সরকারের সঙ্গে বিএনপির আলোচনার খবর গুজব
আগে
থেকেই গুজব ছিল। কিন্তু ক’দিন আগে বিএনপির সিনিয়র নেতারা যখন কারাগারে
গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তখন গুজব রীতিমতো ডালপালা মেলতে থাকে।
কারাবন্দি খালেদা জিয়া ও তার দলের অনেক সিনিয়র নেতার সঙ্গে পর্দার আড়ালে
সরকারের আলোচনা হচ্ছে- এ মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
এমনকি ঢাকার বেশকিছু পত্রিকায়ও এ ধরনের খবর ছাপা হয়।
খবরটি কতটুকু সঠিক জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক কথায় উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সত্য নয়। মির্জা ফখরুল ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য সরকারই ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলো প্রকাশের ব্যবস্থা করছে। আমরা তো বরাবরই আলোচনার কথা বলে আসছি। সরকার তো এ ব্যাপারে কখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। এ অবস্থায় জেলের অভ্যন্তরে খালেদা জিয়া এসব বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং দেশনেত্রীকে জেলে রেখে আমরা এসব বিষয়ে কথা বলবো- এটা কল্পনা করা সঠিক নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে এক শর্তে। তিনি যদি দলকে নির্বাচনমুখী করেন। আর সে নির্বাচনে কিছু সিটের বিনিময়ে সমঝোতায় রাজি হন। ঢাকার পত্রিকায় এও খবর বেরিয়েছে, খালেদা জিয়া যদি বিদেশ চলে যেতে রাজি হন এবং তার পরিবারের কেউ নির্বাচনে অংশ না নেন তবে তিনি মুক্তি পাবেন।
এদিকে, বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাযাত্রা যে দীর্ঘ হচ্ছে তা এখন অনেকটাই খোলাসা হয়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের আদেশের পর এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, অন্তত মে’র দ্বিতীয় সপ্তাহ’র আগে তার কারামুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি গুলশানের বাসা ছাড়ার সময় কারাগারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই বেরিয়ে ছিলেন খালেদা জিয়া। পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেয়ার সময় বলেছিলেন, ফিরে আসবেন। বিএনপির মধ্যে ভাবনা ছিল কারাগারে গেলেও খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন সেখানে থাকতে হবে না। বিশেষ করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুই/চার দিনের মধ্যেই তিনি জামিন পেয়ে যাবেন দলটির আইনজীবীদের ধারণা ছিল অনেকটা তাই। কিন্তু আইনি লড়াইয়ে বারবারই তাদের বিস্মিত হতে হয়েছে। আর তাদের জন্য চূড়ান্ত বিস্ময় হয়ে আসে সোমবার আপিল বিভাগের দেয়া আদেশ।
পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানও কথা বলেছেন, শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে। কারাগারে যাওয়ার আগে এবং কারাগারে যাওয়ার পর দেখা করতে যাওয়া নেতাদের খালেদা জিয়া নির্দেশনা দিয়ে যান, যেকোনো পরিস্থিতিতে তার জন্য যেন কোনো সংঘাতপূর্ণ কর্মসূচি দেয়া না হয়। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি না দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পরামর্শ দেন তিনি। খালেদা জিয়ার সে নির্দেশনা বিএনপি এখন পর্যন্ত পুরোটাই মেনে চলেছে। মামুলি কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারাও অংশ নেন। এতে সারা দেশেই বিএনপির মধ্যে এক ধরনের প্রাণচাঞ্চল্যও তৈরি হয়েছিলো। যদিও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত হওয়ার পর দলটির মধ্যে হতাশাও তৈরি হয়েছে। বর্তমান অবস্থায়ও বিএনপি কোনো ধরনের সংঘাতময় কর্মসূচিতে যেতে চাচ্ছে না। একটি সূত্রে জানা গেছে, দলের জন্য খালেদা জিয়ার নির্দেশনা হচ্ছে তার ব্যাপারে সরকার যতো কঠোরই হোক কেন এ নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির মধ্যে থাকতে হবে। কোনো ধরনের উস্কানিতে পা না দিতে দলের নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য জামিন স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরও বিএনপি প্রধানের এ ধরনের মনোভাবে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে সূত্রের দাবি।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপিকে শুধু দলীয় প্রধানের মুক্তি নয়, আগামী নির্বাচন নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। সরকারি দল এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, সরকারি দল চায় না বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। তবে বিএনপি ভেঙে এর কোনো অংশকে নির্বাচনে নেয়ার প্রচেষ্টা ক্ষমতাসীনদের থাকতে পারে বলে বিএনপির কোনো কোনো নেতা মনে করেন। এ নিয়েই প্রকাশ্যেই তারা কথা বলছেন। এই যখন অবস্থা তখন বিএনপি কি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে?
