সংস্কারে উদাসীনতা, আতঙ্কে যাত্রীরা by সুমনকুমার দাশ
ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের বালাগঞ্জ উপজেলার কাগজপুর সেতুর ভেঙে যাওয়া স্থানগুলো স্টিলের পাত দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন পরপর এগুলো দেবে গেলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছবি -প্রথম আলো |
সেতুর
ওপর অন্তত আটটি স্থান ভেঙে গেছে। এসব ভাঙা জায়গা স্টিলের পাত ও ঢালাই
দিয়ে ঢেকে (জোড়াতালি) রাখা। কিছুদিন পরপরই এসব স্থানের স্টিলের পাত দেবে
গিয়ে ছোট-বড় যান আটকা পড়ে। এ সময় যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে
যায়। এরপর সে স্থানে আবার একইভাবে স্টিলের পাত বসানো হয়। এভাবে জোড়াতালি
দিয়ে সংস্কার করে এর ওপর দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
এ অবস্থা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বালাগঞ্জ উপজেলার ওসমানীনগর এলাকার কাগজপুর সেতুর। সারা দেশ থেকে সিলেট আসতে হলে এই সেতু পার হতে হয়। অথচ তিন বছর ধরে এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এটি সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই সেতু দিয়ে চলাচলের সময় যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা আতঙ্কে থাকেন।
ট্রাকচালক রইসউদ্দিন বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে প্রতিদিনই মালবাহী অসংখ্য ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও সেতুটি নির্মাণে কর্তৃপক্ষ উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছেন।’
কাগজপুর সেতু: দেশের যেকোনো স্থান থেকে সিলেট আসতে হলে এই সেতু পার হতে হয়। সেতুর ওপর আটটি ভাঙা স্থান স্টিলের পাত দিয়ে ঢেকে রাখা। গাড়ি উঠলে এটি দুলতে থাকে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, কাগজপুর সেতুটি বুড়িগাঙ নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। সওজ ইতিমধ্যে এ সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য সেই সময় এখানে একটি বিকল্প বেইলি সেতু নির্মাণ করেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় বেইলি সেতুটি আর ব্যবহার করা হয়নি। ফলে মূল কাগজপুর সেতুটিও আর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সওজ সিলেট কার্যালয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সেতুটি সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দের জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিকল্প বেইলি সেতুটি চালু করে কাগজপুর সেতুটি যথাযথভাবে সংস্কার করা সম্ভব হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন এক হাজার যাত্রীবাহী বাস এবং তিন হাজার মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। এ ছাড়া এর ওপর দিয়ে প্রাইভেট কার, অটোরিকশা ও অন্যান্য যানও চলাচল করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির অধিকাংশ স্থানে ঢালাই খসে পড়েছে। এক পাশের পাকা রেলিং ভেঙে লোহার রড বেরিয়ে এসেছে। সেতুর তিন স্থানে ঢালাই খসে পড়ে গর্ত দেখা দিয়েছে। দ্রুতগতিসম্পন্ন যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক চলাচলের সময় পুরো সেতু দুলে ওঠে।
কাগজপুর গ্রামের বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় তিন বছর ধরে সেতুটি এ অবস্থায় রয়েছে। প্রায়ই কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটি স্থায়ীভাবে মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এলাকাবাসীকেই সেটি সামাল দিতে হয়।’
সেতুর আশপাশের বাসিন্দা ও কয়েকজন গাড়ি চালক জানান, সেতুটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রায়ই সেতুর লোহার পাত দেবে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। একবার দুর্ঘটনা ঘটলে সেই যানবাহনটি না সরানো পর্যন্ত সেতুর উভয় পাশে যানজট লেগে থাকে। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে সেতুতে একটি ট্রাক দেবে গিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় চার ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
এ অবস্থা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বালাগঞ্জ উপজেলার ওসমানীনগর এলাকার কাগজপুর সেতুর। সারা দেশ থেকে সিলেট আসতে হলে এই সেতু পার হতে হয়। অথচ তিন বছর ধরে এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এটি সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই সেতু দিয়ে চলাচলের সময় যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা আতঙ্কে থাকেন।
ট্রাকচালক রইসউদ্দিন বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে প্রতিদিনই মালবাহী অসংখ্য ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও সেতুটি নির্মাণে কর্তৃপক্ষ উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছেন।’
কাগজপুর সেতু: দেশের যেকোনো স্থান থেকে সিলেট আসতে হলে এই সেতু পার হতে হয়। সেতুর ওপর আটটি ভাঙা স্থান স্টিলের পাত দিয়ে ঢেকে রাখা। গাড়ি উঠলে এটি দুলতে থাকে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, কাগজপুর সেতুটি বুড়িগাঙ নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। সওজ ইতিমধ্যে এ সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য সেই সময় এখানে একটি বিকল্প বেইলি সেতু নির্মাণ করেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় বেইলি সেতুটি আর ব্যবহার করা হয়নি। ফলে মূল কাগজপুর সেতুটিও আর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সওজ সিলেট কার্যালয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সেতুটি সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দের জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিকল্প বেইলি সেতুটি চালু করে কাগজপুর সেতুটি যথাযথভাবে সংস্কার করা সম্ভব হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন এক হাজার যাত্রীবাহী বাস এবং তিন হাজার মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। এ ছাড়া এর ওপর দিয়ে প্রাইভেট কার, অটোরিকশা ও অন্যান্য যানও চলাচল করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির অধিকাংশ স্থানে ঢালাই খসে পড়েছে। এক পাশের পাকা রেলিং ভেঙে লোহার রড বেরিয়ে এসেছে। সেতুর তিন স্থানে ঢালাই খসে পড়ে গর্ত দেখা দিয়েছে। দ্রুতগতিসম্পন্ন যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক চলাচলের সময় পুরো সেতু দুলে ওঠে।
কাগজপুর গ্রামের বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় তিন বছর ধরে সেতুটি এ অবস্থায় রয়েছে। প্রায়ই কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটি স্থায়ীভাবে মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এলাকাবাসীকেই সেটি সামাল দিতে হয়।’
সেতুর আশপাশের বাসিন্দা ও কয়েকজন গাড়ি চালক জানান, সেতুটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রায়ই সেতুর লোহার পাত দেবে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। একবার দুর্ঘটনা ঘটলে সেই যানবাহনটি না সরানো পর্যন্ত সেতুর উভয় পাশে যানজট লেগে থাকে। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে সেতুতে একটি ট্রাক দেবে গিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় চার ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
No comments