আইন ভেঙেই চলছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশই আইন মানছে না। আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে নিজেরাই উপাচার্য বরখাস্ত করছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গিয়ে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় এখনো ভাড়া বাড়িতেই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় আইনানুযায়ী ৬ শতাংশ গরিব শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে পড়ায় না। মনোনীত সদস্যদের সিন্ডিকেট সভায় আমন্ত্রণ জানায় না।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে দেওয়া প্রতিবেদনে ইউজিসি এসব কথা বলেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপাচার্য ও ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যানদের বৈঠকে ডেকেছে ইউজিসি।
জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক সমস্যা নিয়েই আজ আলোচনা হবে।’
ইউজিসির একটি সূত্র জানায়, এই সভা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ইউজিসির প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পুরোনো ৫২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ১৭টি নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে নিজস্ব ক্যাম্পাস করেছে। গত ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আচার্য হিসেবে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে থাকেন। কিন্তু কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট্রি বোর্ড রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা ব্যক্তিদের বেআইনিভাবে তাঁদের পদ থেকে বরখাস্ত করছে। এটি আচার্যের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার শামিল।
ইউজিসি বলছে, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষদের দ্বন্দ্ব হচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয়ে স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পরিচালনার বিধিমালা অনুসরণ করছে না। সরকার ও ইউজিসির মনোনীত সদস্যদের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংরক্ষিত তহবিলের টাকা তুলে নিচ্ছে। কেউ এই টাকার বিপরীতে ঋণ নিচ্ছে। অনেকের মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরি ও লাইব্রেরি নেই। গবেষণাতে আগ্রহ কম। বেশ কয়েকটিতে নিয়মিত উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যও নেই।
ইউজিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আটটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনহীন ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। এর মধ্যে আছে দারুল ইহসান, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়।
আর অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটির অনুমোদনহীন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করা হয়েছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি দুটি ক্যাম্পাস বন্ধের কথা জানালেও ইউজিসি বলছে, পরিদর্শন করে মতামত দেওয়া হবে।
ইউজিসির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, আজকের সভা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে দেওয়া প্রতিবেদনে ইউজিসি এসব কথা বলেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপাচার্য ও ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যানদের বৈঠকে ডেকেছে ইউজিসি।
জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক সমস্যা নিয়েই আজ আলোচনা হবে।’
ইউজিসির একটি সূত্র জানায়, এই সভা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ইউজিসির প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পুরোনো ৫২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ১৭টি নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে নিজস্ব ক্যাম্পাস করেছে। গত ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আচার্য হিসেবে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে থাকেন। কিন্তু কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট্রি বোর্ড রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা ব্যক্তিদের বেআইনিভাবে তাঁদের পদ থেকে বরখাস্ত করছে। এটি আচার্যের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার শামিল।
ইউজিসি বলছে, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষদের দ্বন্দ্ব হচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয়ে স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পরিচালনার বিধিমালা অনুসরণ করছে না। সরকার ও ইউজিসির মনোনীত সদস্যদের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংরক্ষিত তহবিলের টাকা তুলে নিচ্ছে। কেউ এই টাকার বিপরীতে ঋণ নিচ্ছে। অনেকের মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরি ও লাইব্রেরি নেই। গবেষণাতে আগ্রহ কম। বেশ কয়েকটিতে নিয়মিত উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যও নেই।
ইউজিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আটটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনহীন ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। এর মধ্যে আছে দারুল ইহসান, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়।
আর অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটির অনুমোদনহীন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করা হয়েছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি দুটি ক্যাম্পাস বন্ধের কথা জানালেও ইউজিসি বলছে, পরিদর্শন করে মতামত দেওয়া হবে।
ইউজিসির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, আজকের সভা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
No comments