আগে প্রশ্ন করা শিখতে হবে -রাজশাহীতে আঞ্চলিক বিজ্ঞান জয়োৎসবে বক্তারা
নিজের ভেতর উদ্ভাবনী শক্তি জাগাতে হলে আগে প্রশ্ন করা শিখতে হবে। প্রশ্ন
করা শিখলে শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখা শিখবে। তারা স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ
করবে। রাজশাহীতে শনিবার আঞ্চলিক বিজ্ঞান জয়োৎসবে বক্তারা এ কথা বলেন। সিটি
ব্যাংক-প্রথম আলোর উদ্যোগে আয়োজিত জমজমাট ওই উৎসবে তিনটি বিভাগে ৫২৬ জন
প্রতিযোগী বিজ্ঞান কুইজে এবং ৪১টি বিজ্ঞান প্রকল্পে প্রায় ১২৬ জন
শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে বিজ্ঞান কুইজে ৩০ জন ও ১১টি বিজ্ঞান প্রকল্পে
অংশ নিয়ে ৩০ জন বিজয়ী হয়। বিজয়ীরা ঢাকায় জাতীয় জয়োৎসবে অংশ নেবে।
উৎসবে বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের প্রশ্ন শিখিয়ে দেওয়া উচিত নয়, একইভাবে
অহেতুক নম্বর দেওয়াও উচিত নয়। শুধু শুধু নম্বর পেলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা
ছেড়ে দেবে। অভিভাবকদেরও নম্বরের পেছনে ছোটা উচিত নয়।
বেলুন উড়িয়ে আঞ্চলিক বিজ্ঞান জয়োৎসবের উদ্বোধন করা হয়। সিটি ব্যাংক-প্রথম আলোর উদ্যোগে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমীতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ছবি: শহীদুল ইসলাম |
বক্তারা বলেন,
বিজ্ঞান চর্চা শুধু গবেষণাগারের কাজ নয়, আমাদের চার পার্শ্বের জগতে বিজ্ঞান
কীভাবে কাজ করে সেটা দেখতে হবে। এই কাজটা নিজের বাড়িতেই সাধারণ জিনিসপত্র
নিয়েই করা যায়। আর প্রতিদিন নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে হবে-এটাও বিজ্ঞানের
কাজ নয়। এমন একটি জিনিস তৈরি করতে হবে, সারা জীবন যেন সেটার উপযোগিতা পাওয়া
যায়।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তারা আরও বলেন, দেশকে ভালোবাসতে হবে, মাকে ভালোবাসতে হবে। এ জন্য বাড়তি কিছু করার দরকার নেই। নিজের কাজটা ভালো করে করলেই দেশ উপকৃত হবে। মা খুশি হবেন। বক্তারা কুশিক্ষা থেকে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, কুশিক্ষা অশিক্ষার চেয়ে ভয়ংকর। কুশিক্ষা মানুষকে আদর্শহীন ও লোভী হতে শেখায়। অজ্ঞানতা থেকেই এগুলো আসে। এ জন্য অজ্ঞানতা থেকে বেরিয়ে এসে জ্ঞানকে বুঝতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তারা আরও বলেন, দেশকে ভালোবাসতে হবে, মাকে ভালোবাসতে হবে। এ জন্য বাড়তি কিছু করার দরকার নেই। নিজের কাজটা ভালো করে করলেই দেশ উপকৃত হবে। মা খুশি হবেন। বক্তারা কুশিক্ষা থেকে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, কুশিক্ষা অশিক্ষার চেয়ে ভয়ংকর। কুশিক্ষা মানুষকে আদর্শহীন ও লোভী হতে শেখায়। অজ্ঞানতা থেকেই এগুলো আসে। এ জন্য অজ্ঞানতা থেকে বেরিয়ে এসে জ্ঞানকে বুঝতে হবে।
বিভিন্ন বিজ্ঞান প্রকল্প ঘুরে দেখেন বিচারকেরা। ৪১টি বিজ্ঞান প্রকল্পে প্রায় ১২৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ছবি: শহীদুল ইসলাম |
রাজশাহী
অঞ্চলের এ উৎসবে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলার ৪৫টি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। পুরো উৎসবে সহযোগিতা করেন রাজশাহী বন্ধুসভা ও
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায় ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ বন্ধুসভার বন্ধুরা।
সকাল নয়টায় রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের সামনে উৎসবের বেলুন ওড়ানো হয়। এরপর মিলনায়তনে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী পর্ব শুরু হয়। উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। তারপর আমরা বসে থাকব না। ২০৪১ সালের আরেকটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমরা কাজ করে যাব। তখন আমরা থাকব না। তোমরাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। তোমরা একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি হিসেবে গড়ে উঠবে।’
