বর্তমান অবস্থায় খালেদা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না -সিইসি
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান অবস্থায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে
পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
সিইসি বলেছেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ নির্ভর করছে উচ্চ আদালতের
সিদ্ধান্তের উপর। সোমবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এর আগে ঢাকায় সফররত
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি
জানিয়েছিলেন, খালেদার বিষয়ে উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দেবে। এ ব্যাপারে ইসি’র
কিছু করার নেই। গতকাল খালেদার নির্বাচনের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের
প্রশ্নের জবাবে কেএম নূরুল হুদা বলেন, এখন যে অবস্থায় তিনি (খালেদা) আছেন
এতে নির্বাচন করতে পারবেন না।
এখন উনি তো সাজাপ্রাপ্ত। এরপর সুপিরিয়র কোর্টে গেলে তারা যেভাবে নির্দেশ দেবেন সেভাবে হবে। এখনও আপিল করেননি। সে রকম পরিস্থিতি হলে কি হবে সেটা তো বললাম। আপিল যখন করেননি ওই অবস্থায় সাজা আছে।
সুতরাং ওই অবস্থায় তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। তারপর উচ্চ আদালতে গেলে কি রকম ডিরেকশন আসে তার ওপর নির্ভর করি আমরা। বিএনপি’র চেয়ারপারসন নির্বাচন করতে পারবেন কি না, এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। ফলে আইনি ব্যাখ্যারও প্রয়োজন আছে। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কোনও আলাপ হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, খালেদা জিয়ার মোকদ্দমা নিয়ে এখানে কোনও কথা হয়নি। আইনত তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমার যেটা মনে হয়, আমিও তো একজন বিচারক ছিলাম। এডিএম (অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) ছিলাম। সামান্য জ্ঞানে যেটা মনে হয়, এখন যে অবস্থানে আছেন, এখন তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। এখন তিনি অভিযুক্ত।
এরপর সর্বোচ্চ কোর্টে গেলে যে রকম নির্দেশ আসবে, সে রকম হবে। এ নিয়ে তো দু’টি মত আছে। একটা মত আছে, মামলা বিচারাধীন থাকলে নির্বাচন করতে পারবেন। আরেকটা মত আছে, নির্বাচন করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএম নূরুল হুদা বলেন, এই সব জিনিস সবসময়ই উচ্চ আদালতের বিবেচনাধীন। উচ্চ আদালতের নির্দেশের ওপরে আমাদের কাজ করতে হয়। কেএম নূরুল হুদার এক বক্তব্য তুলে ধরে জানতে চাওয়া হয়, আপনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে সেটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। এখন উচ্চ আদালত থেকে আপিল নিষ্পত্তি হয়ে যদি এ রকম একটা পরিস্থিতি হয় যে, বিএনপি চেয়ারপারসন নির্বাচনে আসতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে কী বলবেন? উত্তরে সিইসি বলেন, এত দূরের কথা বলা যাবে না। এখনও তো অনেক সময় আছে। নির্বাচন তো অনেক দূরে। কী অবস্থা হবে, তা বলা মুশকিল। আমাদের কাছে উচ্চ আদালত আছে, সুপ্রিম কোর্ট আছে, তারপর আমরা আছি।
আমি আশা করি যে, এই সমস্যার সমাধান হবে। আমি এও আশা করি যে, সব সমস্যার সমাধান করে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিন। এখন কোর্টের যে সিদ্ধান্ত, সেটা তো আমাদের মানতে হবে। বিএনপি গঠনতন্ত্র সংশোধনের কথা বলছে। সেখানে তারা কী সংশোধন চেয়েছে, তা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমরা তো তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করবো না। তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে। আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। কিন্তু তা আইনসিদ্ধ হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে সে বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কেন সাক্ষাৎ করতে এসেছেন, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। প্রধান বিচারপতি সংবিধানের প্রথম স্থানের একজন লোক। সে হিসেবে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলাম। অনেক আগেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতাম। কিন্তু তিনি ব্যস্ত থাকায় আজ এলাম। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানতে চাইলে বলেন, সাক্ষাতে আমরা বলেছি যে, নির্বাচনের সময় আপনাদের কাছ থেকে যেন সহযোগিতা পাই, সহমর্মিতা পাই। এছাড়া আর কোনও ইস্যু ছিল না।
নির্বাচন কমিশনের অনেক মামলা বিচারাধীন। এসব মামলার বিবাদী হিসেবে আপনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতে পারেন কিনা? উত্তরে সিইসি বলেন, না না, এখানে এসে দেখা করা যায় না। কিন্তু এটা তো তার চেম্বার। মামলা-মোকদ্দমা যেগুলো আমরা ফেস করি, সেগুলো তো কোর্টের মাধ্যমে হয়, আমাদের আইনজীবী আছে। ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার আমরা দেই, তার ওপরে হয়। নির্বাচন কমিশনকে বিচার বিভাগ কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারে, তা জানতে চাইলে কেএম নূরুল হুদা বলেন, পুরোপুরি সহযোগিতা। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য হাইকোর্টের ভূমিকা হলো যে, যেন আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারি। আইনের জটিলতা যদি থাকে, সেটা কীভাবে নিষ্পত্তি করে সময়মতো নির্বাচন উত্তরণ করা যায়, এগুলো তো করেই থাকে সবসময়। এর আগে সিইসি বেলা ২টা ১০ মিনিটে প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় প্রবেশ করেন। এ সময় তার হাতে ফুল ছিল। বেলা ৩৫ মিনিটে সেখানে থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। সিইসি’র সুপ্রিম কোর্টে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে সর্বোচ্চ আদালতের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মূলত সৌজন্য সাক্ষাতের উদ্দেশ্যেই সিইসি এসেছেন।
