নারায়ণগঞ্জে ট্রলারডুবি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫
নারায়ণগঞ্জের
সোনারগাঁ উপজেলায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও চার
পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ জন।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃতরা হলেন- মো. বাবুল হোসেন (৪৫) কুমিল্লার জিরোইন গ্রামের সব্বর
আলীর ছেলে, মো. কামাল হাওয়াদার (২২) ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানার জাঙ্গালিয়া
এলাকার মকলেস হাওলাদারের ছেলে, ইসমাইল (২৩) কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার
জলারপাড় গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে ও ফারুক মিয়া (৪০) গাজীপুর জেলার
শ্রীপুরের দুমবাড়িয়ার চর এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় এখনো ৬-৭ জন
নিখোঁজ রয়েছে বলে যুগান্তরকে জানান চরকিশোরগঞ্জ অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের
ইনচার্জ এসআই মাকসুদুর রহমান। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে
চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় চার পুরুষের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের
(বিআইডব্লিউটিএ) ডুবুরি দল আজ উদ্ধার কাজে অংশ না নেয়ায় পুলিশ ওই চারজনের
লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে শনিবার দুপুরে শিল্পী বেগম (৩২) নামে এক নারীর লাশ
উদ্ধার করা হয়। তিনি আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী ও মৃত শিশু লামিয়া আক্তার
নদীর (৪) মা। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুইদিনে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা
হয়। উদ্ধারকৃতরা হলো- বানু বেগম (৪৫) রামপুরা এলাকার হারুন ভান্ডারীর
স্ত্রী। এর আগে দুপুরে উদ্ধারকৃতরা হলো- রামপুরা এলাকা শফিক মিয়ার মেয়ে
রুবিনা আক্তার (৩০), রুবিনার মা শাফিয়া আক্তার (৪৬), রামপুরা এলাকার জয়বুন
নেছা (৬৫) এবং তার দুই মেয়ে রানু আক্তার (৩২) ও সান্তা আক্তার (২৮)।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ৯০ জন যাত্রী নিয়ে রাজধানীর রামপুর এলাকা
থেকে ইঞ্জিন চালিত একটি ট্রলারে করে মতলবের বেলতলি সোলেমান শাহ ওরফে লেংটার
মেলায় যাচ্ছিল। বিকাল ৪টার দিকে পথে সোনারগাঁ উপজেলার চরকিশোরগঞ্জ এলাকায়
মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে বিকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত
ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের
(বিআইডব্লিউটিএ) ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি করে ঢাকার রামপুরা এলাকার আব্দুস
সাত্তার (৪০), তার মেয়ে লামিয়া (৫), জোহরা বেগম (৬০), কাঞ্চন বেগমকে (৬৫)
উদ্ধার করে।
No comments