পাহাড় অশান্ত, ব্রাশফায়ার, নিহত ৫: শেষকৃত্যে যাচ্ছিলেন ওরা
ফের
অশান্ত পাহাড়। চলছে অস্ত্রের ঝনঝনানি। মুখোমুখি জেএসএস ও ইউপিডিএফ।
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ের সামনে গুলিতে নিহত হন রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর
উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা। শক্তিমান ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-লারমা)-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি। তাকে হত্যার জন্য
জেএসএস-এর পক্ষ থেকে পার্বত্য চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফকে দায়ী করে
আসছিল জেএসএস। শক্তিমানকে হত্যার পরদিন গতকাল তারই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে
যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীরা ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ৫ জন নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন
আরো ৮ জন। ঘটনার পর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ
মোতায়েন করা হয়েছে। চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্বত্য চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ-এর সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা। এ সময় তাকে বহনকারী মোটরসাইকেল চালক রূপম চাকমাও গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শক্তিমানের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে গতকাল দুপুরে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। বিভুরঞ্জন চাকমা বলেন, শক্তিমানের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সংগঠনের ১২ জন নেতাকর্মী খাগড়াছড়ি থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে রাঙামাটির নানিয়ারচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। পথে বেতছড়ি এলাকায় তাদের গাড়িতে ‘ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। এতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফের গণতান্ত্রিক) আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা (৪৮), জনসংহতি সমিতির সহযোগী সংগঠন যুব সমিতির (এমএন লারমা) মহালছড়ি শাখার সভাপতি সুজন চাকমা (৩২) এবং সদস্য তনয় চাকমা ঘটনাস্থলেই মারা যান। মাইক্রোবাসের চালক মো. সজীব (৩৬) এবং যুব সমিতির (এমএন লারমা) সদস্য রবিন চাকমা খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তপন জ্যোতি চাকমাকে বহন করা মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে গুলি করলে চালক গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় বিভক্ত আরো দু’অস্ত্রধারী হামলাকারী গ্রুপ সে গাড়ি লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করে। এ সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যায়। হাসপাতালে নেয়া পথে মারা যায় আরো ২ জন। এ ঘটনার জন্য সংগঠনটি প্রতিপক্ষ গ্রুপ প্রসীত বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে দায়ী করছে।
রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল লতিফ ও খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটো জানান, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে এক মাইক্রোচালক ও ১ জন উপজাতীয় ব্যক্তির লাশ আনা হয়েছে। এ সময় আহত আরো ৩ জনকে খাগড়াছড়িতে এবং গুরুতর আরো ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল লতিফ জানিয়েছেন, হতাহতদের ব্যাপারে সরজমিনে দেখতে রাঙামাটি সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মো. জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছে। তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ওদিকে ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটি-খাগড়াছড়ির বেশ কয়েকটি এলাকায় পার্বত্য চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ-এর সঙ্গে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফসহ সংস্কারপন্থি জেএসএস(এমএন) এর ব্যাপক বন্দুকযুদ্বের ঘটনা ঘটছে। নিরাপত্তা বাহিনী-গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে পাহাড়ের অনেকগুলো স্থানে যে কোনো সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংঘাতের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এই লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ির সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্বত্য চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ-এর সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা। এ সময় তাকে বহনকারী মোটরসাইকেল চালক রূপম চাকমাও গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শক্তিমানের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে গতকাল দুপুরে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। বিভুরঞ্জন চাকমা বলেন, শক্তিমানের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সংগঠনের ১২ জন নেতাকর্মী খাগড়াছড়ি থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে রাঙামাটির নানিয়ারচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। পথে বেতছড়ি এলাকায় তাদের গাড়িতে ‘ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। এতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফের গণতান্ত্রিক) আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা (৪৮), জনসংহতি সমিতির সহযোগী সংগঠন যুব সমিতির (এমএন লারমা) মহালছড়ি শাখার সভাপতি সুজন চাকমা (৩২) এবং সদস্য তনয় চাকমা ঘটনাস্থলেই মারা যান। মাইক্রোবাসের চালক মো. সজীব (৩৬) এবং যুব সমিতির (এমএন লারমা) সদস্য রবিন চাকমা খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তপন জ্যোতি চাকমাকে বহন করা মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে গুলি করলে চালক গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় বিভক্ত আরো দু’অস্ত্রধারী হামলাকারী গ্রুপ সে গাড়ি লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করে। এ সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যায়। হাসপাতালে নেয়া পথে মারা যায় আরো ২ জন। এ ঘটনার জন্য সংগঠনটি প্রতিপক্ষ গ্রুপ প্রসীত বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে দায়ী করছে।
রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল লতিফ ও খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটো জানান, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে এক মাইক্রোচালক ও ১ জন উপজাতীয় ব্যক্তির লাশ আনা হয়েছে। এ সময় আহত আরো ৩ জনকে খাগড়াছড়িতে এবং গুরুতর আরো ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল লতিফ জানিয়েছেন, হতাহতদের ব্যাপারে সরজমিনে দেখতে রাঙামাটি সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মো. জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছে। তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ওদিকে ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটি-খাগড়াছড়ির বেশ কয়েকটি এলাকায় পার্বত্য চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ-এর সঙ্গে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফসহ সংস্কারপন্থি জেএসএস(এমএন) এর ব্যাপক বন্দুকযুদ্বের ঘটনা ঘটছে। নিরাপত্তা বাহিনী-গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে পাহাড়ের অনেকগুলো স্থানে যে কোনো সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংঘাতের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এই লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ির সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
No comments