সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে
সৌদি
আরবের রাজধানী রিয়াদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতে ইরান ও সৌদি আরবের
মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। ইয়েমেন থেকে হুতি বিদ্রোহীরা ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
চালালেও সৌদি আরব তা আকাশেই বিধ্বস্ত করে দেয়। ফলে কোনো ক্ষতি হয় নি। তবে এ
ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তার
শিহরণ বয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ। এর
কূটনৈতিক সম্পাদক ডমিনিক ওয়াঘোর্ন লিখেছেন, গত মাসে রিয়াদের আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।
সেই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছিল ইরান- এ প্রমাণ হাজির করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এ অবস্থার মধ্যে নতুন করে ওই হামলা চালানো হয়েছে। ওদিকে এ ঘটনা নিয়ে ধারণ করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি তৈরি করেছে সৌদি আরব দৃশ্যত তাই মনে হয়। তাতে দু’পক্ষের মধ্যে উন্মুক্ত যুদ্ধের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। তাহলে আসলে ঘটছে কি? এমন প্রশ্ন রেখে ডমিনিক ওয়াঘোর্নই আবার উত্তর দিচ্ছেন। তিনি লিখেছেন, ইয়েমেনের ন্যক্কারজনক গৃহযুদ্ধে পরস্পর বিরোধী অবস্থান নিয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ। তারা লড়াই করছে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে। হুতিদের আবার সমর্থন দিচ্ছে ইরান। তবে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বিমান হামলা চালিয়ে এত মানুষ হত্যা করার পরও সেই হুতিদের কিন্তু নিবৃত্ত করতে পারে নি। হুতিরা বলেছে, তারা সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বিমান হামলার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ধারণা করা হয়, তাদের কাছে পুরনো আমলের স্কাড-স্টাইলের ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বিস্ময়করভাবে নিখুঁত ও কার্যকর। এর ফলে এমন দাবি জোরালো হচ্ছে যে, এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত ইরান। তবে হুতিদের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করছে ইরান। তাহলে এর সঙ্গে যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জড়িত থাকতে পারে। শিয়া মুসলিমদের এই সংগঠনটি পরিচালিত হয় লেবাবনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে। ইরানের সঙ্গে রয়েছে তাদের সখ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হুতিদের সহযোগিতা করার জন্য সেখানে উপদেষ্টা পাঠায় লেবানন। এর মধ্যে থাকতে পারে প্রকৌশলী ও ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ। তারা হুতিদের কাছে ক্ষেপণাস্ত্রের অংশবিশেষ সরবরাহ করে থাকতে পারেন। স্পর্শকাতর গাইডেন্স সিস্টেম পাচার হতে পারে ইরান থেকে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ থেকে সৌদি আরবকে সরিয়ে দেয়ার জন্য প্রক্সি দিতে পারে ইরান। তবে হুতিরা সর্বশেষ যে প্ররোচনামূলক হামলা চালিয়েছে তার জবাবে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে তা এখনও নিশ্চিত করে নি সৌদি আরব। তবে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে চলছে কথার লড়াই। দু’পক্ষই কঠোর বক্তব্য দিচ্ছে। এ উত্তেজনা অব্যাহত থাকতে তার পরিণতি করুণ হতে পারে। তাই এই উত্তেজনা নিরসন করা যেতে পারে কূটনৈতিক উপায়ে। এখনও পর্যন্ত দৃশ্যত সৌদি আরবের পাশে শক্তভাবে রয়েছে ওয়াশিংটন।
সেই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছিল ইরান- এ প্রমাণ হাজির করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এ অবস্থার মধ্যে নতুন করে ওই হামলা চালানো হয়েছে। ওদিকে এ ঘটনা নিয়ে ধারণ করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি তৈরি করেছে সৌদি আরব দৃশ্যত তাই মনে হয়। তাতে দু’পক্ষের মধ্যে উন্মুক্ত যুদ্ধের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। তাহলে আসলে ঘটছে কি? এমন প্রশ্ন রেখে ডমিনিক ওয়াঘোর্নই আবার উত্তর দিচ্ছেন। তিনি লিখেছেন, ইয়েমেনের ন্যক্কারজনক গৃহযুদ্ধে পরস্পর বিরোধী অবস্থান নিয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ। তারা লড়াই করছে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে। হুতিদের আবার সমর্থন দিচ্ছে ইরান। তবে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বিমান হামলা চালিয়ে এত মানুষ হত্যা করার পরও সেই হুতিদের কিন্তু নিবৃত্ত করতে পারে নি। হুতিরা বলেছে, তারা সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বিমান হামলার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ধারণা করা হয়, তাদের কাছে পুরনো আমলের স্কাড-স্টাইলের ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বিস্ময়করভাবে নিখুঁত ও কার্যকর। এর ফলে এমন দাবি জোরালো হচ্ছে যে, এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত ইরান। তবে হুতিদের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করছে ইরান। তাহলে এর সঙ্গে যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জড়িত থাকতে পারে। শিয়া মুসলিমদের এই সংগঠনটি পরিচালিত হয় লেবাবনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে। ইরানের সঙ্গে রয়েছে তাদের সখ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হুতিদের সহযোগিতা করার জন্য সেখানে উপদেষ্টা পাঠায় লেবানন। এর মধ্যে থাকতে পারে প্রকৌশলী ও ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ। তারা হুতিদের কাছে ক্ষেপণাস্ত্রের অংশবিশেষ সরবরাহ করে থাকতে পারেন। স্পর্শকাতর গাইডেন্স সিস্টেম পাচার হতে পারে ইরান থেকে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ থেকে সৌদি আরবকে সরিয়ে দেয়ার জন্য প্রক্সি দিতে পারে ইরান। তবে হুতিরা সর্বশেষ যে প্ররোচনামূলক হামলা চালিয়েছে তার জবাবে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে তা এখনও নিশ্চিত করে নি সৌদি আরব। তবে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে চলছে কথার লড়াই। দু’পক্ষই কঠোর বক্তব্য দিচ্ছে। এ উত্তেজনা অব্যাহত থাকতে তার পরিণতি করুণ হতে পারে। তাই এই উত্তেজনা নিরসন করা যেতে পারে কূটনৈতিক উপায়ে। এখনও পর্যন্ত দৃশ্যত সৌদি আরবের পাশে শক্তভাবে রয়েছে ওয়াশিংটন।
No comments