাবে কিছুটা বেড়েছে রপ্তানি আয়ও। তবে সন্তোষজনক নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৫ সালের ৩০শে মার্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ২৯৯ কোটি ডলার। ২০১৬ সালের ৩০শে জুন রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৩ কোটি ডলার। একইভাবে ২০১৭ সালের ৩১শে মে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩ হাজার ২২৪ কোটি ডলার। গত বছরের ২১শে জুন রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩০১ কোটি ডলার। এর পর থেকে বাড়া-কমার মধ্য দিয়ে গেছে রিজার্ভের পরিমাণ।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান দুই খাত রেমিট্যান্স ও রপ্তানি। সামপ্রতিক সময়ে আমদানি যেভাবে বাড়ছে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় সেভাবে বাড়েনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমে যায় সাড়ে ১৪ শতাংশ। অর্থবছরটিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৭৬ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায় এটি ১৭ শতাংশ বেশি। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরেক খাত রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধিও অনেকটা শ্লথ। ২০১৬-১৭ অর্থবছর রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয় মাত্র ১.৭২ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছর ৩ হাজার ৪২৪ কোটি ১৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যদিও আমদানি ব্যয় বাড়ছে আরো বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি ব্যয় বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫.৭৮ শতাংশ। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে খাদ্য (চাল ও গম) আমদানি বেড়েছে ২১২ শতাংশ। শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশের মতো। জ্বালানি তেলের আমদানি বেড়েছে ২৮ শতাংশ এবং শিল্পের কাঁচামালের আমদানি বেড়েছে ১৫ শতাংশের বেশি। রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমলেও ভয়ের কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে। এসব প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানিতে অনেক খরচ বাড়ছে। গত বছর বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় খাদ্যশস্য আমদানি অনেক গুণ বেড়েছে। এর কারণে রিজার্ভে কিছুটা চাপ পড়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মান অনুযায়ী, যেকোনো দেশে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকলেই তাকে নিরাপদ মাত্রা ধরা হয়। বাংলাদেশে বছরে গড়ে আমদানি ব্যয় হয় ৩৫০ কোটি ডলার। এ হিসাবে বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ৮ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ৩০শে জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ২৯ লাখ (প্রায় সাড়ে ৩৩ বিলিয়ন) ডলার। মার্চে তা ৩ হাজার ১৯৩ কোটি ডলারে নেমে আসে। যদিও গত কয়েক বছর ধরে অব্যাহতভাবে রিজার্ভ বাড়ার রেকর্ড গড় ছিল। কিন্তু আমদানির পরিমাণ বাড়ায় সার্বিকভাবে চাপ বেড়েছে রিজার্ভে। যদিও দেশে প্রবাসীদের পাঠানো আয় তথা রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। একইভাবে কিছুটা বেড়েছে রপ্তানি আয়ও। তবে সন্তোষজনক নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৫ সালের ৩০শে মার্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ২৯৯ কোটি ডলার। ২০১৬ সালের ৩০শে জুন রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৩ কোটি ডলার। একইভাবে ২০১৭ সালের ৩১শে মে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩ হাজার ২২৪ কোটি ডলার। গত বছরের ২১শে জুন রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩০১ কোটি ডলার। এর পর থেকে বাড়া-কমার মধ্য দিয়ে গেছে রিজার্ভের পরিমাণ।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান দুই খাত রেমিট্যান্স ও রপ্তানি। সামপ্রতিক সময়ে আমদানি যেভাবে বাড়ছে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় সেভাবে বাড়েনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমে যায় সাড়ে ১৪ শতাংশ। অর্থবছরটিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৭৬ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায় এটি ১৭ শতাংশ বেশি। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরেক খাত রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধিও অনেকটা শ্লথ। ২০১৬-১৭ অর্থবছর রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয় মাত্র ১.৭২ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছর ৩ হাজার ৪২৪ কোটি ১৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যদিও আমদানি ব্যয় বাড়ছে আরো বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি ব্যয় বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫.৭৮ শতাংশ। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে খাদ্য (চাল ও গম) আমদানি বেড়েছে ২১২ শতাংশ। শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশের মতো। জ্বালানি তেলের আমদানি বেড়েছে ২৮ শতাংশ এবং শিল্পের কাঁচামালের আমদানি বেড়েছে ১৫ শতাংশের বেশি। রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমলেও ভয়ের কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে। এসব প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানিতে অনেক খরচ বাড়ছে। গত বছর বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় খাদ্যশস্য আমদানি অনেক গুণ বেড়েছে। এর কারণে রিজার্ভে কিছুটা চাপ পড়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মান অনুযায়ী, যেকোনো দেশে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকলেই তাকে নিরাপদ মাত্রা ধরা হয়। বাংলাদেশে বছরে গড়ে আমদানি ব্যয় হয় ৩৫০ কোটি ডলার। এ হিসাবে বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ৮ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
No comments