স্বামীর খোঁজে বাউফলে আমেরিকান তরুণী
প্রতারক
স্বামীর খোঁজে পটুয়াখালীর বাউফলে এসে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আমেরিকা প্রবাসী
সানজিদা চৌধুরী (২০) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণী। বৃহস্পতিবার সকালে
ওই তরুণী ঢাকা থেকে বাউফলে আসেন। তিনি বর্তমানে উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়ন
পরিষদের (ইউপি) ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. হানিফ সরদারের বাড়িতে অবস্থান
করছেন।
গতকাল বিকালে ওই ইউপি সদস্যের বাড়িতে গেলে আমেরিকান তরুণী সানজিদা বলেন, ‘জন্মসূত্রে তিনি আমেরিকার নাগরিক। তার বাবার নাম আবদুল মোতালেব চৌধুরী। তিনি (বাবা) আমেরিকার ফ্লোরিডার গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা। ঢাকার বারিধারায় নিউ ডিওএসএইচের চার নম্বর সড়কের ২৯৩ নম্বর বাড়িটি তাদের। এছাড়া চট্টগ্রামেও তাদের বাড়ি রয়েছে। ২০০৫ সালে তার মা মারা যান। তার বাবা সাত মাস আগে বাংলাদেশে এসে ভোলার ফরিদা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। এতে বাবার সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হলে অভিমান করে ২০১৬ সালের ২৬শে অক্টোবর তিনি ঢাকায় আসেন। ঘটনাক্রমে নজরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে চলতি বছরের ২৮শে ফেব্রুয়ারি তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুজনের মধ্যে ভালোই সম্পর্ক ছিল। ২৮শে মার্চ (গত মঙ্গলবার) সকালে স্বামী নজরুল ২০ লাখ টাকা, একটি মুঠোফোন (আইফোন), তার (সানজিদা) পাসপোর্ট ও এসএস কার্ড (নম্বর: ৫৬১৯২৯৯৮৬৪৫৩২১) নিয়ে পালিয়ে আসে। এরপর আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পরে তিনি দেখতে পান বিয়ের কাবিননামায় নজরুলের পিতার নাম আলী হোসেন মাতব্বর। ঠিকানায় উল্লেখ করা হয়েছে দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুরা গ্রামে তাদের (নজরুল) বাড়ি। তবে নজরুল তাকে জানিয়েছে তিনি বাউফল উপজেলার কালাইয়া গ্রামে থাকে। সে অনুযায়ী তিনি (সানজিদা) লঞ্চযোগে বৃহস্পতিবার বাউফলে এসে থানায় যান। বাউফল থানা পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী পরে তিনি পাশের দশমিনা থানায় স্বামীকে খুঁজতে যান। পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকায় গেলে তাকে (নজরুল) খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সানজিদার বাবা মোতালেব চৌধুরী মেয়ের দুরবস্থার কথা জেনে গতকালই আমেরিকা থেকে ঢাকায় এসেছেন। এরপর তিনি বাউফলে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, ‘তিনি যে ঠিকানার কথা বলেছেন তা দশমিনা উপজেলায়। এ কারণে তাকে দশমিনা থানায় পাঠানো হয়েছে।
দশমিনা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঠিকানা নজরুলের শ্বশুরবাড়ির। তার বাড়ি বাউফলের কালাইয়া গ্রামে। মূলত প্রতারণা করার জন্যই আমেরিকান ওই তরুণীকে নজরুল বিয়ে করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ওই তরুণী যেহেতু শারীরিক প্রতিবন্ধী, অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে কষ্ট হয়, তাই তার ইচ্ছানুযায়ী তাকে ইউপি সদস্য মো. হানিফ সরদারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
সানজিদা বলেন, ‘স্বামীর প্রতারণায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও তিনি মেম্বারের বাড়িতে ভালোই আছেন। তার বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাংলাদেশে এসে তার মেয়েকে নিয়ে যাবেন।
ইউপি সদস্য হানিফ সরদার বলেন, সানজিদার বাবা এলে তাকে পুলিশের উপস্থিতিতে বাবার জিম্মায় দেয়া হবে।
গতকাল বিকালে ওই ইউপি সদস্যের বাড়িতে গেলে আমেরিকান তরুণী সানজিদা বলেন, ‘জন্মসূত্রে তিনি আমেরিকার নাগরিক। তার বাবার নাম আবদুল মোতালেব চৌধুরী। তিনি (বাবা) আমেরিকার ফ্লোরিডার গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা। ঢাকার বারিধারায় নিউ ডিওএসএইচের চার নম্বর সড়কের ২৯৩ নম্বর বাড়িটি তাদের। এছাড়া চট্টগ্রামেও তাদের বাড়ি রয়েছে। ২০০৫ সালে তার মা মারা যান। তার বাবা সাত মাস আগে বাংলাদেশে এসে ভোলার ফরিদা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। এতে বাবার সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হলে অভিমান করে ২০১৬ সালের ২৬শে অক্টোবর তিনি ঢাকায় আসেন। ঘটনাক্রমে নজরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে চলতি বছরের ২৮শে ফেব্রুয়ারি তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুজনের মধ্যে ভালোই সম্পর্ক ছিল। ২৮শে মার্চ (গত মঙ্গলবার) সকালে স্বামী নজরুল ২০ লাখ টাকা, একটি মুঠোফোন (আইফোন), তার (সানজিদা) পাসপোর্ট ও এসএস কার্ড (নম্বর: ৫৬১৯২৯৯৮৬৪৫৩২১) নিয়ে পালিয়ে আসে। এরপর আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পরে তিনি দেখতে পান বিয়ের কাবিননামায় নজরুলের পিতার নাম আলী হোসেন মাতব্বর। ঠিকানায় উল্লেখ করা হয়েছে দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুরা গ্রামে তাদের (নজরুল) বাড়ি। তবে নজরুল তাকে জানিয়েছে তিনি বাউফল উপজেলার কালাইয়া গ্রামে থাকে। সে অনুযায়ী তিনি (সানজিদা) লঞ্চযোগে বৃহস্পতিবার বাউফলে এসে থানায় যান। বাউফল থানা পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী পরে তিনি পাশের দশমিনা থানায় স্বামীকে খুঁজতে যান। পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকায় গেলে তাকে (নজরুল) খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সানজিদার বাবা মোতালেব চৌধুরী মেয়ের দুরবস্থার কথা জেনে গতকালই আমেরিকা থেকে ঢাকায় এসেছেন। এরপর তিনি বাউফলে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, ‘তিনি যে ঠিকানার কথা বলেছেন তা দশমিনা উপজেলায়। এ কারণে তাকে দশমিনা থানায় পাঠানো হয়েছে।
দশমিনা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঠিকানা নজরুলের শ্বশুরবাড়ির। তার বাড়ি বাউফলের কালাইয়া গ্রামে। মূলত প্রতারণা করার জন্যই আমেরিকান ওই তরুণীকে নজরুল বিয়ে করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ওই তরুণী যেহেতু শারীরিক প্রতিবন্ধী, অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে কষ্ট হয়, তাই তার ইচ্ছানুযায়ী তাকে ইউপি সদস্য মো. হানিফ সরদারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
সানজিদা বলেন, ‘স্বামীর প্রতারণায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও তিনি মেম্বারের বাড়িতে ভালোই আছেন। তার বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাংলাদেশে এসে তার মেয়েকে নিয়ে যাবেন।
ইউপি সদস্য হানিফ সরদার বলেন, সানজিদার বাবা এলে তাকে পুলিশের উপস্থিতিতে বাবার জিম্মায় দেয়া হবে।
No comments