সরকারকে অস্থিতিশীল করছে না সেনাবাহিনী- পাকিস্তানি সেনাপ্রধান
পাকিস্তানের
সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া বলেছেন, বেসামরিক সরকারকে
অস্থিতিশীল করে তুলছে না সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার সংসদের সিনেট কমিটিতে দেয়া
এক বক্তব্যে এমনটি বলেন তিনি। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা
ডন। নিজের বক্তব্যে নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, সামরিক-বেসামরিক,
সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম এবং বৈদেশিক নীতি প্রসঙ্গে আলোকপাত করেন তিনি।
তার সঙ্গে বক্তব্য দেন ইন্টার-সার্ভিস ইন্ট্যালিজেন্সের প্রধান লে. জেনারেল
নাভিদ মুখতার, মিলিটারি অপারেশন্সের ডাইরেক্টর জেনারেল- মেজর জেনারেল
সাহির সামশাদ মির্জা এবং মিলিটারি ইন্ট্যালিজেন্সের পরিচালক মেজর জেনারেল
আসিম মুনির। ওই অধিবেশনে জেনারেল বাজওয়া বলেন, তিনি গণতন্ত্র এবং সংবিধানের
আধিপত্যে পূর্ণ বিশ্বাসী।
তবে অতীতে যে কিছু ভুল হয়ে গেছে- এ কথাও স্বীকার করেন তিনি। সাবেক জেনারেল জিয়া এবং মোশাররফের প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, অন্যের ভুলের দায় তাকে দেয়া ঠিক হবে না। উপরন্তু তিনি পার্লামেন্টকে বৈদেশিক ও প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়নে অগ্রগামী ভূমিকা নিতেও আহ্বান করেন। উল্লেখ্য, সিনেটের চেয়ারম্যান মিয়ান রাব্বানির আমন্ত্রণে জেনারেল বাজওয়া গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিতে সেনাবাহিনীর অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। অধিবেশনের মূল লক্ষ্য ছিল, গুরুত্বপূর্ণ জেনারেলদের পাকিস্তানের নানা উদীয়মান জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে নিজেদের ভাবনার কথা জানানো। এর মাধ্যমে এই প্রথম কোনো সেনাপ্রধান সিনেট কমিটিতে ভাষণ দিলেন। ওই অধিবেশনের প্রসঙ্গে দেয়া বক্তব্যে সিনেটররা ডন’কে বলেন, প্রশ্নোত্তরের সময় সেনাপ্রধান অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন। যদিও কিছু কিছু প্রশ্ন অত্যন্ত কঠিন এবং কৌশলপূর্ণ ছিল। ট্রেজারি এবং বিরোধীপক্ষের আইনজীবীরাও তার মতামতকে অত্যন্ত কার্যকর বলে মত দিয়েছেন। তবে ওই অধিবেশনের ফলে সামরিক-বেসামরিক খাতের বিশ্বাসের ঘাটতি পূরণ হয়েছে কি না- এ প্রসঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন সিনেটরগণ। ওই অধিবেশনের সমাপ্তির পর সিনেটর মুশাহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে বলেন, সামরিক-বেসামরিক খাতের নেতারা একই বিন্দুতে দাঁড়ানো- এমন কথা ভুলে যান। এই দুয়ের মধ্যে বিভাজন একটি অমোঘ বাস্তবতা। অন্যদিকে সিনেটর শেরি রহমান বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সামরিক-বেসামরিক সবাই-ই এক বিন্দুতে দাঁড়ানো। বন্দর এবং জাহাজ পরিবহনমন্ত্রী সিনেটর হাসিল বিজেন জো বলেছেন, জেনারেল বাজওয়া তার বক্তব্যে শাসনপ্রক্রিয়াকে বেসামরিক খাত এবং নিরাপত্তাকে সামরিক খাতের দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে অতীতে যে কিছু ভুল হয়ে গেছে- এ কথাও স্বীকার করেন তিনি। সাবেক জেনারেল জিয়া এবং মোশাররফের প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, অন্যের ভুলের দায় তাকে দেয়া ঠিক হবে না। উপরন্তু তিনি পার্লামেন্টকে বৈদেশিক ও প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়নে অগ্রগামী ভূমিকা নিতেও আহ্বান করেন। উল্লেখ্য, সিনেটের চেয়ারম্যান মিয়ান রাব্বানির আমন্ত্রণে জেনারেল বাজওয়া গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিতে সেনাবাহিনীর অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। অধিবেশনের মূল লক্ষ্য ছিল, গুরুত্বপূর্ণ জেনারেলদের পাকিস্তানের নানা উদীয়মান জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে নিজেদের ভাবনার কথা জানানো। এর মাধ্যমে এই প্রথম কোনো সেনাপ্রধান সিনেট কমিটিতে ভাষণ দিলেন। ওই অধিবেশনের প্রসঙ্গে দেয়া বক্তব্যে সিনেটররা ডন’কে বলেন, প্রশ্নোত্তরের সময় সেনাপ্রধান অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন। যদিও কিছু কিছু প্রশ্ন অত্যন্ত কঠিন এবং কৌশলপূর্ণ ছিল। ট্রেজারি এবং বিরোধীপক্ষের আইনজীবীরাও তার মতামতকে অত্যন্ত কার্যকর বলে মত দিয়েছেন। তবে ওই অধিবেশনের ফলে সামরিক-বেসামরিক খাতের বিশ্বাসের ঘাটতি পূরণ হয়েছে কি না- এ প্রসঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন সিনেটরগণ। ওই অধিবেশনের সমাপ্তির পর সিনেটর মুশাহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে বলেন, সামরিক-বেসামরিক খাতের নেতারা একই বিন্দুতে দাঁড়ানো- এমন কথা ভুলে যান। এই দুয়ের মধ্যে বিভাজন একটি অমোঘ বাস্তবতা। অন্যদিকে সিনেটর শেরি রহমান বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সামরিক-বেসামরিক সবাই-ই এক বিন্দুতে দাঁড়ানো। বন্দর এবং জাহাজ পরিবহনমন্ত্রী সিনেটর হাসিল বিজেন জো বলেছেন, জেনারেল বাজওয়া তার বক্তব্যে শাসনপ্রক্রিয়াকে বেসামরিক খাত এবং নিরাপত্তাকে সামরিক খাতের দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেছেন।
No comments