এখন উনি তো সাজাপ্রাপ্ত। এরপর সুপিরিয়র কোর্টে গেলে তারা যেভাবে নির্দেশ দেবেন সেভাবে হবে। এখনও আপিল করেননি। সে রকম পরিস্থিতি হলে কি হবে সেটা তো বললাম। আপিল যখন করেননি ওই অবস্থায় সাজা আছে।
সুতরাং ওই অবস্থায় তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। তারপর উচ্চ আদালতে গেলে কি রকম ডিরেকশন আসে তার ওপর নির্ভর করি আমরা। বিএনপি’র চেয়ারপারসন নির্বাচন করতে পারবেন কি না, এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। ফলে আইনি ব্যাখ্যারও প্রয়োজন আছে। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কোনও আলাপ হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, খালেদা জিয়ার মোকদ্দমা নিয়ে এখানে কোনও কথা হয়নি। আইনত তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমার যেটা মনে হয়, আমিও তো একজন বিচারক ছিলাম। এডিএম (অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) ছিলাম। সামান্য জ্ঞানে যেটা মনে হয়, এখন যে অবস্থানে আছেন, এখন তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। এখন তিনি অভিযুক্ত।
এরপর সর্বোচ্চ কোর্টে গেলে যে রকম নির্দেশ আসবে, সে রকম হবে। এ নিয়ে তো দু’টি মত আছে। একটা মত আছে, মামলা বিচারাধীন থাকলে নির্বাচন করতে পারবেন। আরেকটা মত আছে, নির্বাচন করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএম নূরুল হুদা বলেন, এই সব জিনিস সবসময়ই উচ্চ আদালতের বিবেচনাধীন। উচ্চ আদালতের নির্দেশের ওপরে আমাদের কাজ করতে হয়। কেএম নূরুল হুদার এক বক্তব্য তুলে ধরে জানতে চাওয়া হয়, আপনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে সেটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। এখন উচ্চ আদালত থেকে আপিল নিষ্পত্তি হয়ে যদি এ রকম একটা পরিস্থিতি হয় যে, বিএনপি চেয়ারপারসন নির্বাচনে আসতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে কী বলবেন? উত্তরে সিইসি বলেন, এত দূরের কথা বলা যাবে না। এখনও তো অনেক সময় আছে। নির্বাচন তো অনেক দূরে। কী অবস্থা হবে, তা বলা মুশকিল। আমাদের কাছে উচ্চ আদালত আছে, সুপ্রিম কোর্ট আছে, তারপর আমরা আছি।
আমি আশা করি যে, এই সমস্যার সমাধান হবে। আমি এও আশা করি যে, সব সমস্যার সমাধান করে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিন। এখন কোর্টের যে সিদ্ধান্ত, সেটা তো আমাদের মানতে হবে। বিএনপি গঠনতন্ত্র সংশোধনের কথা বলছে। সেখানে তারা কী সংশোধন চেয়েছে, তা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমরা তো তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করবো না। তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে। আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। কিন্তু তা আইনসিদ্ধ হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে সে বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কেন সাক্ষাৎ করতে এসেছেন, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। প্রধান বিচারপতি সংবিধানের প্রথম স্থানের একজন লোক। সে হিসেবে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলাম। অনেক আগেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতাম। কিন্তু তিনি ব্যস্ত থাকায় আজ এলাম। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানতে চাইলে বলেন, সাক্ষাতে আমরা বলেছি যে, নির্বাচনের সময় আপনাদের কাছ থেকে যেন সহযোগিতা পাই, সহমর্মিতা পাই। এছাড়া আর কোনও ইস্যু ছিল না।
নির্বাচন কমিশনের অনেক মামলা বিচারাধীন। এসব মামলার বিবাদী হিসেবে আপনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতে পারেন কিনা? উত্তরে সিইসি বলেন, না না, এখানে এসে দেখা করা যায় না। কিন্তু এটা তো তার চেম্বার। মামলা-মোকদ্দমা যেগুলো আমরা ফেস করি, সেগুলো তো কোর্টের মাধ্যমে হয়, আমাদের আইনজীবী আছে। ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার আমরা দেই, তার ওপরে হয়। নির্বাচন কমিশনকে বিচার বিভাগ কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারে, তা জানতে চাইলে কেএম নূরুল হুদা বলেন, পুরোপুরি সহযোগিতা। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য হাইকোর্টের ভূমিকা হলো যে, যেন আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারি। আইনের জটিলতা যদি থাকে, সেটা কীভাবে নিষ্পত্তি করে সময়মতো নির্বাচন উত্তরণ করা যায়, এগুলো তো করেই থাকে সবসময়। এর আগে সিইসি বেলা ২টা ১০ মিনিটে প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় প্রবেশ করেন। এ সময় তার হাতে ফুল ছিল। বেলা ৩৫ মিনিটে সেখানে থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। সিইসি’র সুপ্রিম কোর্টে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে সর্বোচ্চ আদালতের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মূলত সৌজন্য সাক্ষাতের উদ্দেশ্যেই সিইসি এসেছেন।
No comments