সিলেটে ৩৫ বালুমহালের ইজারা নিয়ে ‘টালবাহানা’ by ওয়েছ খছরু
চলতি
বছরে সিলেট জেলায় ৩৫ বালুমহালের ইজারা প্রদান নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ
উঠেছে। বালু সিন্ডিকেটের ইন্ধনে গত মাসে যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে সেই
টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের ‘গলদ’ ছিল দাবি করেছেন বালু ব্যবসায়ীরা।
তড়িঘড়ি করে টেন্ডার আহ্বান ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ
করা নিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন ক্ষুব্ধ ঠিকাদাররা।
তারা এই টেন্ডার বাতিল করে জমা দেয়ার সময় ন্যূনতম ১৫ দিন রাখার বিষয়টি ওই
আবেদনে উল্লেখ করেছেন। এদিকে ক্ষুব্ধ ঠিকাদারদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
আগামী ৬ই মে’র মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার।
আবেদনকারী সংক্ষুব্ধ ঠিকাদার মশউদ আহমদ ২২শে এপ্রিল সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কাছে যে আবেদন দিয়েছেন সেখানে তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগে আহ্বানকৃত টেন্ডার বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন। ওই আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১০ই জুলাই সিলেটের জেলা প্রশাসক সিলেট সদর, গোলাপগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিশ্বনাথ গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের ১৫টি জলমহালের ইজারা আহ্বান করেন। ন্যূনতম ১৫ দিন সময়সীমা হাতে রেখে টেন্ডার জমার সুযোগ দেয়ার কথা থাকলেও ১৮ই এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। এতে কাগজে-কলমে মাত্র সাতদিন টেন্ডার প্রচারণার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এতে করে অনেক প্রথম শ্রেণির ঠিকাদাররা টেন্ডার প্রক্রিয়ার কোনো সুযোগ পাননি। পাশাপাশি অধিকতর কম প্রচারিত গণমাধ্যমে এই টেন্ডার আহ্বান করা হয়।
এদিকে, সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, মাত্র সাতদিনের ব্যবধানে যে টেন্ডার প্রক্রিয়ার আহ্বান করা হয়েছিল সেখানে মাত্র ৯টি বালুমহালকে টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া বাকি চারটি জলমহাল পড়েছে মামলার বেড়াজালে। ২২টি বালুমহালে কোনো আবেদনই পড়েনি। এ কারণে সিলেটের জেলা প্রশাসন থেকে বাদপড়া ওই বালুমহালের জন্য পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করার প্রস্তুতি চলছে।
আবেদনকারী সিলেটের জেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার মশউদ আহমদ গতকাল মানবজমিনকে জানিয়েছেন, মাত্র সাতদিনের প্রচারণায় যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে সেটিতে প্রশাসন ও বালুমহাল সিন্ডিকেটদের দুরভিসন্ধির বিষয়টি ফুটে উঠেছে। কোনো একটি পক্ষকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে জেলা প্রশাসনের একশ্রেণির কর্মকর্তারা এই প্রক্রিয়া করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। মশউদ বলেন, দেশের কোনো বালুমহালে ১৫ দিনের আগে টেন্ডার জমা নেয়া হয় না। কিন্তু সিলেটে এবারের ব্যতিক্রম কার্যক্রম সব বৈধ ঠিকাদারকে মর্মাহত করেছে। বিষয়টি জানার পর তারা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন। বিভাগীয় কমিশনার আগামী ৬ই মের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল্লাহ মানবজমিনকে জানিয়েছেন, অর্থবছর ধরে তারা টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত নিয়েই তারা সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে টেন্ডার জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করেছে। যেসব বালুমহালে টেন্ডার জমা পড়েছে, সেগুলো তারা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে কাজ সমঝিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছেন। মামলা ছাড়া যেসব বালুমহালে কোনো টেন্ডার জমা পড়েনি সেগুলো তারা ফের গণমাধ্যমের মাধ্যমে টেন্ডার জমা দেয়ার নির্দেশ দেবেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েই এসব কিছু করছে। এখানে অভিযোগের কোনো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
আবেদনকারী সংক্ষুব্ধ ঠিকাদার মশউদ আহমদ ২২শে এপ্রিল সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কাছে যে আবেদন দিয়েছেন সেখানে তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগে আহ্বানকৃত টেন্ডার বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন। ওই আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১০ই জুলাই সিলেটের জেলা প্রশাসক সিলেট সদর, গোলাপগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিশ্বনাথ গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের ১৫টি জলমহালের ইজারা আহ্বান করেন। ন্যূনতম ১৫ দিন সময়সীমা হাতে রেখে টেন্ডার জমার সুযোগ দেয়ার কথা থাকলেও ১৮ই এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। এতে কাগজে-কলমে মাত্র সাতদিন টেন্ডার প্রচারণার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এতে করে অনেক প্রথম শ্রেণির ঠিকাদাররা টেন্ডার প্রক্রিয়ার কোনো সুযোগ পাননি। পাশাপাশি অধিকতর কম প্রচারিত গণমাধ্যমে এই টেন্ডার আহ্বান করা হয়।
এদিকে, সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, মাত্র সাতদিনের ব্যবধানে যে টেন্ডার প্রক্রিয়ার আহ্বান করা হয়েছিল সেখানে মাত্র ৯টি বালুমহালকে টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া বাকি চারটি জলমহাল পড়েছে মামলার বেড়াজালে। ২২টি বালুমহালে কোনো আবেদনই পড়েনি। এ কারণে সিলেটের জেলা প্রশাসন থেকে বাদপড়া ওই বালুমহালের জন্য পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করার প্রস্তুতি চলছে।
আবেদনকারী সিলেটের জেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার মশউদ আহমদ গতকাল মানবজমিনকে জানিয়েছেন, মাত্র সাতদিনের প্রচারণায় যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে সেটিতে প্রশাসন ও বালুমহাল সিন্ডিকেটদের দুরভিসন্ধির বিষয়টি ফুটে উঠেছে। কোনো একটি পক্ষকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে জেলা প্রশাসনের একশ্রেণির কর্মকর্তারা এই প্রক্রিয়া করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। মশউদ বলেন, দেশের কোনো বালুমহালে ১৫ দিনের আগে টেন্ডার জমা নেয়া হয় না। কিন্তু সিলেটে এবারের ব্যতিক্রম কার্যক্রম সব বৈধ ঠিকাদারকে মর্মাহত করেছে। বিষয়টি জানার পর তারা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন। বিভাগীয় কমিশনার আগামী ৬ই মের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল্লাহ মানবজমিনকে জানিয়েছেন, অর্থবছর ধরে তারা টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত নিয়েই তারা সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে টেন্ডার জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করেছে। যেসব বালুমহালে টেন্ডার জমা পড়েছে, সেগুলো তারা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে কাজ সমঝিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছেন। মামলা ছাড়া যেসব বালুমহালে কোনো টেন্ডার জমা পড়েনি সেগুলো তারা ফের গণমাধ্যমের মাধ্যমে টেন্ডার জমা দেয়ার নির্দেশ দেবেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েই এসব কিছু করছে। এখানে অভিযোগের কোনো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
No comments