রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের সুপারিশ
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট সমাধান ও শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পুনর্গঠিত অনুসন্ধান কমিটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাদ আন্দালিবের কাছে এই প্রতিবেদন পেশ করে অনুসন্ধান কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট থেকে কাজ শুরু করে কমিটি। পাঁচ কর্মদিবসে সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর কমিটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। কমিটির প্রতিবেদনে দুটি প্রধান সুপারিশ রয়েছে। একটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ সুপারিশ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিনি অপারগ হলে আইন অনুসারে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্য সুপারিশে বলা হয়েছে, আইন বিভাগের শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদের অব্যাহতি বা স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত বিষয়ের সমাধান তাঁর একাডেমিক গবেষণা, শিক্ষকতা-মূল্যায়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দায়িত্ব, সামাজিক দায়িত্ব ও আত্মবিকাশের ওপর ভিত্তি করে হওয়া প্রয়োজন। তাঁর নিয়োগপত্রের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রয়োগ এবং প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন)-এর মূল্যায়নের ওপর ভিত্তিতে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা ও নির্দেশনাবলিতে পরিবর্তনের জন্য কিছু সুপারিশ দিয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পাঁচ সদস্যের পুনর্গঠিত অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম ইউসূফ হায়দার, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তাজদিন হাসান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মাইমুনা সৈয়দ আহমেদ। চুক্তিতে থাকা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ফারহানকে চাকরিচ্যুতির নোটিশের জের ধরে সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদকে গত ৩০ জুলাই মানবসম্পদ বিভাগ থেকে চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকৃতি জানালে রেজিস্ট্রার বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা তাঁর আইডি কার্ড নিয়ে নেন এবং তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. শাহুল আফজালকে দীর্ঘ মেয়াদে ছুটি দেওয়া হয়। শিক্ষক ফারহানের অব্যাহতিপত্রও প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষককে লাঞ্ছনার অভিযোগে অভিযুক্ত সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মাহিউদ্দিন ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জাভেদ রাসেল পদত্যাগ করেন।
No comments