রোমাঞ্চিত ওয়ালশ
কোর্টনি ওয়ালশই যে মাশরাফিদের বোলিং কোচ হচ্ছেন, আগেই তা জানা গিয়েছিল। কাল জানা গেল, ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বোলিং কোচ হওয়ার জন্য সই করেছেন তিনি। এ সপ্তাহেই নতুন দায়িত্ব নিতে ঢাকায় আসবেন এই সাবেক ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্টে রেকর্ড ৫১৯ উইকেট নেয়া ওয়ালশ বলেছেন, ‘বিশেষজ্ঞ বোলিং কোচ হিসেবে বিসিবিতে যোগ দিতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। ছেলেদের সঙ্গে কাজ শুরু করার জন্য আমি উদগ্রীব।’ তিনি যোগ করেন, ‘কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট দেখে আসছি। ওরা সত্যিই একদল প্রতিভাবান খেলোয়াড়।’ ওয়ালশ বলেন, ‘দলের প্রধান কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এ পর্যন্ত দারুণ কাজ করেছেন। আশা করি, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাফল্য অব্যাহত রাখতে পারব।’ তিনি হিথ স্ট্রিকের স্থলাভিষিক্ত হবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ওয়ালশের সঙ্গে চুক্তি কার্যকর হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। বিশ্বকাপের পরের আসর বসবে ইংল্যান্ডে।
গর্ডন গ্রিনিজের পর দ্বিতীয় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হলেন ওয়ালশ। সাবেক ক্যারিবীয় ওপেনার গর্ডন গ্রিনিজের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ ’৯৭ আইসিসি ট্রফি জেতার পর ’৯৯ বিশ্বকাপে অভিষিক্ত হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পাঠানো একটি বিবৃতি নিশ্চিত করেছে যে, ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব নিচ্ছেন ওয়ালশ। সেই বিবৃতিতেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কিংবদন্তি এই ফাস্ট বোলার। ওয়ালশ বলেছেন, ‘বিসিবিতে স্পেশালিস্ট বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। ছেলেদের সঙ্গে কাজ শুরু করার জন্য মুখিয়ে আছি আমি। দূর থেকে কয়ক বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনুসরণ করে বুঝেছি, দারুণ প্রতিভাবান সব ক্রিকেটার আছে ওখানে।’ ক্যারিবীয় নির্বাচক হিসেবে থাকলেও বাংলাদেশের প্রস্তাব উপেক্ষা করা কঠিন ছিল বলে জানিয়েছেন ওয়ালশ। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচক হিসেবে কাজ করাটা আমি দারুণ উপভোগ করেছি। আমাকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য ওদের ধন্যবাদ জানাই। অবশ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজই আমার ঘর। তবে প্রতিভাবান একটি দলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোচিংয়ে নতুন মাত্রায় যাওয়ার সুযোগ এটি।
এ সুযোগ আমি হাতছাড়া করতে চাইনি।’ প্রধান কোচের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশ দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান ওয়ালশ। তার কথায়, ‘প্রধান কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অসাধারণ কাজ করেছেন এখন পর্যন্ত। আশা করি, ওর স্কিলের সঙ্গে আমি যোগ্য সঙ্গ দিতে এবং উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখতে পারব।’ এদিকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ নিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোর্টনিকে নিতে পেরে আমরা আনন্দিত। তার লাখ লাখ অনুরাগী। ফাস্ট বোলিং সম্পর্কে তার জ্ঞান অতুলনীয়।’ বিসিবির সিইও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে পেস বোলিংয়ে বর্তমানে সেরা সময় যাচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে, কোর্টনি আসায় তাতে আরও উঁচুমাত্রা যোগ হবে।’ গত বছর একদিনের ক্রিকেটে নিজেদের সেরা সময় পার করেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার পর হোম সিরিজ জিতেছে তারা পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
No comments