কে ফিরিয়ে দেবে নেজামের ২২ দিন by গাজী ফিরোজ
নেজাম উদ্দিন |
কাকে
দুষবেন নেজাম উদ্দিন? ভাগ্যকে? বিনা দোষে ২২ দিন কারাগারে থাকতে হয়েছে
তাঁকে। পেশায় কাঠমিস্ত্রি এই যুবককে গত ২৬ মে চট্টগ্রামের আনোয়ারার নিজ
বাড়ি থেকে নারী অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই তাঁকে কারাগারে
পাঠানো হয়। কিন্তু পটিয়া থানার পুলিশের যে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত
তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন, সে প্রতিবেদনটিই ছিল ভুয়া।
আদতে ওই প্রতিবেদন পটিয়া থানা থেকে যায়নি।
জালিয়াতির এখানেই শেষ নয়। মামলায় বাদীর ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে পটিয়ার বড় উঠান এলাকার চেয়ারম্যানবাড়ি। বাদী ওই বাড়ির বাসিন্দা রফিক আহম্মদের স্ত্রী আমেনা বেগম। কিন্তু ওই ঠিকানায় আমেনা ও রফিক নামের কেউ থাকেন না বলে প্রথম আলোকে জানান পটিয়ার বড় উঠান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম। এ বিষয়ে অপহরণ মামলায় বাদীর আইনজীবী বাবুল কুমার রায়ের বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
গত মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক দিলীপ কুমার দেবনাথ মুক্তির আদেশ দেন নেজামকে। একই সঙ্গে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতেও পুলিশকে নির্দেশ দেন।
আদালত থেকে জামিননামা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আসার পর গতকাল সকালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারাফটকে নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, যে নারীকে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে তাঁকে তিনি চেনেনই না। পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর জানতে পারেন তাঁর নামে মামলা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদেরও চিনি না। বিনা দোষে কেন তাঁকে জেলে যেতে হলো। এর জন্য যাঁরা দায়ী, তাদের বিচার দাবি করেন তিনি।
এই জালিয়াতির বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক জানান, সাধারণত আদালতের যেকোনো আদেশ বেঞ্চ সহকারী থানায় পাঠান। থানা থেকে পাঠানো প্রতিবেদনও তিনি গ্রহণ করেন। কিন্তু অপহরণের এ মামলায় আদালতের আদেশটি থানায় কেন পাঠানো হলো না? আর পুলিশের পাঠানো প্রতিবেদনটি থানা থেকেই পাঠানো হয়েছে কি না তা কেন নিশ্চিত হননি বেঞ্চ সহকারী।
এনামুল হক বলেন, ‘এই গাফিলতির তদন্ত হওয়া উচিত। নইলে এ রকম ঘটনা বারবার ঘটবে। জেল খাটতে হবে নিরীহ মানুষকে। জালিয়াত চক্রটির সঙ্গে জড়িত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সমিতি ব্যবস্থা নেবে।’
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বড় উঠান গ্রামের আমেনা বেগম নামের এক নারী তাঁর মেয়েকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের অভিযোগে নেজাম উদ্দিন, জিয়া উদ্দিন, রুবেল হোসেন, সালাউদ্দিন সিদ্দিকী, মিজানুর রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন। আদালত ওই দিনই পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী ও উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলমের সই ও সিল জাল করে ২৫ মার্চ এই মামলায় আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, আমেনা বেগমের মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ সত্য। চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩ মার্চ তাঁর মেয়েকে পটিয়া থানার বড় উঠান রাস্তার মাথা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে ছয়জনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। পটিয়া এলাকার পাঁচ ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয় প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটি পাওয়ার পর অপরাধ আমলে নিয়ে গত ১৪ মে ট্রাইব্যুনাল ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পাঁচজন আসামিকে পুলিশ ধরতে না পারলেও ২৬ মে নেজাম উদ্দিনকে আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকার গুয়াপঞ্চক ইউনিয়নের তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মামলায় ছয় আসামির মধ্যে বাকি পাঁচজন হলেন চট্টগ্রাম নগরের বটতলী রেলস্টেশন এলাকার হোটেল মার্টিনের মালিক জহুরুল ইসলামের দুই ছেলে ও তিন কর্মচারী। তাঁর ছেলে ও মামলার আসামি সালাউদ্দিন সিদ্দিকী প্রথম আলোকে জানান, সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাঁদের মামলা চলছে। এ জন্য ঘায়েল করতেই মিথ্যা মামলায় তাঁদের জড়ানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
নেজামের আইনজীবী এম এ এম আজাদ ৮ জুন আদালতে দাবি করেন, পুলিশের পাঠানো প্রতিবেদনটি ভুয়া। এরপর আদালত পটিয়া থানা-পুলিশের কাছে পুনরায় প্রতিবেদন তলব করেন। আদেশ পাওয়ার পর পটিয়া থানার ওসি এবং এসআই ১৫ জুন আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আমেনা বেগমের করা মামলার প্রতিবেদন দিতে ট্রাইব্যুনালের কোনো আদেশ পটিয়া থানা পায়নি। এমনকি এ মামলার কোনো প্রতিবেদনও থানা থেকে আদালতে জমা দেওয়া হয়নি। ওসি এবং এসআইর সই ও সিল জাল করে ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করে তা কেউ ট্রাইব্যুনালে জমা দিতে পারেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে বলা হয়, ওই ঠিকানায় বাদীর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
