ফুর্তির টাকা জোগাড় করতে গিয়ে মা-মেয়েকে খুন
ফুর্তির
টাকা জোগাড় করতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নানী বেসেত চিরান ও খালা সুজাতা
চিরানকে খুন করে সঞ্জীব চিরান। আর এ কাজে সহযোগিতা করে রাজু সাংমা ওরফে
রাসেল, প্রবীণ সাংমা ও শুভ চিসিম ওরফে শান্ত নামে তার তিন বন্ধু। মঙ্গলবার
সন্ধ্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে সঞ্জীবসহ এই চারজনকে গ্রেপ্তার করে
র্যাব-১ এর সদস্যরা। র্যাব বলছে, চারজনই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা
স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছোরা জব্দ করেছে র্যাব। জড়িতদের
গ্রেপ্তারের পর গতকাল রাজধানীর কাওরানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ
সম্মেলনে একথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক
কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান। গুলশানের কালাচাঁদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গত
বুধবার রাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ি থেকে চার তরুণকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, মূল পরিকল্পনাকারী সঞ্জীব চিরান (২১), তার বন্ধু
রাজু সাংমা রাসেল (২৪), প্রবীণ (১৯) ও শুভ চিসিম শান্ত (১৮)। সংবাদ
সম্মেলনে কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, মা-মেয়েকে হত্যার পর শেরপুরের
নালিতাবাড়িতে ফিরে যায় হত্যাকারীরা। তারা আত্মগোপন করতে অবৈধপথে পাশের কোনো
দেশে যাওয়ার পরিকল্পনাও করছিল। তার আগেই র্যাব তাদের অবস্থান সম্পর্কে
অবগত হয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর গতকাল সকাল ৯টার দিকে
উত্তরার আব্দুল্লাহপুরের একটি বাস কাউন্টারের পেছন থেকে হত্যাকাণ্ডে
ব্যবহৃত একটি ছোরা জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার
বিষয়টি স্বীকার করেছে আসামিরা।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, স্টার সানডে উপলক্ষে টাকার দরকার ছিল সঞ্জীব ও তার বন্ধুদের। সঞ্জীবের খালা সুজাতার পরিবারের সবাই চাকরিজীবী। তাদের ধারণা ছিল সুজাতার বাসায় পাঁচ-ছয় লাখ টাকা পাওয়া যেতে পারে। ওই টাকা চুরি করে আনন্দ-ফুর্তি করার ইচ্ছে ছিল তাদের। মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এ কারণেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৯শে মার্চ সঞ্জীব, শান্ত ও প্রবীণ ঢাকায় আসে। ঢাকায় কুড়িলে তাদের আরেক বন্ধু রাজুর সঙ্গে দেখা করে। রাজুর বাসায় স্থান সংকট থাকায় উত্তরায় তাদের আরেক বন্ধুর বাসায় রাতযাপন করে। পরের দিন সকালে সঞ্জীব, শান্ত ও প্রবীণ কুড়িলে রাজুর সঙ্গে দেখা করে হত্যা পরিকল্পনার কথা তাকে জানায়। পরিকল্পনা অনুসারে রাজুর বাসা থেকে একটি ছোরা সংগ্রহ করে তারা। ওই ছোরা নিয়ে যায় কালাচাঁদপুরে সুজাতার বাসায়। প্রথমে ওই বাসায় যায় রাজু ও প্রবীণ। তারা বাসায় সুজাতা ও তার মেয়ে মায়াবী এবং সুজাতার মা বেসেতকে দেখে ফিরে এসে সঞ্জীবকে জানায়। এরপর আসামিরা পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আশেপাশে অবস্থান করে। বিকাল তিনটার দিকে সঞ্জীবসহ তার বন্ধুরা সুজাতার বাসায় প্রবেশ করে। সেখানে হালকা নাশতা খাওয়ার পর সঞ্জীব তার খালা সুজাতাকে ২০০ টাকা দেয় এবং দেশি মদ আনতে বলে। ওই সময়ে সুজাতার মেয়ে মায়াবী তার কর্মস্থলে চলে যায়। পরে সবাই মিলে মদ পান করে। সুজাতা মদ্যপ হয়ে বিছানায় পড়ে যান।
