বগুড়ায় পুঁজির অভাবে বন্ধ হচ্ছে পোলট্রি খামার
বগুড়ায় পুঁজি ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ নানা কারণে ছোট-বড় অর্ধেক অর্থাৎ আড়াই হাজারের বেশি পোলট্রি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আড়াই লাখ মানুষ বেকার হয়েছেন। যে কয়েকটি খামার চালু আছে সেগুলোও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। মালিকরা কিছুটা লাভ, কিছুটা ক্ষতির মধ্যে থাকলেও মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন। ভুক্তভোগী খামারিরা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোলট্রি শিল্প খাতকে আবারও চাঙা করতে স্বল্প সুদে ঋণ, মুরগি ও ডিম বিদেশে রফতানির সুযোগ এবং সরকারি প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা দাবি করেছেন। বগুড়া জেলা পোলট্রি অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের হিসাব অনুসারে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই শুধু ব্যক্তি উদ্যোগে এ জেলায় ছোট-বড় ৫ হাজার ২০০ পোলট্রি খামার গড়ে ওঠে। আর ডিম ফোটানোর হ্যাচারি ৬০টি। এখানে এ পেশার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাড়ে ৫ লাখ মানুষ জড়িত। বছরে দেড় হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে।
পুঁজির অভাবসহ নানা কারণে অর্ধেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার হয়ে গেছেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। খামারিরা বলছেন, গত বছরের ৪ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঝড়ে ৪০ শতাংশ খামার ধ্বংস হয়ে গেছে। মালিকরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর দাঁড় করাতে পারেননি। এছাড়া পুঁজির অভাবে অনেকগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যাংকগুলো অন্য শিল্পে সহজে ঋণ দিলেও সরকারি নির্দেশনা থাকার পরেও খামারিদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে না। ঋণ দিলেও ১২-১৭ শতাংশ সুদ দিতে হয়; যা পরিশোধ করা কঠিন। সূত্রটি আরও জানায়, পোলট্রি ব্যবসায় ৭০ শতাংশ ব্যয় হয় ফিডে। কিন্তু এ ফিড মানসম্পন্ন ও জীবাণুমুক্ত না হওয়ায় মাংস ও ডিম উৎপাদনের হার দিন দিন কমে যাচ্ছে। মাংসের জন্য ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগি এবং ডিমের জন্য লাল রঙের হাইব্রিড ও সোনালি হ্যাচিং (ব্রিডিং) মুরগি পালন করা হয়। একটি সুস্থ মুরগি একদিন পর পর ডিম দিয়ে থাকে।
No comments