ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সংবিধান সংশোধন জরুরি
উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের গোলটেবিল বৈঠকে (বাঁ থেকে) শাহদীন মালিক, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, এ টি এম শামসুল হুদা ও বদিউল আলম মজুমদার |
রাষ্ট্রপতি
ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং
গণতন্ত্রের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন হওয়া জরুরি। এ লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার
কমিশন গঠন করা উচিত।
উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এমন মত দিয়েছেন প্রায় সব বক্তা। তাঁরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর ও ক্রিয়াশীল করার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘পূর্ণ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৫ জানুয়ারি ‘একতরফা’ নির্বাচনের বছরপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটের সহিংস আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালে সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরুর আকাঙ্ক্ষা থেকে ১৩ নাগরিক মিলে এই সংগঠন গড়ে তোলেন।
নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা গোলটেবিলে বলেন, যে সরকারই ক্ষমতায় আসছে, তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে নজর দিচ্ছে না। গত চারটি সরকারের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এসব সরকার যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়েছে। অস্থায়ী নয় বরং টেকসই সমাধানের দিকে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি সংবিধানের কিছু ক্ষেত্রে এবং সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের প্রয়োজনের কথা বলেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। তিনি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া সব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে বাধ্য থাকেন। তাঁর প্রশ্ন, যেখানে রাষ্ট্রপতির চাকরি নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রীর ওপর, সেখানে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা দিয়ে লাভ কী? তিনি বৃহত্তর ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ ব্যবহার করে রাষ্ট্রপতি পদে সরাসরি নির্বাচন আয়োজন এবং রাষ্ট্রপতির ওপর অধিক ক্ষমতা ন্যস্ত করার প্রস্তাব করেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, ১৯৯১-পরবর্তী অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তার চর্চা বা প্রয়োগ হচ্ছে না। জাতীয় সংসদ ক্ষমতার ভারসাম্য ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বড় জায়গা হলেও বিরোধী দল সংসদে তার যথার্থ ভূমিকা রাখছে না।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকারের ক্ষমতা সেই অর্থে নেই। দেশে জেলা প্রশাসকদের ক্ষমতা এখন রাজা বা রাজপ্রতিনিধির ক্ষমতার মতো হয়ে গেছে। একজন জেলা প্রশাসকের ৬০২টি ক্ষমতা থাকে। তিনি ২০০ কমিটির সভাপতি। একইভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও ৩৮টি ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার আগ্রহই তাঁদের বেশি থাকে। অন্য কাজের চেয়ে এটাই যেন অগ্রাধিকার পায় তাঁদের কাছে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নেওয়ার আহ্বান জানান গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কিছু খারাপ বিষয় থাকতে পারে। কিন্তু সবকিছুর পরও অনেক রাজনীতিবিদ দেশপ্রেমিক এবং দেশের জন্য তাঁরা কাজ করতে চান। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, সুশীল সমাজের বিভক্তি নিয়ে যেমন সমালোচনা আছে, তেমনি বাস্তবতা হচ্ছে কারও পক্ষে কথা না বললে বিপক্ষে তাঁদের ঠেলে দেওয়া হয়।
বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, রাষ্ট্রপতির পদটি এখন অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ দেওয়াটাই রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা। রাষ্ট্রপতি না থাকলে হয়তো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমাবর্তনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ত। তা-ও রাষ্ট্রপতি সেখানে লিখিত বক্তব্য দেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনীতিবিদদের অনেকেই মনে করেন, রাজনীতি বা গণতন্ত্র নিয়ে অন্য কারও কথা বলার অধিকার নেই। তাঁর মতে, পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ক্ষমতার ভারসাম্য ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং নাগরিক সমাজকে জনগণের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়া দরকার।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকাংশে ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণ এসব প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পদ্ধতি। দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে একজন বিচারপতি নিয়োগের সময় তাঁর যোগ্যতা, অতীতে তাঁর দেওয়া রায়, পারিবারিক ঐতিহ্য প্রভৃতি দেখা হয়। কিন্তু এখানে মনোনয়নের আগে যাচাই-বাছাই বা মতামতের কোনো সুযোগ সেই অর্থে নেই।
উদ্বিগ্ন নাগরিকেরা যে উদ্যোগ নিচ্ছেন, এর ফল তাঁরা দেখে যেতে না পারলেও উত্তরসূরি উদ্বিগ্ন নাগরিকেরা তা দেখবেন বলে মনে করেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তাঁর মতে, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়াটা জাতীয় আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু আগামী নির্বাচন সেই আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হবে কি না, তা একটি বড় প্রশ্ন।
সংবিধানে রাজনৈতিক বিকৃতি ও অপব্যবহারের সব সুযোগ থাকার কথা উল্লেখ করে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বলেন, এ কারণে যে, যখন, যেভাবে চেয়েছে সেভাবে সংবিধানকে ব্যবহার করেছে এবং একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান।
বৈঠকের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা শুরু করেন এ টি এম শামসুল হুদা। শেষে তিনি বিভাগীয় পর্যায়ে এ ধরনের বৈঠক আয়োজনে পরিকল্পনার কথা জানান।
