মিয়ানমার নির্বাচনে সুচি এবং মুসলিম বিতর্ক
মিয়ানমারে
২০১১ সালে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা আসার পর এই প্রথম দেশটিতে একটি
সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সেই
নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারাভিযান। এরই মধ্যে প্রার্থীদের তালিকা
চূড়ান্ত করেছে দলগুলো, কিন্তু গণতন্ত্র পন্থী নেতা অং সাং সুচির দল
এনএলডির তালিকায় কোনও মুসলিম প্রার্থী না থাকায় এখন নতুন একটা বিতর্ক
তৈরি হয়েছে। মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী মুসলিম ধর্মাবলম্বী
কিন্তু এই ধর্মের মানুষেরা প্রায়ই অভিযোগ করে থাকেন যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ
ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা তারা বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন। একটা সময় ছিল যখন
অং সাং সুচিকে এশিয়ার ম্যান্ডেলা বলে অভিহিত করা হতো। কারো কারো কাছে
তিনি সাধুসন্ত পর্যায়ের একজন মানুষ। মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য তার
সুদীর্ঘ সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ তাকে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার এনে দিয়েছে এবং
বিশ্বজুড়ে তাকে প্রশংসিত করেছে।
কিন্তু ২৫ বছর পর মিয়ানমারে প্রথম যে সাধারণ নির্বাচনটি হতে যাচ্ছে সেখানে মনে হচ্ছে নীতিবোধের চাইতে বাস্তবতাই বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে। ইয়াঙ্গুনের শহরতলীর একটি চায়ের দোকানে বিবিসির সংবাদদাতা জোনাহ ফিশারের কথা হয় সিটু মংয়ের সঙ্গে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী মিস্টার মং উনত্রিশ বছর বয়সেই একজন প্রখ্যাত ছাত্রনেতা। ২০০৭ সালের সন্ন্যাসী বিপ্লবের পর চার বছর কারাগারে কাটে তার। সেখান থেকে বেরিয়ে অং সাং সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিতে যোগদান করেন তিনি।
তাঁর ধারণা তিনি এই নির্বাচনে ইয়াঙ্গুন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে জয়লাভ করবেন তিনি কারণ এই আসনে মুসলিম ভোটার প্রচুর, এবং এজন্য তিনি এনএলডির প্রার্থী হবার জন্য আবেদনও করেন, কিন্তু বিস্ময়ের সাথে তিনি লক্ষ্য করেন তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তার ধারনা মুসলিম হবার কারণেই এমনটি করা হয়েছে তার সঙ্গে। সিটু মংই মিয়ানমারের একমাত্র অসন্তুষ্ট মুসলিম রাজনীতিবিদ নন। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থীদের যে তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১১শ ৫১ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে এনএলডি এবং এর মধ্যে একজন মুসলিমও নেই। এ নিয়ে অং সাং সুচির বক্তব্য জানার জন্য তার অফিসে যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সংবাদদাতাকে তিনি সময় দেননি। পরে পাওয়া যায় এনএলডির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন উ টিন উ-কে। এনএলডির প্রার্থীদের মধ্যে অন্তত একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বীর নাম উল্লেখ করতে বলতে বলা হলে মি. উ সংবাদদাতাকে বলেন, তার জানা নেই। এ নিয়ে দলের অন্য নেতাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে তারাও এড়িয়ে যান। তবে অনেকেই মনে করছেন, এনএলডি এটা করছে কারণ দলটি কট্টর বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের খেপাতে চায় না। বৌদ্ধরা দেশটির রাজনীতিতে প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী এবং যেই এখানে মুসলিমদের অধিকারের সপক্ষে দাঁড়ায় বা দাঁড়াতে চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে অবস্থান নেয় তারা। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভায় অংশ নিয়ে বিপুল জনসমাগম আকর্ষণ করতে পেরেছেন অং সাং সুচি। বহু বছর অপেক্ষা করবার পর যে সুযোগ তিনি পেয়েছেন, মনে হচ্ছে যে কোনও মূল্যে সেটা কাজে লাগাতে চাইছেন তিনি এবং জয় ছাড়া আর কিছুই যেন তিনি ভাবতে পারছেন না।
কিন্তু ২৫ বছর পর মিয়ানমারে প্রথম যে সাধারণ নির্বাচনটি হতে যাচ্ছে সেখানে মনে হচ্ছে নীতিবোধের চাইতে বাস্তবতাই বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে। ইয়াঙ্গুনের শহরতলীর একটি চায়ের দোকানে বিবিসির সংবাদদাতা জোনাহ ফিশারের কথা হয় সিটু মংয়ের সঙ্গে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী মিস্টার মং উনত্রিশ বছর বয়সেই একজন প্রখ্যাত ছাত্রনেতা। ২০০৭ সালের সন্ন্যাসী বিপ্লবের পর চার বছর কারাগারে কাটে তার। সেখান থেকে বেরিয়ে অং সাং সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিতে যোগদান করেন তিনি।
তাঁর ধারণা তিনি এই নির্বাচনে ইয়াঙ্গুন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে জয়লাভ করবেন তিনি কারণ এই আসনে মুসলিম ভোটার প্রচুর, এবং এজন্য তিনি এনএলডির প্রার্থী হবার জন্য আবেদনও করেন, কিন্তু বিস্ময়ের সাথে তিনি লক্ষ্য করেন তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তার ধারনা মুসলিম হবার কারণেই এমনটি করা হয়েছে তার সঙ্গে। সিটু মংই মিয়ানমারের একমাত্র অসন্তুষ্ট মুসলিম রাজনীতিবিদ নন। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থীদের যে তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১১শ ৫১ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে এনএলডি এবং এর মধ্যে একজন মুসলিমও নেই। এ নিয়ে অং সাং সুচির বক্তব্য জানার জন্য তার অফিসে যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সংবাদদাতাকে তিনি সময় দেননি। পরে পাওয়া যায় এনএলডির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন উ টিন উ-কে। এনএলডির প্রার্থীদের মধ্যে অন্তত একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বীর নাম উল্লেখ করতে বলতে বলা হলে মি. উ সংবাদদাতাকে বলেন, তার জানা নেই। এ নিয়ে দলের অন্য নেতাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে তারাও এড়িয়ে যান। তবে অনেকেই মনে করছেন, এনএলডি এটা করছে কারণ দলটি কট্টর বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের খেপাতে চায় না। বৌদ্ধরা দেশটির রাজনীতিতে প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী এবং যেই এখানে মুসলিমদের অধিকারের সপক্ষে দাঁড়ায় বা দাঁড়াতে চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে অবস্থান নেয় তারা। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভায় অংশ নিয়ে বিপুল জনসমাগম আকর্ষণ করতে পেরেছেন অং সাং সুচি। বহু বছর অপেক্ষা করবার পর যে সুযোগ তিনি পেয়েছেন, মনে হচ্ছে যে কোনও মূল্যে সেটা কাজে লাগাতে চাইছেন তিনি এবং জয় ছাড়া আর কিছুই যেন তিনি ভাবতে পারছেন না।
No comments