সঞ্জীব ও তার বন্ধুরা তখন চুরির প্রস্তুতি নেয়। এ সময় সুজাতার মা বেসেত (সঞ্জীবের নানী) বাসায় ফিরে এলে চুরি করার সম্ভাবনা ভেস্তে যায় তাদের। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বেসেত চিরানকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে পাশের ঘরে বেহুঁশ থাকা খালা সুজাতার ওপর সঞ্জীব চড়ে বসে। এসময় সঞ্জীবের বন্ধু রাজু মুখে বালিশচাপা দিয়ে ধরে। এরপর ছোরা দিয়ে শরীরে ও গলায় আঘাত করে সঞ্জীব। হত্যাকাণ্ডের পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ঘরে কোনো টাকা পায়নি তারা। টাকা না পেয়ে আসামিরা উত্তরায় চলে যায়। হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে নালিতাবাড়িতে চলে যায় তারা। সেখান থেকে আত্মগোপন করতে দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছিল হত্যাকারীরা।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এ বিষয়ে আসামিদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো তথ্য জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২০শে মার্চ রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে শিশু মালঞ্চ স্কুল রোডের ক-৫৮ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলা বাসায় সুজাতা চিরান (৪০) ও তার মা বেসেত চিরান (৬৫)কে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, স্টার সানডে উপলক্ষে টাকার দরকার ছিল সঞ্জীব ও তার বন্ধুদের। সঞ্জীবের খালা সুজাতার পরিবারের সবাই চাকরিজীবী। তাদের ধারণা ছিল সুজাতার বাসায় পাঁচ-ছয় লাখ টাকা পাওয়া যেতে পারে। ওই টাকা চুরি করে আনন্দ-ফুর্তি করার ইচ্ছে ছিল তাদের। মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এ কারণেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৯শে মার্চ সঞ্জীব, শান্ত ও প্রবীণ ঢাকায় আসে। ঢাকায় কুড়িলে তাদের আরেক বন্ধু রাজুর সঙ্গে দেখা করে। রাজুর বাসায় স্থান সংকট থাকায় উত্তরায় তাদের আরেক বন্ধুর বাসায় রাতযাপন করে। পরের দিন সকালে সঞ্জীব, শান্ত ও প্রবীণ কুড়িলে রাজুর সঙ্গে দেখা করে হত্যা পরিকল্পনার কথা তাকে জানায়। পরিকল্পনা অনুসারে রাজুর বাসা থেকে একটি ছোরা সংগ্রহ করে তারা। ওই ছোরা নিয়ে যায় কালাচাঁদপুরে সুজাতার বাসায়। প্রথমে ওই বাসায় যায় রাজু ও প্রবীণ। তারা বাসায় সুজাতা ও তার মেয়ে মায়াবী এবং সুজাতার মা বেসেতকে দেখে ফিরে এসে সঞ্জীবকে জানায়। এরপর আসামিরা পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আশেপাশে অবস্থান করে। বিকাল তিনটার দিকে সঞ্জীবসহ তার বন্ধুরা সুজাতার বাসায় প্রবেশ করে। সেখানে হালকা নাশতা খাওয়ার পর সঞ্জীব তার খালা সুজাতাকে ২০০ টাকা দেয় এবং দেশি মদ আনতে বলে। ওই সময়ে সুজাতার মেয়ে মায়াবী তার কর্মস্থলে চলে যায়। পরে সবাই মিলে মদ পান করে। সুজাতা মদ্যপ হয়ে বিছানায় পড়ে যান।
সঞ্জীব ও তার বন্ধুরা তখন চুরির প্রস্তুতি নেয়। এ সময় সুজাতার মা বেসেত (সঞ্জীবের নানী) বাসায় ফিরে এলে চুরি করার সম্ভাবনা ভেস্তে যায় তাদের। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বেসেত চিরানকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে পাশের ঘরে বেহুঁশ থাকা খালা সুজাতার ওপর সঞ্জীব চড়ে বসে। এসময় সঞ্জীবের বন্ধু রাজু মুখে বালিশচাপা দিয়ে ধরে। এরপর ছোরা দিয়ে শরীরে ও গলায় আঘাত করে সঞ্জীব। হত্যাকাণ্ডের পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ঘরে কোনো টাকা পায়নি তারা। টাকা না পেয়ে আসামিরা উত্তরায় চলে যায়। হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে নালিতাবাড়িতে চলে যায় তারা। সেখান থেকে আত্মগোপন করতে দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছিল হত্যাকারীরা।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এ বিষয়ে আসামিদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো তথ্য জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২০শে মার্চ রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে শিশু মালঞ্চ স্কুল রোডের ক-৫৮ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলা বাসায় সুজাতা চিরান (৪০) ও তার মা বেসেত চিরান (৬৫)কে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
No comments