খবরটি কতটুকু সঠিক জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক কথায় উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সত্য নয়। মির্জা ফখরুল ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য সরকারই ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলো প্রকাশের ব্যবস্থা করছে। আমরা তো বরাবরই আলোচনার কথা বলে আসছি। সরকার তো এ ব্যাপারে কখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। এ অবস্থায় জেলের অভ্যন্তরে খালেদা জিয়া এসব বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং দেশনেত্রীকে জেলে রেখে আমরা এসব বিষয়ে কথা বলবো- এটা কল্পনা করা সঠিক নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে এক শর্তে। তিনি যদি দলকে নির্বাচনমুখী করেন। আর সে নির্বাচনে কিছু সিটের বিনিময়ে সমঝোতায় রাজি হন। ঢাকার পত্রিকায় এও খবর বেরিয়েছে, খালেদা জিয়া যদি বিদেশ চলে যেতে রাজি হন এবং তার পরিবারের কেউ নির্বাচনে অংশ না নেন তবে তিনি মুক্তি পাবেন।
এদিকে, বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাযাত্রা যে দীর্ঘ হচ্ছে তা এখন অনেকটাই খোলাসা হয়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের আদেশের পর এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, অন্তত মে’র দ্বিতীয় সপ্তাহ’র আগে তার কারামুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি গুলশানের বাসা ছাড়ার সময় কারাগারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই বেরিয়ে ছিলেন খালেদা জিয়া। পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেয়ার সময় বলেছিলেন, ফিরে আসবেন। বিএনপির মধ্যে ভাবনা ছিল কারাগারে গেলেও খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন সেখানে থাকতে হবে না। বিশেষ করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুই/চার দিনের মধ্যেই তিনি জামিন পেয়ে যাবেন দলটির আইনজীবীদের ধারণা ছিল অনেকটা তাই। কিন্তু আইনি লড়াইয়ে বারবারই তাদের বিস্মিত হতে হয়েছে। আর তাদের জন্য চূড়ান্ত বিস্ময় হয়ে আসে সোমবার আপিল বিভাগের দেয়া আদেশ।
পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানও কথা বলেছেন, শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে। কারাগারে যাওয়ার আগে এবং কারাগারে যাওয়ার পর দেখা করতে যাওয়া নেতাদের খালেদা জিয়া নির্দেশনা দিয়ে যান, যেকোনো পরিস্থিতিতে তার জন্য যেন কোনো সংঘাতপূর্ণ কর্মসূচি দেয়া না হয়। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি না দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পরামর্শ দেন তিনি। খালেদা জিয়ার সে নির্দেশনা বিএনপি এখন পর্যন্ত পুরোটাই মেনে চলেছে। মামুলি কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারাও অংশ নেন। এতে সারা দেশেই বিএনপির মধ্যে এক ধরনের প্রাণচাঞ্চল্যও তৈরি হয়েছিলো। যদিও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত হওয়ার পর দলটির মধ্যে হতাশাও তৈরি হয়েছে। বর্তমান অবস্থায়ও বিএনপি কোনো ধরনের সংঘাতময় কর্মসূচিতে যেতে চাচ্ছে না। একটি সূত্রে জানা গেছে, দলের জন্য খালেদা জিয়ার নির্দেশনা হচ্ছে তার ব্যাপারে সরকার যতো কঠোরই হোক কেন এ নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির মধ্যে থাকতে হবে। কোনো ধরনের উস্কানিতে পা না দিতে দলের নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য জামিন স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরও বিএনপি প্রধানের এ ধরনের মনোভাবে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে সূত্রের দাবি।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপিকে শুধু দলীয় প্রধানের মুক্তি নয়, আগামী নির্বাচন নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। সরকারি দল এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, সরকারি দল চায় না বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। তবে বিএনপি ভেঙে এর কোনো অংশকে নির্বাচনে নেয়ার প্রচেষ্টা ক্ষমতাসীনদের থাকতে পারে বলে বিএনপির কোনো কোনো নেতা মনে করেন। এ নিয়েই প্রকাশ্যেই তারা কথা বলছেন। এই যখন অবস্থা তখন বিএনপি কি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে?
No comments