আবিদের স্ত্রীর অবস্থার অবনতি
নেপালের
কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের স্ত্রী
আফসানা খানমের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
রাখা যাচ্ছে না। গতকাল আফসানা খানমের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল
নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ডা. বদরুল আলম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আফসানার মস্তিষ্ক একেবারেই কাজ করছে না, তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
রাখা যাচ্ছে না। বুধবার পর্যন্ত রক্তচাপ ঠিক রাখতে যে পরিমাণ ওষুধ দিতে
হয়েছে গতকাল সকালে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে হয়েছে। ড. বদরুল আলম বলেন,
আফসানার কিডনিও আজ (গতকাল) ভালো কাজ করছে না। এর আগে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ মিলি
ইউরিন নির্গমন হলেও এখন তা কমে ৫০ এর নিচে নেমেছে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার
ক্যাপ্টেন আবিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তারা সভা করেছেন। সেখানে আবিদের
ছোট ভাই অনুরোধ করেছেন যতক্ষণ সম্ভব লাইফ সাপোর্ট দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে
যেতে। তারা এখনো আশায় বুক বেঁধে আছেন। ডা. বদরুল বলেন, তারা তাদের মতো
চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে তা আবিদের পরিবারের সঙ্গে
কথা বলে নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ৭১ আরোহী নিয়ে গত ১২ই মার্চ দুপুরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস বাংলার ফ্লাইট বিএস-২১১ বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ৫১ আরোহী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে উড়োজাহাজের পাইলট আবিদ সুলতানও ছিলেন। আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা খানম দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। প্রথমে তিনি জেনেছিলেন স্বামী আবিদ আহত অবস্থায় নেপালে চিকিৎসাধীন। পরে আবিদের মৃত্যুর খবরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। গত রোববার ব্রেইন স্ট্রোক করেন আফসানা। প্রথমে তাকে উত্তরায় বাসার কাছে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে শেরেবাংলা নগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে তিনি ফের স্ট্রোক করলে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ৭১ আরোহী নিয়ে গত ১২ই মার্চ দুপুরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস বাংলার ফ্লাইট বিএস-২১১ বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ৫১ আরোহী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে উড়োজাহাজের পাইলট আবিদ সুলতানও ছিলেন। আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা খানম দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। প্রথমে তিনি জেনেছিলেন স্বামী আবিদ আহত অবস্থায় নেপালে চিকিৎসাধীন। পরে আবিদের মৃত্যুর খবরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। গত রোববার ব্রেইন স্ট্রোক করেন আফসানা। প্রথমে তাকে উত্তরায় বাসার কাছে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে শেরেবাংলা নগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে তিনি ফের স্ট্রোক করলে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।
No comments