শেখ হাসিনা-মোদি-মমতা বসছেন, চোখ থাকছে তিস্তায়!
বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির একটি যৌথ আলোকচিত্র গণমাধ্যমে
যে বিশেষ জায়গা করে নেবে তা এখন নিশ্চিত। আর সেখানে সবাইকে ছাপিয়ে যেতে
পারে তিস্তা। আগামী ২৫শে মে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী কলকতায় যাচ্ছেন। একই
দিনে কলকতায় থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দি হিন্দু, ইন্ডিয়া টুডেসহ অনেক ভারতীয় পত্রিকা ইদানীং শেখ হাসিনা-মোদির প্রস্তাবিত শীর্ষ বৈঠকের খবর ও বিশ্লেষণ গুরুত্বের সঙ্গে ছাপছে, তারাই গুরুত্বের সঙ্গে তিস্তা বিষয়েও খবর দিচ্ছেন। এমনকি আগে দেখা যায়নি, এবারে চোখে পড়ার মতো বিষয় হলো, তারা স্মরণ করছেন যে, নরেন্দ্র মোদি এর আগে বলেছিলেন যে, আওয়ামী লীগের চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিস্তাচুক্তি হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত বছরের ভারত সফরে মোদি ওই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
গত ৮ই মে দি হিন্দুতে মিজ গীতা মোহন লিখেছেন, ‘একটি সূত্র এমনকি এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে, চুক্তি সই হওয়াটাই বড়, পানির পরিমাণ কী হবে সেটা নয়। ওই সূত্রটি মোদির দেয়া প্রতিশ্রতির বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল। তারা কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে মা ঘামাতে চায় না। ‘তিস্তা ইজ অ্যা ম্যাটার অব মাইন্ডসেট’ (তিস্তা একটি মনমানসিকতার বিষয়), বাংলাদেশেরই কেউ একজন ওই মন্তব্য করে বলেছেন, তিস্তা আগামী নির্বাচনে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে।’
অন্যদিকে দি হিন্দুর ওই প্রতিবেদন আরো বলেছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জেরবার শেখ হাসিনা সরকারকে এখন যদি আসাম থেকে ‘বাংলাদেশি’ উদ্বাস্তু গ্রহণ করতে হয়, তাহলে সেটা শেখ হাসিনার সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়াতে পারে। এরকম একটি সংবেদনশীল ইস্যু বাংলাদেশের ভোটের পরে ডিল করতে হবে। ভারতীয় বিদ্রোহ দমনসহ নানা বিষয়ে ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে যতো সুবিধা পেয়েছে সেটা শেখ হাসিনার নির্বাচনী বছরে কড়ায়গণ্ডায় ফিরিয়ে দেওয়ারই এটা সময়। হিন্দু আরো লিখেছে, বাংলাদেশ আশা করে যে, ভারত এটা বিবেচনায় নেবে যে, বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি ক্ষমতায় এলে কী হবে। একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র বলেছে, এতদিনের যা অর্জন সবটাই গুবলেট হবে আর পাকিস্তানিরা আবারও অভয়ারণ্য গড়ার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশে চীনের বর্ধিষ্ণ প্রভাব সম্পর্কে বাংলাদেশ অবশ্য এটা স্পষ্ট করেছে যে, তারা ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডে যোগ দিয়েছে দেশের স্বার্থে, কিন্তু তারা ভারতের জন্য কোনো ক্ষতি ডেকে আনতে পারে- এমন কিছুতে তারা যাবে না।
অন্যদিকে ইন্ডিয়া টুডেতেও ওই একই মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এতে লেখা হয়েছে, ‘মোদি যদি চীনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী কেন পারবেন না। দেশের স্বার্থে মোদি চীন গেছেন। বাংলাদেশের স্বার্থে শেখ হাসিনা চীন গেছেন। দি হিন্দুর ভাষ্যকার লিখেছেন, বাংলাদেশ দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করে যে, পরস্পরের পাশে থাকাতে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার এবং প্রতিবেশী রাজনীতিতে একটি ‘টিনা’ (দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ) ফ্যাক্টর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগকে ভারতের দরকার।’’
