বাংলাদেশেও ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা?
ফেসবুক
ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়াই তাদের তথ্য সংগ্রহ করা নিয়ে আন্তর্জাতিক
তোপের মুখে পড়া প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার উপস্থিতি রয়েছে দক্ষিণ
এশিয়ায়ও। ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে
আলাপও হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বিদ্যমান বিতর্কের মধ্যেও দক্ষিণ এশিয়ায়
কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস
পত্রিকা দু’টি সূত্রের বরাতে এ খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভারতে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার অংশীদার হলো ওভেলিনো বিজনেস ইন্টিলিজেন্স। এ বছর অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারাভিযানকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠান দু’টি ভারতের শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী দল কংগ্রেস- উভয়ের সঙ্গেই সম্ভাব্য সহযোগিতার ব্যাপারে কথা বলেছে।
২০১৬ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারাভিযানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটিকে বহিষ্কার করেছে ফেসবুক। মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস ও বৃটিশ সংবাদপত্র দ্য অবজারভার (গার্ডিয়ানের রোববারের সংস্করণ) জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি কোনো অনুমতি ছাড়াই কমপক্ষে ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে।
সিএ অবশ্য দাবি করেছে যে, তারা ফেসবুকের নীতিমালা লঙ্ঘন করেনি। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘আমাদের শক্তিশালী ডাটা সুরক্ষা নীতি মার্কিন, আন্তর্জাতিক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাতীয় নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অপরদিকে ভারতের ওভেলিনো বিজনেস ইন্টিলিজেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অমরিশ ত্যাগি বলেছেন, সিএ ভারতের আইন লঙ্ঘন করছে বলে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সাম্প্রতিক এই বিতর্কের দরুন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব বন্ধ হবে না।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির বরাতে বলা হয়, ভারতের কংগ্রেস ও বিজেপি, শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে ও বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই সূত্র বলেছে, ‘এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই নিশ্চিত হয়নি। এ সবকিছুই প্রাথমিক আলোচনা।’
ওভেলিনোর প্রধান নির্বাহী ত্যাগি বলেন, ‘এই বিতর্কের ব্যাপারে আমরা ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের কর্মকর্তারা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আইনি প্রতিকারের উপায় খুঁজছেন। কোনো অভিযোগই এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি। আমরা অংশীদার। যদি কোনো কিছু ভারতের আইনের লঙ্ঘন করেছে বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা এই অংশীদারিত্ব পুনর্বিবেচনা করবো।’
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে আইন ও নীতিমালার বিষয়টি জটিল ও একেক দেশে একেক রকম। তার ভাষ্য, ‘যে জিনিসটি কোনো দেশে বেআইনি ও অনৈতিক, তা হয়তো ভারতে অবৈধ নয়। আবার উল্টোটাও সত্য। এখনো কিছু বলার সময় আসেনি।’
নিজেদের ওয়েবসাইটে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা লিখেছে, ২০১০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ভোটারদের ওপর গভীর বিশ্লেষণ সরবরাহের কাজে এটি চুক্তিবদ্ধ ছিল। এতে আরো লেখা হয়, ‘আমাদের গ্রাহক (বিজেপি-জেড ইউ) ওই নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় অর্জন করে। যেসব আসন ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা টার্গেট করেছিল, সেখানকার ৯০ শতাংশেরও বেশি আসনে আমাদের গ্রাহক জয়লাভ করেছে।’
উল্লেখ্য, ওভেলিনোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অমরিশ ত্যাগি হলেন জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর জ্যেষ্ঠ নেতা ও রাজ্যসভার সাবেক এমপি কেসি ত্যাগির ছেলে। ২০১০ সালে বিহার নির্বাচনে বিজেপি ও জনতা দল (জেড ইউ) জোট বাঁধে। ওই সময় ওভেলিনো ওই জোটের পক্ষে কাজ করেছিল।
এরপর উত্তর প্রদেশে ২০১২ সালে বিজেপির সঙ্গে কাজ করেন তিনি। ওভেলিনো মূলত বুথ-পর্যায়ে কাজ করে। ত্যাগি বলেন, জনতত্ত্ব ও বর্ণ বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটি তার গ্রাহক রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। ত্যাগি ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় ট্রাম্প প্রচারাভিযানের পক্ষে ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করার কাজ করেন।
তিনি বলেন, ‘ওভেলিনোর মাধ্যমে আমি অনেক প্রার্থীর সঙ্গেও কাজ করেছি। ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও আমি করেছি। তবে এখানে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কোনো রাজনৈতিক প্রকল্পে জড়িত ছিল না।’
