লাঙ্গলবন্দে কাল স্নানোৎসব
লাঙ্গলবন্দের
ব্রম্মপুত্র নদের তীরে আদি ব্রহ্মপুত্র নদে শুরু হচ্ছে হিন্দু
ধর্মাবলম্বীদের দুই দিন ব্যাপি স্নানোৎসব। এ উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা
হয়েছে তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দ। বিকেল ৫টা৩০ মিনিটে শুরু হয়ে চলবে মঙ্গলবার
বিকেল ৩টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত। সুষ্ঠুভাবে স্নান সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ১৩ টি
স্নান ঘাট সংস্কার , ৬০ টি অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন, কাপড় পাল্টানোর ঘর
নির্মাণ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। হে মহা ভাগ
ব্রহ্মপুত্র, ”হে লৌহিত্য আমার পাপ হরণ কর ; এ মন্ত্র উচ্চারন করে পাপ
মোচনের আশায় লাখ লাখ পূণ্যার্থী আদি ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমী স্নানোৎসবে অংশ
নিবেন। তীর্থকেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পূর্নার্থীদরা আসতে শুরু
করেছে। অন্য বারের চেয়ে এবার লোক সমাগম বেশী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাশ্ববর্তী দেশ ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী লাঙ্গলবন্দে
এসেছেন বলে স্নান উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে। ফেনী থেকে আসা
তীর্থযাত্রী অতিশ চন্দ্র মন্ডল জানান,
ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করলে পাপ থেকে
মুক্ত হওয়া যায়ও ব্রহ্মার কৃপা লাভ করা যায়। তাই তিনি প্রতি বছরই
স্বপরিবারে তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দে আসেন। ১ নং ঢাকেশ্বরী টিন লাইন ও বনগুন
মিলন সংঘ, সাধু নাগ মহাশয় আশ্রম, নিপসম, সেবা সংঘ, লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম
প্রভৃতি সেবা ধর্মী প্রতিষ্ঠান দর্শনাথীদের খাবার সরবরাহ ও অন্যান্য সেবা
প্রদান করছে। অষ্টমী স্নান উপলক্ষে লাঙ্গলবন্দে দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে
লোকজ মেলা বসেছে। মেলায় আবহমান বাংলার চীর চেনা রূপ ফুটে উঠেছে। সাধুসন্ত
বাউলদের ভাবসংগীত পরিবেশনায় মুখর হয়ে উঠেছে তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দ। গতকাল
বিকেলে বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদ।
No comments