বিশ্ব দখলের মিশনে আইএস!
শেষবার
বিশ্ব দখলের মিশন নিয়ে নেমেছিল হিটলার। তার সঙ্গে ছিল নাৎসি বাহিনী। এখনও
পৃথিবী তার সেই কার্যক্রমের ভয়াবহতা নিয়ে আলোচনা করে। বিশেষত তার ইহুদি
নিধন পদ্ধতির রোমহর্ষক সব বর্ণনা এক সময় পরিণত হয় 'মিথ' হিসেবে। এবার সেই
হিটলারে কাছাকাছি পরিকল্পনা নিয়ে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করেছে আইএসআইএস
নামে জঙ্গি সংগঠনটি। ২০২০ সালের মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশ, মধ্যপ্রাচ্যসহ
বিশ্বের বৃহৎ অংশ দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে আইএস। সম্প্রতি সাংবাদিক
এ্যান্ড্রু হস্কেনের লেখা ‘এম্পায়ার অব ফিয়ার: ইনসাইড দ্য ইসলামিক স্টেট’
শীর্ষক বইয়ে মানচিত্রসহ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের মঙ্গলবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসের প্রকাশ করা তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসির রিপোর্টার হস্কেন মানচিত্রটি তুলে ধরেন। সেখানে দেখানো হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, ভারতীয় উপমহাদেশ ও ইউরোপের কিছু অংশের দখল নিয়ে পূর্ণ খিলাফত প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছে আইএস। ইসলামী আইন অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া খিলাফত পূর্বে চীন ও পশ্চিমে স্পেন পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মানচিত্রে দেখানো হয়েছে, ইউরোপের স্পেন, পর্তুগাল ও ফ্রান্সের কিছু অংশ ‘আন্দালুস’ (আরবি ভাষায়) নামে পরিচিত থাকবে। ওই অঞ্চলটি অষ্টম থেকে ১৫শ’ শতাব্দী পর্যন্ত মুরদের শাসনাধীন ছিল।
আফগানিস্তান, ভারতীয় উপমহাদেশ, চীনসহ বিশাল অংশের নাম দেওয়া হবে ‘খোরাসান’। উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশকে ‘মাগরেব’ ও সৌদি আরবসহ কয়েকটি গাল্ফ রাষ্ট্রকে ডাকা হবে ‘হিজাজ’ বলে।
বইয়ে দাবি করা হয়েছে, প্রায় ২০ বছর আগে ৭ দফা পরিকল্পনা গ্রহণ করে আইএস। সে অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসলামী বিশ্বে আক্রমণের জন্য প্ররোচিত করা হবে। ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে আরব শাসকদের বিরুদ্ধে জাগরণ ঘটানো হবে।
বইটিতে আরো দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে আইএসের সদস্য সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ২০০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ডের মতো। এর বেশিরভাগ অংশই অর্জিত হয়েছে ইরাক ও সিরিয়ায় তেল এবং গ্যাসফিল্ড দখলের মাধ্যমে।
হস্কেন বলেন, "তারা (আইএস) পুরো অঞ্চলকে ইসলামী শাসনের অধীনে আনতে চায়। এক স্থানে খিলাফত প্রতিষ্ঠার পর তারা তা বিস্তৃত করবে। এভাবে তারা পুরো বিশ্বকে খিলাফতের অধীনে নিয়ে আসবে।"
তিনি আরো বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ ৬০টি রাষ্ট্র তাদের (আইএস) বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাই যে কেউ ভাবতে পারেন, তাদের পক্ষে এটা (পুরো বিশ্বের দখল নেওয়া) সম্ভব হবে না। তবে কেউ ভেবে দেখতে পারেন, তারা ইতোমধ্যেই প্রথম ধাপে সফল হয়েছে।"
ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের মঙ্গলবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসের প্রকাশ করা তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসির রিপোর্টার হস্কেন মানচিত্রটি তুলে ধরেন। সেখানে দেখানো হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, ভারতীয় উপমহাদেশ ও ইউরোপের কিছু অংশের দখল নিয়ে পূর্ণ খিলাফত প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছে আইএস। ইসলামী আইন অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া খিলাফত পূর্বে চীন ও পশ্চিমে স্পেন পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মানচিত্রে দেখানো হয়েছে, ইউরোপের স্পেন, পর্তুগাল ও ফ্রান্সের কিছু অংশ ‘আন্দালুস’ (আরবি ভাষায়) নামে পরিচিত থাকবে। ওই অঞ্চলটি অষ্টম থেকে ১৫শ’ শতাব্দী পর্যন্ত মুরদের শাসনাধীন ছিল।
আফগানিস্তান, ভারতীয় উপমহাদেশ, চীনসহ বিশাল অংশের নাম দেওয়া হবে ‘খোরাসান’। উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশকে ‘মাগরেব’ ও সৌদি আরবসহ কয়েকটি গাল্ফ রাষ্ট্রকে ডাকা হবে ‘হিজাজ’ বলে।
বইয়ে দাবি করা হয়েছে, প্রায় ২০ বছর আগে ৭ দফা পরিকল্পনা গ্রহণ করে আইএস। সে অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসলামী বিশ্বে আক্রমণের জন্য প্ররোচিত করা হবে। ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে আরব শাসকদের বিরুদ্ধে জাগরণ ঘটানো হবে।
বইটিতে আরো দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে আইএসের সদস্য সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ২০০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ডের মতো। এর বেশিরভাগ অংশই অর্জিত হয়েছে ইরাক ও সিরিয়ায় তেল এবং গ্যাসফিল্ড দখলের মাধ্যমে।
হস্কেন বলেন, "তারা (আইএস) পুরো অঞ্চলকে ইসলামী শাসনের অধীনে আনতে চায়। এক স্থানে খিলাফত প্রতিষ্ঠার পর তারা তা বিস্তৃত করবে। এভাবে তারা পুরো বিশ্বকে খিলাফতের অধীনে নিয়ে আসবে।"
তিনি আরো বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ ৬০টি রাষ্ট্র তাদের (আইএস) বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাই যে কেউ ভাবতে পারেন, তাদের পক্ষে এটা (পুরো বিশ্বের দখল নেওয়া) সম্ভব হবে না। তবে কেউ ভেবে দেখতে পারেন, তারা ইতোমধ্যেই প্রথম ধাপে সফল হয়েছে।"
No comments