তিনি ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার মতো ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রোফাইলিং করেছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একদমই না। এখানে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার কোনো প্রকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেন্দ্রিক কাজ করার প্রশ্নই উঠে না।’
খবরে বলা হয়েছে, ভারতে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার অংশীদার হলো ওভেলিনো বিজনেস ইন্টিলিজেন্স। এ বছর অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারাভিযানকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠান দু’টি ভারতের শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী দল কংগ্রেস- উভয়ের সঙ্গেই সম্ভাব্য সহযোগিতার ব্যাপারে কথা বলেছে।
২০১৬ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারাভিযানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটিকে বহিষ্কার করেছে ফেসবুক। মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস ও বৃটিশ সংবাদপত্র দ্য অবজারভার (গার্ডিয়ানের রোববারের সংস্করণ) জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি কোনো অনুমতি ছাড়াই কমপক্ষে ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে।
সিএ অবশ্য দাবি করেছে যে, তারা ফেসবুকের নীতিমালা লঙ্ঘন করেনি। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘আমাদের শক্তিশালী ডাটা সুরক্ষা নীতি মার্কিন, আন্তর্জাতিক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাতীয় নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অপরদিকে ভারতের ওভেলিনো বিজনেস ইন্টিলিজেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অমরিশ ত্যাগি বলেছেন, সিএ ভারতের আইন লঙ্ঘন করছে বলে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সাম্প্রতিক এই বিতর্কের দরুন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব বন্ধ হবে না।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির বরাতে বলা হয়, ভারতের কংগ্রেস ও বিজেপি, শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে ও বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই সূত্র বলেছে, ‘এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই নিশ্চিত হয়নি। এ সবকিছুই প্রাথমিক আলোচনা।’
ওভেলিনোর প্রধান নির্বাহী ত্যাগি বলেন, ‘এই বিতর্কের ব্যাপারে আমরা ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের কর্মকর্তারা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আইনি প্রতিকারের উপায় খুঁজছেন। কোনো অভিযোগই এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি। আমরা অংশীদার। যদি কোনো কিছু ভারতের আইনের লঙ্ঘন করেছে বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা এই অংশীদারিত্ব পুনর্বিবেচনা করবো।’
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে আইন ও নীতিমালার বিষয়টি জটিল ও একেক দেশে একেক রকম। তার ভাষ্য, ‘যে জিনিসটি কোনো দেশে বেআইনি ও অনৈতিক, তা হয়তো ভারতে অবৈধ নয়। আবার উল্টোটাও সত্য। এখনো কিছু বলার সময় আসেনি।’
নিজেদের ওয়েবসাইটে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা লিখেছে, ২০১০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ভোটারদের ওপর গভীর বিশ্লেষণ সরবরাহের কাজে এটি চুক্তিবদ্ধ ছিল। এতে আরো লেখা হয়, ‘আমাদের গ্রাহক (বিজেপি-জেড ইউ) ওই নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় অর্জন করে। যেসব আসন ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা টার্গেট করেছিল, সেখানকার ৯০ শতাংশেরও বেশি আসনে আমাদের গ্রাহক জয়লাভ করেছে।’
উল্লেখ্য, ওভেলিনোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অমরিশ ত্যাগি হলেন জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর জ্যেষ্ঠ নেতা ও রাজ্যসভার সাবেক এমপি কেসি ত্যাগির ছেলে। ২০১০ সালে বিহার নির্বাচনে বিজেপি ও জনতা দল (জেড ইউ) জোট বাঁধে। ওই সময় ওভেলিনো ওই জোটের পক্ষে কাজ করেছিল।
এরপর উত্তর প্রদেশে ২০১২ সালে বিজেপির সঙ্গে কাজ করেন তিনি। ওভেলিনো মূলত বুথ-পর্যায়ে কাজ করে। ত্যাগি বলেন, জনতত্ত্ব ও বর্ণ বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটি তার গ্রাহক রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। ত্যাগি ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় ট্রাম্প প্রচারাভিযানের পক্ষে ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করার কাজ করেন।
তিনি বলেন, ‘ওভেলিনোর মাধ্যমে আমি অনেক প্রার্থীর সঙ্গেও কাজ করেছি। ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও আমি করেছি। তবে এখানে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কোনো রাজনৈতিক প্রকল্পে জড়িত ছিল না।’
তিনি ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার মতো ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রোফাইলিং করেছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একদমই না। এখানে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার কোনো প্রকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেন্দ্রিক কাজ করার প্রশ্নই উঠে না।’
No comments