নড়াইল-যশোর-খুলনা-মাগুরা রুটে হঠাত বাস ধর্মঘট
কোনো
প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই নড়াইল-যশোর-খুলনা-মাগুরাসহ বিভিন্ন রুটে
যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে হঠাৎ করে শ্রমিকেরা
যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। নড়াইল থেকে এসব রুটে বাস চলাচল বন্ধ
থাকায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। শ্রমিকেরা
জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া পেশাদার বা অপেশাদার চালক গাড়ি চালালে
কারাদন্ড ও জরিমানার বিধান রেখে গত ২৭ মার্চ সোমবার মন্ত্রিসভায় ‘সড়ক
পরিবহন আইন, ২০১৭’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়ায় বাস ধর্মঘটের ডাক দেয়া
হয়েছে। এ সভায় আরো যেসব আইনের কথা বলা হয়েছে, সেসব আইনও বাস চলাচলের
ক্ষেত্রে চালকদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেন
শ্রমিকেরা। তবে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয়
কার্যকরি সভাপতি ছাদেক আহম্মদ খান জানান, কোনো প্রকার সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত
ছাড়াই শ্রমিকেরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। নড়াইল, যশোর, খুলনাসহ এ অঞ্চলের
বিভিন্ন রুটে এই ধর্মঘট চলছে। শুনেছি, ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৭’ এর খসড়ার
নীতিগত অনুমোদন দেওয়ায় শ্রমিকেরা বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
বাস শ্রমিকেরা
জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ছয়মাসের কারাদন্ড বা ৫০ হাজার
টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। এছাড়া চালকেরা
গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এ আইন ভাঙলে এক মাসের
কারাদন্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। বাস চালকেরা বলেন,
আগের আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো শর্ত ছিল না।
নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চালককে কমপক্ষে
অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। এছাড়া চালকের সহকারীরও (হেলপার) পঞ্চম শ্রেণি
পর্যন্ত লেখাপড়া থাকতে হবে। সহকারী হতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে লাইসেন্স নিতে
হবে। অথচ আগের অধ্যাদেশে সহকারীদের লাইসেন্সের কথা থাকলেও তাদের শিক্ষাগত
যোগ্যতার শর্ত ছিল না। নতুন আইনের খসড়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি
চালালে অনধিক ছয়মাসের কারাদন্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডের কথা
বলা হলেও আগের আইনে এ ধরনের অপরাধের জন্য তিন মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা
জরিমানার বিধান ছিল।
No comments