নয়া আশাবাদ: গতকল মিরেনিয়ান মপোটডট ইনের খবর অনুযায়ী শেখ হাসিনা-মোদি প্রস্তাবিত আকর্ষিক শীর্ষ বৈঠককে কেন্দ্র করে তিস্তাচুক্তি নিয়ে নতুন করে আশাবাদ তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশাবাদী যে, নরেন্দ্র মোদি যে কলকাতায় দ্বিপক্ষীয় সভায় বসতে রাজি হয়েছেন, তাতেই একটা বিশেষ তাৎপর্য তৈরি করেছে। সুতরাং তিন নেতা-নেত্রীর সম্ভাব্য যৌথ আলোকচিত্র শান্তিনিকেতনে শুধুই বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের খবর হিসেবে ছাপা হওয়ার মধ্যেই যে সীমিত থাকছে না, তা প্রকারান্তরে পরিষ্কার করেছে ভারতীয় ওয়েবসাইট মিলেনিয়ান পোস্ট।
আগামী ২৫শে মে কলকাতায় শেখ হাসিনা ও মোদির মধ্যে ‘গুরুত্বপূর্ণ বকেয়া দ্বিপক্ষীয়’ ইস্যু নিয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকটির স্থান নির্বাচন করা হয়েছে বিশ্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য ঐতিহাসিক শান্তিনিকেতনে। ২৫শে মে দুই প্রধানমন্ত্রী দুই কারণে হাজির হচ্ছেন। তবে কুশলী কূটনীতির কারণে দুটি আলাদা উপলক্ষ এখন চাপা পড়ে যাবে, সাইডলাইনের শীর্ষ বৈঠকে। শেখ হাসিনা ২৫শে মে উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ ভবন। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিক সেদিনটিতেই শান্তিনিকেতনের সমাবর্তনে উপস্থিত থাকবেন, শান্তিনিকেতনের উপাচার্য হিসেবে।
বাংলাদেশের অর্থায়নে শান্তিনিকেতন চত্বরে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ভবন। সেই ভবন উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী। ২৫শে মে সকালে শেখ হাসিনা পৌঁছাবেন এবং পরদিন সন্ধ্যায় কলকাতা ত্যাগ করবেন।
দি হিন্দু, ইন্ডিয়া টুডেসহ অনেক ভারতীয় পত্রিকা ইদানীং শেখ হাসিনা-মোদির প্রস্তাবিত শীর্ষ বৈঠকের খবর ও বিশ্লেষণ গুরুত্বের সঙ্গে ছাপছে, তারাই গুরুত্বের সঙ্গে তিস্তা বিষয়েও খবর দিচ্ছেন। এমনকি আগে দেখা যায়নি, এবারে চোখে পড়ার মতো বিষয় হলো, তারা স্মরণ করছেন যে, নরেন্দ্র মোদি এর আগে বলেছিলেন যে, আওয়ামী লীগের চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিস্তাচুক্তি হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত বছরের ভারত সফরে মোদি ওই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
গত ৮ই মে দি হিন্দুতে মিজ গীতা মোহন লিখেছেন, ‘একটি সূত্র এমনকি এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে, চুক্তি সই হওয়াটাই বড়, পানির পরিমাণ কী হবে সেটা নয়। ওই সূত্রটি মোদির দেয়া প্রতিশ্রতির বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল। তারা কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে মা ঘামাতে চায় না। ‘তিস্তা ইজ অ্যা ম্যাটার অব মাইন্ডসেট’ (তিস্তা একটি মনমানসিকতার বিষয়), বাংলাদেশেরই কেউ একজন ওই মন্তব্য করে বলেছেন, তিস্তা আগামী নির্বাচনে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে।’
