চট্টগ্রামে পদদলনে ১১ নারীর মৃত্যু: শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামের
সাতকানিয়ায় ইফতারসামগ্রী নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১১ নারীর মৃত্যুর ঘটনায়
কেএসআরএম-এর মালিক মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে নিহত হাছিনা আক্তারের স্বামী মোহাম্মদ ইসলাম বাদী হয়ে
সাতকানিয়া থানায় মামলাটি করেন। তাদের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া
ইউনিয়নে। সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল হোসেন বিষয়টি
নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের শিল্প প্রতিষ্ঠান কবির স্টিল রিরোলিং
মিলস লিমিটেডের (এমডি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহানকে প্রধান আসামি
করে দায়ের করা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া ইফতারসামগ্রী বিতরণ
অনুষ্ঠানের সমপৃক্ত অজ্ঞাত পরিচয় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি করা হয়। তদন্তসাপেক্ষে এ মামলায় আইনগত
পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কেএসআরএম-এর চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া
ইউনিয়নের পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা গ্রামের হাঙ্গরমুখ এলাকায়। বাড়ির পাশে
কাদেরীয়া মঈনুল উলুম দাখিল মাদরাসার মাঠে সোমবার সকালে ইফতারসামগ্রী
বিতরণের আয়োজন করে কেএসআরএম গ্রুপ।
যেখানে উপস্থিত ছিলেন শাহজাহান নিজেও। সেখান থেকে করুণ মৃত্যুর শিকার ৯ নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যান আরো দুই নারী। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার পর চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা জানিয়েছিলেন, ১০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার মাঠে ২০ হাজারেরও বেশি লোক জড়ো হন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। ভিড়ের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে নারীদের মৃত্যু হয়েছে।
তবে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে এসব নারীর মৃত্যুর কথা কেএসআরএম প্রথমে স্বীকার করলেও পরে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক ও শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তোলা হয়। এবং নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত টিম গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। ফলে তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করেন কেএসআরএম।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, কেএসআরএমের গাফিলতির বিষয়টি সপষ্ট। কারণ তারা ইফতারসামগ্রী বিতরণের আয়োজনের বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানাননি। আমাকেও জানাননি। পুলিশকে আগে থেকে বলা হয়েছে কি না সেটা এসপি সাহেব জানেন।
তবে আমি যেটা জানতে পেরেছি, পুলিশ ঘটনার পর থানা থেকে মুভ করেছিল। ঘটনার আগে সেখানে কতজন পুলিশ ছিল সেটাও তদন্তে উঠে আসবে। ঘটনাটি কি হিটস্ট্রোক নাকি পদদলন সেটাও তদন্তে বের হবে।
তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাশহুদুল কবীরকে। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেনকে।
এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ন কবির, সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হাসান মোল্লা এবং সাতকানিয়া নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাসলিমা আক্তারকে।
মাশহুদুল বলেন, কমিটির সদস্যদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বৈঠকে বসে তদন্তের কর্মপরিধি নির্ধারণ করবো আমরা। এরপর মাঠের তদন্ত শুরু করবো।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নূরে আলম মিনা বলেন, ঘটনার খবর শুনে তিনি দ্রুত সেখানে যান। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, প্রচণ্ড ভিড় এবং ভ্যাপসা গরমের মধ্যে পদদলন, হিটস্ট্রোক এবং শ্বাসরোধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে কেএসআরএম’র বিতরণ ব্যবস্থায় অবহেলার প্রমাণ পেয়েছি আমরা।
তিনি বলেন, এক সপ্তাহ ধরে তারা বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ইফতারসামগ্রী বিতরণের প্রচার করেছিল। এর ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া এলাকা থেকেও লোকজন জড়ো হয়েছিলেন। অথচ বিষয়টি তারা উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করেনি।
তিনি জানান, ২০-২৫ হাজার লোক সমাগমের জন্য অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ দরকার। আগে থেকে অবহিত না করায় সেখানে আমাদের টিম ছিল না। তাদের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী যারা ছিলেন তারাও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। কারণ মাঠের গেটটা এতই সংকীর্ণ ছিল যে সেখানে এত লোক প্রবেশ কিংবা বের হওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না।
যেখানে উপস্থিত ছিলেন শাহজাহান নিজেও। সেখান থেকে করুণ মৃত্যুর শিকার ৯ নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যান আরো দুই নারী। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার পর চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা জানিয়েছিলেন, ১০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার মাঠে ২০ হাজারেরও বেশি লোক জড়ো হন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। ভিড়ের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে নারীদের মৃত্যু হয়েছে।
তবে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে এসব নারীর মৃত্যুর কথা কেএসআরএম প্রথমে স্বীকার করলেও পরে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক ও শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তোলা হয়। এবং নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত টিম গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। ফলে তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করেন কেএসআরএম।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, কেএসআরএমের গাফিলতির বিষয়টি সপষ্ট। কারণ তারা ইফতারসামগ্রী বিতরণের আয়োজনের বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানাননি। আমাকেও জানাননি। পুলিশকে আগে থেকে বলা হয়েছে কি না সেটা এসপি সাহেব জানেন।
তবে আমি যেটা জানতে পেরেছি, পুলিশ ঘটনার পর থানা থেকে মুভ করেছিল। ঘটনার আগে সেখানে কতজন পুলিশ ছিল সেটাও তদন্তে উঠে আসবে। ঘটনাটি কি হিটস্ট্রোক নাকি পদদলন সেটাও তদন্তে বের হবে।
তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাশহুদুল কবীরকে। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেনকে।
এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ন কবির, সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হাসান মোল্লা এবং সাতকানিয়া নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাসলিমা আক্তারকে।
মাশহুদুল বলেন, কমিটির সদস্যদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বৈঠকে বসে তদন্তের কর্মপরিধি নির্ধারণ করবো আমরা। এরপর মাঠের তদন্ত শুরু করবো।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নূরে আলম মিনা বলেন, ঘটনার খবর শুনে তিনি দ্রুত সেখানে যান। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, প্রচণ্ড ভিড় এবং ভ্যাপসা গরমের মধ্যে পদদলন, হিটস্ট্রোক এবং শ্বাসরোধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে কেএসআরএম’র বিতরণ ব্যবস্থায় অবহেলার প্রমাণ পেয়েছি আমরা।
তিনি বলেন, এক সপ্তাহ ধরে তারা বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ইফতারসামগ্রী বিতরণের প্রচার করেছিল। এর ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া এলাকা থেকেও লোকজন জড়ো হয়েছিলেন। অথচ বিষয়টি তারা উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করেনি।
তিনি জানান, ২০-২৫ হাজার লোক সমাগমের জন্য অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ দরকার। আগে থেকে অবহিত না করায় সেখানে আমাদের টিম ছিল না। তাদের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী যারা ছিলেন তারাও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। কারণ মাঠের গেটটা এতই সংকীর্ণ ছিল যে সেখানে এত লোক প্রবেশ কিংবা বের হওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না।
No comments