দক্ষিণ চীন সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে চীন
দক্ষিণ
চীন সাগরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও সার্ফেস-টু-এয়ার (ভূমি থেকে আকাশ)
ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতি মোতায়েন করেছে চীন। মার্কিনভিত্তিক টিভি চ্যানেল
সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি এমনটা দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনের দাবি
সত্য হলে তা হবে দক্ষিণ চীন সাগরের স্পার্টলি দ্বীপগুলোতে চীনের প্রথম
ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘটনা। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। মার্কিন
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন
স্পার্টলি দ্বীপগুলোর একাধিক স্থানে জাহাজ বিধ্বংসী ওয়াইজে-১২বি ক্রুজ
ক্ষেপণাস্ত্র ও এইচকিউ-৯বি সিরিজের দূরপাল্লার সার্ফেস-টু-এয়ার
ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এর মধ্যে ওয়াইজে-১২বি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো
দিয়ে ২৯৫ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে অবস্থানরত বস্তুতে আঘাত হানা সম্ভব।
অন্যদিকে, এইচকিউ-৯বি সিরিজের দূরপাল্লার সার্ফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র
দিয়ে ১৬০ মাইলের মধ্যে যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যাবে। চীন, তাইওয়ান ও
ভিয়েতনামসহ বেশ কয়েকটি দেশ দক্ষিণ চীন সাগরের স্পার্টলি দ্বীপগুলোর
মালিকানা দাবি করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই প্রথম চীন দ্বীপগুলোতে
ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয়ে চীনের প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া
যায়নি। সিএনবিসি অনুসারে,স্পার্টলি দ্বীপগুলোর ফিয়েরি ক্রস রিফ, সুবি রিফ ও
মিসচিফ রিফে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছেন চীন। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের
সামরিক স্থাপনা বসানোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের
প্রতিবেদন সম্বন্ধে যোগাযোগ করা হলে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় মার্কিন
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, আমরা গোয়েন্দা
তথ্যের বিষয়ে মন্তব্য করি না। চীন স্পার্টলি দ্বীপগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র
মোতায়েন করা নিয়ে কিছু জানায়নি। তবে তাদের ভাষ্য, অঞ্চলটিতে তাদের সব
সামরিক স্থাপনা কেবল প্রতিরক্ষার জন্য বসানো হয়েছে। আর তারা নিজেদের অঞ্চলে
যা ইচ্ছা তাই করতে পারে।
No comments