সাউথ এশিয়ান লিগ্যাল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যের জন্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য কার্যকর বা আইনসম্মত রাজনৈতিক ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। এটা থাকলে সরকারের আইন, শাসন ও বিচার বিভাগ একে অপরের ক্ষমতার সীমারেখা আরোপ করতে পারে।
উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এমন মত দিয়েছেন প্রায় সব বক্তা। তাঁরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর ও ক্রিয়াশীল করার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘পূর্ণ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৫ জানুয়ারি ‘একতরফা’ নির্বাচনের বছরপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটের সহিংস আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালে সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরুর আকাঙ্ক্ষা থেকে ১৩ নাগরিক মিলে এই সংগঠন গড়ে তোলেন।
নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা গোলটেবিলে বলেন, যে সরকারই ক্ষমতায় আসছে, তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে নজর দিচ্ছে না। গত চারটি সরকারের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এসব সরকার যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়েছে। অস্থায়ী নয় বরং টেকসই সমাধানের দিকে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি সংবিধানের কিছু ক্ষেত্রে এবং সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের প্রয়োজনের কথা বলেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। তিনি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া সব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে বাধ্য থাকেন। তাঁর প্রশ্ন, যেখানে রাষ্ট্রপতির চাকরি নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রীর ওপর, সেখানে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা দিয়ে লাভ কী? তিনি বৃহত্তর ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ ব্যবহার করে রাষ্ট্রপতি পদে সরাসরি নির্বাচন আয়োজন এবং রাষ্ট্রপতির ওপর অধিক ক্ষমতা ন্যস্ত করার প্রস্তাব করেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, ১৯৯১-পরবর্তী অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তার চর্চা বা প্রয়োগ হচ্ছে না। জাতীয় সংসদ ক্ষমতার ভারসাম্য ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বড় জায়গা হলেও বিরোধী দল সংসদে তার যথার্থ ভূমিকা রাখছে না।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকারের ক্ষমতা সেই অর্থে নেই। দেশে জেলা প্রশাসকদের ক্ষমতা এখন রাজা বা রাজপ্রতিনিধির ক্ষমতার মতো হয়ে গেছে। একজন জেলা প্রশাসকের ৬০২টি ক্ষমতা থাকে। তিনি ২০০ কমিটির সভাপতি। একইভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও ৩৮টি ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার আগ্রহই তাঁদের বেশি থাকে। অন্য কাজের চেয়ে এটাই যেন অগ্রাধিকার পায় তাঁদের কাছে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নেওয়ার আহ্বান জানান গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কিছু খারাপ বিষয় থাকতে পারে। কিন্তু সবকিছুর পরও অনেক রাজনীতিবিদ দেশপ্রেমিক এবং দেশের জন্য তাঁরা কাজ করতে চান। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, সুশীল সমাজের বিভক্তি নিয়ে যেমন সমালোচনা আছে, তেমনি বাস্তবতা হচ্ছে কারও পক্ষে কথা না বললে বিপক্ষে তাঁদের ঠেলে দেওয়া হয়।
বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, রাষ্ট্রপতির পদটি এখন অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ দেওয়াটাই রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা। রাষ্ট্রপতি না থাকলে হয়তো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমাবর্তনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ত। তা-ও রাষ্ট্রপতি সেখানে লিখিত বক্তব্য দেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনীতিবিদদের অনেকেই মনে করেন, রাজনীতি বা গণতন্ত্র নিয়ে অন্য কারও কথা বলার অধিকার নেই। তাঁর মতে, পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ক্ষমতার ভারসাম্য ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং নাগরিক সমাজকে জনগণের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়া দরকার।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকাংশে ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণ এসব প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পদ্ধতি। দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে একজন বিচারপতি নিয়োগের সময় তাঁর যোগ্যতা, অতীতে তাঁর দেওয়া রায়, পারিবারিক ঐতিহ্য প্রভৃতি দেখা হয়। কিন্তু এখানে মনোনয়নের আগে যাচাই-বাছাই বা মতামতের কোনো সুযোগ সেই অর্থে নেই।
উদ্বিগ্ন নাগরিকেরা যে উদ্যোগ নিচ্ছেন, এর ফল তাঁরা দেখে যেতে না পারলেও উত্তরসূরি উদ্বিগ্ন নাগরিকেরা তা দেখবেন বলে মনে করেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তাঁর মতে, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়াটা জাতীয় আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু আগামী নির্বাচন সেই আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হবে কি না, তা একটি বড় প্রশ্ন।
সংবিধানে রাজনৈতিক বিকৃতি ও অপব্যবহারের সব সুযোগ থাকার কথা উল্লেখ করে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বলেন, এ কারণে যে, যখন, যেভাবে চেয়েছে সেভাবে সংবিধানকে ব্যবহার করেছে এবং একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান।
বৈঠকের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা শুরু করেন এ টি এম শামসুল হুদা। শেষে তিনি বিভাগীয় পর্যায়ে এ ধরনের বৈঠক আয়োজনে পরিকল্পনার কথা জানান।
সাউথ এশিয়ান লিগ্যাল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যের জন্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য কার্যকর বা আইনসম্মত রাজনৈতিক ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। এটা থাকলে সরকারের আইন, শাসন ও বিচার বিভাগ একে অপরের ক্ষমতার সীমারেখা আরোপ করতে পারে।
No comments