'গরু জবাই করলেই ফাঁসি'
গরু
জবাইয়ের শাস্তি হিসেবে গুজরাটের চেয়ে একধাপ উপরে উঠে এবার ফাঁসি দেয়ার
হুঁশিয়ারি দিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা রমন সিং। শনিবার
জগদলপুরে তিনি বলেন, ‘রাজ্যে কিছুতেই গরু জবাই সহ্য করা হবে না। কেউ এমন
কাজ করলে তাকে ফাঁসি দেয়া হবে।’ রাজ্য সরকার গরু জবাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো
কঠোর আইন আনছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং পাল্টা প্রশ্ন
ছুঁড়ে বলেন, ‘রাজ্যে কোথাও কি গো-হত্যা হচ্ছে? শেষ ১৫ বছরে একটি গরুও কি
হত্যা হয়েছে?’ এরপরেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘(জো গাই কো মারেগা, উনকো
লাটকা দেঙ্গে) যে গরুকে হত্যা করবে, তাকে ঝুলিয়ে (ফাঁসি) দেব। শুক্রবার
বিজেপিশাসিত গুজরাটে গরু জবাই সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে গরু জবাই করলে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটাই দেশে গরু জবাই বন্ধে
সবচেয়ে কঠোর আইন। এর পরের দিনই গরু জবাইয়ের শাস্তি হিসেবে ফাঁসিতে ঝোলানোর
কথা বললেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি
‘গরু, গঙ্গা এবং গীতা রক্ষা করার জন্য দল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বলে জানিয়েছেন।
গুজরাট শাকাহারী হোক সেটাই তিনি চান। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির দাবি,
‘গোটা বিশ্বকে নৈতিক ও আত্মিক অধঃপতনের হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে গরু রক্ষা
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি।
ভারতীয়দের কাছে গরু হলো অন্য সমস্ত জীবের
প্রতীক। গরু বিশ্বের প্রতীক, পুষ্টি প্রদানকারী, কোনো কিছু দাবি না করেই
শুধু দিয়ে যায়।’ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোটা রাজ্যে
অবৈধ কসাইখানা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, ওই রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক
বিক্রম সাইনি গরু জাবাই করলে তার হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
খাটাউলির বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনি বলেন, 'যে ব্যক্তি ‘বন্দেমাতরম’ বলতে
অনিচ্ছুক বা জাতীয়তাবাদী স্লোগান দিতে গর্ববোধ করে না, অথবা গরুকে ‘মা’
হিসেবে মনে করে না এবং গো-হত্যা করে তাহলে আমি কথা দিচ্ছি- তার হাত ও পা
ভেঙে রেখে দেব।' ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং ২০০৩ সালে ক্ষমতায় এসে
গরু জবাইয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। রাজ্যে ২০০৪ সালে তৈরি গবাদি পশু
সংরক্ষণ আইন অনুসারে, গবাদি পশু হত্যা বা পাচারে অভিযুক্তকে সাত বছরের
কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আইন রয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী রমন
সিং এবার গরু জবাই করলে ফাঁসিতে ঝোলানোর হুঁশিয়ারি দিলেন। সূত্র : ওয়েবসাইট
No comments