অন্যদিকে দি হিন্দুর ওই প্রতিবেদন আরো বলেছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জেরবার শেখ হাসিনা সরকারকে এখন যদি আসাম থেকে ‘বাংলাদেশি’ উদ্বাস্তু গ্রহণ করতে হয়, তাহলে সেটা শেখ হাসিনার সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়াতে পারে। এরকম একটি সংবেদনশীল ইস্যু বাংলাদেশের ভোটের পরে ডিল করতে হবে। ভারতীয় বিদ্রোহ দমনসহ নানা বিষয়ে ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে যতো সুবিধা পেয়েছে সেটা শেখ হাসিনার নির্বাচনী বছরে কড়ায়গণ্ডায় ফিরিয়ে দেওয়ারই এটা সময়। হিন্দু আরো লিখেছে, বাংলাদেশ আশা করে যে, ভারত এটা বিবেচনায় নেবে যে, বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি ক্ষমতায় এলে কী হবে। একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র বলেছে, এতদিনের যা অর্জন সবটাই গুবলেট হবে আর পাকিস্তানিরা আবারও অভয়ারণ্য গড়ার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশে চীনের বর্ধিষ্ণ প্রভাব সম্পর্কে বাংলাদেশ অবশ্য এটা স্পষ্ট করেছে যে, তারা ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডে যোগ দিয়েছে দেশের স্বার্থে, কিন্তু তারা ভারতের জন্য কোনো ক্ষতি ডেকে আনতে পারে- এমন কিছুতে তারা যাবে না।
অন্যদিকে ইন্ডিয়া টুডেতেও ওই একই মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এতে লেখা হয়েছে, ‘মোদি যদি চীনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী কেন পারবেন না। দেশের স্বার্থে মোদি চীন গেছেন। বাংলাদেশের স্বার্থে শেখ হাসিনা চীন গেছেন। দি হিন্দুর ভাষ্যকার লিখেছেন, বাংলাদেশ দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করে যে, পরস্পরের পাশে থাকাতে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার এবং প্রতিবেশী রাজনীতিতে একটি ‘টিনা’ (দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ) ফ্যাক্টর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগকে ভারতের দরকার।’’
নয়া আশাবাদ: গতকল মিরেনিয়ান মপোটডট ইনের খবর অনুযায়ী শেখ হাসিনা-মোদি প্রস্তাবিত আকর্ষিক শীর্ষ বৈঠককে কেন্দ্র করে তিস্তাচুক্তি নিয়ে নতুন করে আশাবাদ তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশাবাদী যে, নরেন্দ্র মোদি যে কলকাতায় দ্বিপক্ষীয় সভায় বসতে রাজি হয়েছেন, তাতেই একটা বিশেষ তাৎপর্য তৈরি করেছে। সুতরাং তিন নেতা-নেত্রীর সম্ভাব্য যৌথ আলোকচিত্র শান্তিনিকেতনে শুধুই বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের খবর হিসেবে ছাপা হওয়ার মধ্যেই যে সীমিত থাকছে না, তা প্রকারান্তরে পরিষ্কার করেছে ভারতীয় ওয়েবসাইট মিলেনিয়ান পোস্ট।
আগামী ২৫শে মে কলকাতায় শেখ হাসিনা ও মোদির মধ্যে ‘গুরুত্বপূর্ণ বকেয়া দ্বিপক্ষীয়’ ইস্যু নিয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকটির স্থান নির্বাচন করা হয়েছে বিশ্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য ঐতিহাসিক শান্তিনিকেতনে। ২৫শে মে দুই প্রধানমন্ত্রী দুই কারণে হাজির হচ্ছেন। তবে কুশলী কূটনীতির কারণে দুটি আলাদা উপলক্ষ এখন চাপা পড়ে যাবে, সাইডলাইনের শীর্ষ বৈঠকে। শেখ হাসিনা ২৫শে মে উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ ভবন। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিক সেদিনটিতেই শান্তিনিকেতনের সমাবর্তনে উপস্থিত থাকবেন, শান্তিনিকেতনের উপাচার্য হিসেবে।
বাংলাদেশের অর্থায়নে শান্তিনিকেতন চত্বরে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ভবন। সেই ভবন উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী। ২৫শে মে সকালে শেখ হাসিনা পৌঁছাবেন এবং পরদিন সন্ধ্যায় কলকাতা ত্যাগ করবেন।
No comments