সকাল নয়টায় রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের সামনে উৎসবের বেলুন ওড়ানো হয়। এরপর মিলনায়তনে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী পর্ব শুরু হয়। উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। তারপর আমরা বসে থাকব না। ২০৪১ সালের আরেকটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমরা কাজ করে যাব। তখন আমরা থাকব না। তোমরাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। তোমরা একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি হিসেবে গড়ে উঠবে।’
বিভিন্ন বিজ্ঞান প্রকল্প ঘুরে দেখেন বিচারকেরা। ছবি: শহীদুল ইসলাম |
উদ্বোধনী
পর্বের পর তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক, নিম্নমাধ্যমিক ও
মাধ্যমিক—এ তিনটি বিভাগে ৪০০ জন শিক্ষার্থী ৩০ মিনিটের কুইজ প্রতিযোগিতায়
অংশ নেয়। এরপর খুদে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের ‘আনন্দ’ পর্বে অংশ নেয়। এতে
মজার মজার কুইজের উত্তর দিয়ে শিক্ষার্থীরা পুরস্কার জিতে নেয়।
প্রকল্পগুলো মূল্যায়নের জন্য বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ মণ্ডল, রাজশাহী কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক আ ন ম আল মামুন চৌধুরী, রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ব্রজেন্দ্রনাথ সরকার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক আব্দুস সালাম, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ফারাহ্ নাজ আহমেদ ও ইউসেপ-রাজশাহী বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ রানা।
প্রকল্পগুলো মূল্যায়নের জন্য বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ মণ্ডল, রাজশাহী কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক আ ন ম আল মামুন চৌধুরী, রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ব্রজেন্দ্রনাথ সরকার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক আব্দুস সালাম, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ফারাহ্ নাজ আহমেদ ও ইউসেপ-রাজশাহী বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ রানা।
প্রশ্নোত্তর পর্বে উত্তর দিচ্ছে এক শিক্ষার্থী। ছবি: শহীদুল ইসলাম |
বেলা
দেড়টায় সমাপনী পর্ব শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পর্বে ‘আলোকের এই
ঝরনাধারায়’, ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ ও ‘আমরা সবাই রাজা’-গান তিনটি
পরিবেশন করেন বন্ধুসভার বন্ধু দৃষ্টি, নন্দিতা মল্লিক ও রেজাউল করিম।
সমাপনী পর্বে বিচারকদের সঙ্গে মঞ্চে আসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক অরুন কুমার বসাক ও সিটি ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপক আবু সায়েদ ও প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির সমন্বয়কারী ও বিজ্ঞান জয়োৎসবের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মুনির হাসান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী বন্ধুসভার বন্ধু ফারুক হোসেন ও প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুনির হাসান। প্রতিযোগিতায় প্রাথমিকে ১০ জন, নিম্নমাধ্যমিকে ১০ জন ও মাধ্যমিকে ১০ জন করে মোট ৩০ জন প্রতিযোগী কুইজ বিজয়ীকে পদক ও সনদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিজ্ঞান প্রকল্পে ১১টি প্রকল্প পুরস্কৃত হয়েছে।
সমাপনী পর্বে বিচারকদের সঙ্গে মঞ্চে আসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক অরুন কুমার বসাক ও সিটি ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপক আবু সায়েদ ও প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির সমন্বয়কারী ও বিজ্ঞান জয়োৎসবের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মুনির হাসান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী বন্ধুসভার বন্ধু ফারুক হোসেন ও প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুনির হাসান। প্রতিযোগিতায় প্রাথমিকে ১০ জন, নিম্নমাধ্যমিকে ১০ জন ও মাধ্যমিকে ১০ জন করে মোট ৩০ জন প্রতিযোগী কুইজ বিজয়ীকে পদক ও সনদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিজ্ঞান প্রকল্পে ১১টি প্রকল্প পুরস্কৃত হয়েছে।
অতিথিদের সঙ্গে বিজয়ী শিক্ষার্থীরা। এ উৎসবে তিনটি বিভাগে বিজ্ঞান কুইজে ৩০ জন ও ১১টি বিজ্ঞান প্রকল্পে অংশ নিয়ে ৩০ জন বিজয়ী হয়। বিজয়ীরা ঢাকায় জাতীয় জয়োৎসবে অংশ নেবে। ছবি: শহীদুল ইসলাম |
No comments