প্লাস্টিকের ডিম কি আদৌ সম্ভব?
প্লাস্টিকের
ডিম নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমাদের দেশেও এই
আতঙ্ক হাজির হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যেকেই ডিম কেনার সময় পরীক্ষা করে
নিচ্ছে আসল না নকল। অনেকেই আবার ডিম খাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু
বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্লাস্টিকের ডিম বলে
কোনো বস্তু বাজারে নেই। তাহলে ধরপাকড়ে যে প্লাস্টিক ডিম উদ্ধার হলো?
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফার্মে অনেক ডিমই সরিয়ে রাখা হয় নিষিক্ত করার
জন্য। তেমনই কিছু ডিম বাজারে এসে গেছে। সাধারণত এগরোল দোকানিরা সস্তায় এই
ধরণের ডিম কিনে নিয়ে যান। কড়েয়ার বাসিন্দা অনিতা কুমারও সেরকমই ডিম
পেয়েছিলেন। আরো একটা কারণ রয়েছে। ডিমে থাকে অ্যালবুমিন প্রোটিন।
প্রচণ্ড
গরমে এই প্রোটিনের রূপ পরিবর্তন হতে পারে। ফলে হলদে অংশ জেলির মতো হতে
পারে। এই ধরণের ডিম পোড়ালে দুর্গন্ধ ছড়ানো অস্বাভাবিক নয়। বিশেষজ্ঞদের
উদ্ধৃতি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, কেন প্লাস্টিকের
ডিম বেচা সম্ভব নয়? একটা ডিমের খরচ পড়ে ৪ রুপি। এই টাকায় কী প্লাস্টিক
দিয়ে ডিম বানানো সম্ভব! তাও আবার উন্নতমানের প্লাস্টিক দিয়ে! বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, এটা অসম্ভব। তাই নিরাপদে ডিম খান। হ্যাঁ একটু দেখে নিন। গুজবে কান
দেবেন না।
No comments