বাল্যবিবাহ দিতে নির্যাতন: স্কুলে যেতে চায় তানজিলা
বাল্যবিয়েতে রাজি না হওয়ায় নির্যাতনের
শিকার বরগুনা সদর উপজেলার ছোট গৌরীচন্ন গ্রামের তানজিলা আক্তার বিদ্যালয়ে
যেতে চায়। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তানজিলার নিরাপত্তা ও তার
পড়াশোনা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে নারী অধিকার-বিষয়ক স্থানীয় বেসরকারি
সংস্থা ‘জাগো নারী’।
বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে গত পবিত্র রমজান মাসে চাচা পান্না খানের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল তানজিলা। এ কারণে পান্নাসহ চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন তানজিলার মা হেলেনা বেগম। গত মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে করা মামলায় তানজিলাকে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছে।
এদিকে নির্যাতনের দায়ে তানজিলার দায়ের করা মামলায় তাঁর মা-বাবা গত মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির হন। আদালত সূত্র জানায়, বিচারক নোমান মাইনুদ্দিন তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। তবে এ মামলায় গ্রেপ্তার তানজিলার বোন জেসমিন ও ভগ্নিপতি মিলনের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। মামলার অন্য আসামি গ্রাম্য ওঝা সালমা বেগম পলাতক আছেন।
মামলার আরজিতে হেলেনা বলেন, তাঁর মেয়ে তানজিলা গত রোববার সকালে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে বের হয়। সে সময় তাঁর (হেলেনা) চাচাশ্বশুর এনায়েত খান (৫০), ভাশুর আলমগীর খান (৪৫), জব্বার খান (৫৫), দেবর পান্না খান (৪০) মেয়েকে অপহরণ করেন। মামলাটি আদালত গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
তানজিলা গৌরীচন্ন নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। পড়াশোনার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে মা-বাবাসহ সবার সহযোগিতা চেয়েছে সে। জাগো নারীসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতারা মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে তানজিলার সঙ্গে দেখা করতে যান। সে সময় সে তাঁর ইচ্ছার কথা জানায়।
গতকাল বুধবার দুপুরে তানজিলা প্রথম আলোকে বলে, ‘আমার বাবা-মা, বোন-ভগ্নিপতি মিলে বাড়ির পাশের এক রিকশাচালকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার আয়োজন করলে আমি চাচার বাড়িতে আশ্রয় নিই। আমার তিন চাচা ও দাদা আমার পাশে দাঁড়ানোয় প্রতিহিংসাবশত তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’
তানজিলার চাচা পান্না মিয়া বলেন, ‘গত রমজান মাসে তানজিলাকে বাড়ির পাশের এক রিকশাচালকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সে আমার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। আমার ভাইয়ের এসব অন্যায় সিদ্ধান্তে একমত হতে না পারায় এখন মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে।’
তানজিলার বাবা জাহাঙ্গীর খান বলেন, ‘আমি মেয়েকে বিয়ে দিতে চাইনি। একজনের সঙ্গে ওর সম্পর্ক আছে শুনে বাড়ির পাশের দিনমজুর এক ছেলের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা করেছিলাম।’
গৌরীচন্ন নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল ফারুক বলেন, ‘তানজিলার বাবা মেয়েকে বিয়েতে রাজি করাতে কিছুদিন আগে আমার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। আমি তাঁকে বলে দিয়েছি, এটা আইনবিরুদ্ধ। ওর ছোট বোন তামান্নাও আমার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। মাস দুয়েক আগে তাকেও বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বয়সের কারণে ওর পরিবার সেটা গোপন রেখেছে।’
জাগো নারীর প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা বলেন, হাসপাতালে তানজিলার নিরাপত্তা দেওয়া দরকার। সে যাতে আবার বিদ্যালয়ে ফিরে যেতে পারে সে জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। প্রশাসনকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, তানজিলার নিরাপত্তার জন্য হাসপাতালে পুলিশের নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে গত পবিত্র রমজান মাসে চাচা পান্না খানের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল তানজিলা। এ কারণে পান্নাসহ চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন তানজিলার মা হেলেনা বেগম। গত মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে করা মামলায় তানজিলাকে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছে।
এদিকে নির্যাতনের দায়ে তানজিলার দায়ের করা মামলায় তাঁর মা-বাবা গত মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির হন। আদালত সূত্র জানায়, বিচারক নোমান মাইনুদ্দিন তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। তবে এ মামলায় গ্রেপ্তার তানজিলার বোন জেসমিন ও ভগ্নিপতি মিলনের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। মামলার অন্য আসামি গ্রাম্য ওঝা সালমা বেগম পলাতক আছেন।
মামলার আরজিতে হেলেনা বলেন, তাঁর মেয়ে তানজিলা গত রোববার সকালে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে বের হয়। সে সময় তাঁর (হেলেনা) চাচাশ্বশুর এনায়েত খান (৫০), ভাশুর আলমগীর খান (৪৫), জব্বার খান (৫৫), দেবর পান্না খান (৪০) মেয়েকে অপহরণ করেন। মামলাটি আদালত গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
তানজিলা গৌরীচন্ন নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। পড়াশোনার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে মা-বাবাসহ সবার সহযোগিতা চেয়েছে সে। জাগো নারীসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতারা মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে তানজিলার সঙ্গে দেখা করতে যান। সে সময় সে তাঁর ইচ্ছার কথা জানায়।
গতকাল বুধবার দুপুরে তানজিলা প্রথম আলোকে বলে, ‘আমার বাবা-মা, বোন-ভগ্নিপতি মিলে বাড়ির পাশের এক রিকশাচালকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার আয়োজন করলে আমি চাচার বাড়িতে আশ্রয় নিই। আমার তিন চাচা ও দাদা আমার পাশে দাঁড়ানোয় প্রতিহিংসাবশত তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’
তানজিলার চাচা পান্না মিয়া বলেন, ‘গত রমজান মাসে তানজিলাকে বাড়ির পাশের এক রিকশাচালকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সে আমার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। আমার ভাইয়ের এসব অন্যায় সিদ্ধান্তে একমত হতে না পারায় এখন মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে।’
তানজিলার বাবা জাহাঙ্গীর খান বলেন, ‘আমি মেয়েকে বিয়ে দিতে চাইনি। একজনের সঙ্গে ওর সম্পর্ক আছে শুনে বাড়ির পাশের দিনমজুর এক ছেলের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা করেছিলাম।’
গৌরীচন্ন নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল ফারুক বলেন, ‘তানজিলার বাবা মেয়েকে বিয়েতে রাজি করাতে কিছুদিন আগে আমার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। আমি তাঁকে বলে দিয়েছি, এটা আইনবিরুদ্ধ। ওর ছোট বোন তামান্নাও আমার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। মাস দুয়েক আগে তাকেও বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বয়সের কারণে ওর পরিবার সেটা গোপন রেখেছে।’
জাগো নারীর প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা বলেন, হাসপাতালে তানজিলার নিরাপত্তা দেওয়া দরকার। সে যাতে আবার বিদ্যালয়ে ফিরে যেতে পারে সে জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। প্রশাসনকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, তানজিলার নিরাপত্তার জন্য হাসপাতালে পুলিশের নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
No comments