বান্দরবানে ১৪০তম ঐতিহ্যবাহী রাজপূণ্যাহ শুরু
বান্দরবানে বোমাং সার্কেলের ঐতিহ্যবাহী রাজপূণ্যাহ উৎসব শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর)সকালে। খাজনা আদায়ী উৎসব রাজপূণ্যাহের ১৪০তম আয়োজন এটি। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন মৌজার প্রধানরা প্রজাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা খাজনা রাজাকে দিয়ে থাকেন।
এবারের এ রাজপূণ্যাহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীরবাহাদুর উশৈ সিং এমপিসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার রাজপূণ্যাহ মেলার উদ্বোধনীদিনে ঐতিহ্যবাহী রাজকীয় পোশাক পরিধান করে রাজবাড়ি থেকে রাজকীয় বাঁশির সুরে অনুষ্ঠানস্থলে নেমে আসেন বান্দরবান বোমাং সার্কেল চিফ ১৭তম রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু চৌধুরী। এসময় তার সৈন্য-সামন্ত, উজির-নাজির, সিপাহীশালাররা রাজাকে গার্ড দিয়ে রাজবাড়ি থেকে অনুষ্ঠানস্থল মঞ্চে নিয়ে আসেন। বোমাং রাজা সিংহাসনে উপবিষ্ট হলে সারিবদ্ধভাবে বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলার ৯৫টি মৌজা এবং রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই ও রাজস্থলী দুটি উপজেলার ১৪টি মৌজাসহ মোট ১০৯টি মৌজার হেডম্যান, ৮ শতাধিকেরও বেশি কারবারি, রোয়াজারা রাজাকে কুর্নিশ করে জুমের বার্ষিক খাজনা ও উপঢৌকন রাজার হাতে তুলে দিবেন। এদিকে বান্দরবানের রাজপূণ্যাহ মেলাকে ঘিরে বান্দরবানে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার থেকে বান্দরবানের কোনও হোটেল মোটেলের সিট খালি নেই বলে জানান বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষ।
বান্দরবান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর বলেন, ‘এবারের মেলায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে আমাদের বান্দরবানের নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্যরকম আমেজের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ মেলায় আমাদের প্রাণপ্রিয় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। এতে করে এবারের এ খাজনা আদায়ী উৎসব অন্যান্য বারের চেয়ে ব্যতিক্রম হয়েছে।’
এদিকে রাজপুত্র বনি বলেন, ‘এবার ১৪০তম রাজপূণ্যাহ হলেও এটি আমার পিতার চতুর্থ রাজপূণ্যাহের আয়োজন। এটি শুধু আমার বাবা নয়, অতীতে যারা রাজা ছিলেন তারাও করেছেন। ভবিষ্যতে যারা রাজা হবেন তারাও করবেন। এটি আমাদের রাজবংশের ঐতিহ্য।’
এদিকে হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সেক্রেটারি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজপূণ্যাহই শুধু নয়, সরকারি ছুটি এবং ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়া সব কিছুরই প্রভাব পড়েছে এ মৌসুমে। ১০-১২দিন আগে থেকেই ২১ তারিখের বুকিং হয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের এখানে কোনও সিট খালি নেই। এ মাসের শেষ পর্যন্ত মোটামুটি বুকিং রয়েছে। তবে সরকারি অফিস খোলার দিনে কিছু কিছু হোটেলে সীমিত সংখ্যক সিট খালি রয়েছে।’
বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, ‘মেলা ও শীতের ছুটি উপলক্ষে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক আসছেন। পর্যটকের যেন কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া মেলাতেও যেন কোনরকম অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে সে জন্য সেখানেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক মোতায়েন করা হবে।’
এবারের এ রাজপূণ্যাহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীরবাহাদুর উশৈ সিং এমপিসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার রাজপূণ্যাহ মেলার উদ্বোধনীদিনে ঐতিহ্যবাহী রাজকীয় পোশাক পরিধান করে রাজবাড়ি থেকে রাজকীয় বাঁশির সুরে অনুষ্ঠানস্থলে নেমে আসেন বান্দরবান বোমাং সার্কেল চিফ ১৭তম রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু চৌধুরী। এসময় তার সৈন্য-সামন্ত, উজির-নাজির, সিপাহীশালাররা রাজাকে গার্ড দিয়ে রাজবাড়ি থেকে অনুষ্ঠানস্থল মঞ্চে নিয়ে আসেন। বোমাং রাজা সিংহাসনে উপবিষ্ট হলে সারিবদ্ধভাবে বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলার ৯৫টি মৌজা এবং রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই ও রাজস্থলী দুটি উপজেলার ১৪টি মৌজাসহ মোট ১০৯টি মৌজার হেডম্যান, ৮ শতাধিকেরও বেশি কারবারি, রোয়াজারা রাজাকে কুর্নিশ করে জুমের বার্ষিক খাজনা ও উপঢৌকন রাজার হাতে তুলে দিবেন। এদিকে বান্দরবানের রাজপূণ্যাহ মেলাকে ঘিরে বান্দরবানে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার থেকে বান্দরবানের কোনও হোটেল মোটেলের সিট খালি নেই বলে জানান বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষ।
বান্দরবান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর বলেন, ‘এবারের মেলায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে আমাদের বান্দরবানের নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্যরকম আমেজের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ মেলায় আমাদের প্রাণপ্রিয় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। এতে করে এবারের এ খাজনা আদায়ী উৎসব অন্যান্য বারের চেয়ে ব্যতিক্রম হয়েছে।’
এদিকে রাজপুত্র বনি বলেন, ‘এবার ১৪০তম রাজপূণ্যাহ হলেও এটি আমার পিতার চতুর্থ রাজপূণ্যাহের আয়োজন। এটি শুধু আমার বাবা নয়, অতীতে যারা রাজা ছিলেন তারাও করেছেন। ভবিষ্যতে যারা রাজা হবেন তারাও করবেন। এটি আমাদের রাজবংশের ঐতিহ্য।’
এদিকে হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সেক্রেটারি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজপূণ্যাহই শুধু নয়, সরকারি ছুটি এবং ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়া সব কিছুরই প্রভাব পড়েছে এ মৌসুমে। ১০-১২দিন আগে থেকেই ২১ তারিখের বুকিং হয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের এখানে কোনও সিট খালি নেই। এ মাসের শেষ পর্যন্ত মোটামুটি বুকিং রয়েছে। তবে সরকারি অফিস খোলার দিনে কিছু কিছু হোটেলে সীমিত সংখ্যক সিট খালি রয়েছে।’
বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, ‘মেলা ও শীতের ছুটি উপলক্ষে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক আসছেন। পর্যটকের যেন কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া মেলাতেও যেন কোনরকম অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে সে জন্য সেখানেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক মোতায়েন করা হবে।’
No comments