থানা থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক ১৬ জুন এই মামলায় কারাগারে থাকা আসামি নেজাম উদ্দিনকে মুক্তির আদেশ দেন। বাকি পাঁচ আসামির পরোয়ানা বাতিল করেন। একই সঙ্গে আদালতের আদেশ থানায় না পৌঁছানো, থানার নাম দিয়ে পাঠানো ভুয়া প্রতিবেদনটি গ্রহণ করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন বলে জানান চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম।
জানতে চাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদেশটি এক আইনজীবীর মুন্সী নিয়ে যান পটিয়া থানায়। পরে প্রতিবেদনটি কে জমা দিয়েছে তা জানি না। এ রকম জালিয়াতি আগে দেখিনি।’
নিয়ম অনুযায়ী আদালতের আদেশটি কেন ডাকযোগে পাঠানো হয়নি সে প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি মোরশেদ আলম।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম জানান, মামলার পর থেকে বাদী ও বাদীর আইনজীবীকে ধার্য দিনে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। মূলত মামলা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করাই তাঁদের উদ্দেশ্যে ছিল। অভিযোগটি খারিজের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।
জালিয়াতির এখানেই শেষ নয়। মামলায় বাদীর ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে পটিয়ার বড় উঠান এলাকার চেয়ারম্যানবাড়ি। বাদী ওই বাড়ির বাসিন্দা রফিক আহম্মদের স্ত্রী আমেনা বেগম। কিন্তু ওই ঠিকানায় আমেনা ও রফিক নামের কেউ থাকেন না বলে প্রথম আলোকে জানান পটিয়ার বড় উঠান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম। এ বিষয়ে অপহরণ মামলায় বাদীর আইনজীবী বাবুল কুমার রায়ের বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
গত মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক দিলীপ কুমার দেবনাথ মুক্তির আদেশ দেন নেজামকে। একই সঙ্গে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতেও পুলিশকে নির্দেশ দেন।
আদালত থেকে জামিননামা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আসার পর গতকাল সকালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারাফটকে নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, যে নারীকে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে তাঁকে তিনি চেনেনই না। পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর জানতে পারেন তাঁর নামে মামলা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদেরও চিনি না। বিনা দোষে কেন তাঁকে জেলে যেতে হলো। এর জন্য যাঁরা দায়ী, তাদের বিচার দাবি করেন তিনি।
এই জালিয়াতির বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক জানান, সাধারণত আদালতের যেকোনো আদেশ বেঞ্চ সহকারী থানায় পাঠান। থানা থেকে পাঠানো প্রতিবেদনও তিনি গ্রহণ করেন। কিন্তু অপহরণের এ মামলায় আদালতের আদেশটি থানায় কেন পাঠানো হলো না? আর পুলিশের পাঠানো প্রতিবেদনটি থানা থেকেই পাঠানো হয়েছে কি না তা কেন নিশ্চিত হননি বেঞ্চ সহকারী।
এনামুল হক বলেন, ‘এই গাফিলতির তদন্ত হওয়া উচিত। নইলে এ রকম ঘটনা বারবার ঘটবে। জেল খাটতে হবে নিরীহ মানুষকে। জালিয়াত চক্রটির সঙ্গে জড়িত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সমিতি ব্যবস্থা নেবে।’
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বড় উঠান গ্রামের আমেনা বেগম নামের এক নারী তাঁর মেয়েকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের অভিযোগে নেজাম উদ্দিন, জিয়া উদ্দিন, রুবেল হোসেন, সালাউদ্দিন সিদ্দিকী, মিজানুর রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন। আদালত ওই দিনই পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী ও উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলমের সই ও সিল জাল করে ২৫ মার্চ এই মামলায় আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, আমেনা বেগমের মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ সত্য। চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩ মার্চ তাঁর মেয়েকে পটিয়া থানার বড় উঠান রাস্তার মাথা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে ছয়জনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। পটিয়া এলাকার পাঁচ ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয় প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটি পাওয়ার পর অপরাধ আমলে নিয়ে গত ১৪ মে ট্রাইব্যুনাল ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পাঁচজন আসামিকে পুলিশ ধরতে না পারলেও ২৬ মে নেজাম উদ্দিনকে আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকার গুয়াপঞ্চক ইউনিয়নের তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মামলায় ছয় আসামির মধ্যে বাকি পাঁচজন হলেন চট্টগ্রাম নগরের বটতলী রেলস্টেশন এলাকার হোটেল মার্টিনের মালিক জহুরুল ইসলামের দুই ছেলে ও তিন কর্মচারী। তাঁর ছেলে ও মামলার আসামি সালাউদ্দিন সিদ্দিকী প্রথম আলোকে জানান, সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাঁদের মামলা চলছে। এ জন্য ঘায়েল করতেই মিথ্যা মামলায় তাঁদের জড়ানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
নেজামের আইনজীবী এম এ এম আজাদ ৮ জুন আদালতে দাবি করেন, পুলিশের পাঠানো প্রতিবেদনটি ভুয়া। এরপর আদালত পটিয়া থানা-পুলিশের কাছে পুনরায় প্রতিবেদন তলব করেন। আদেশ পাওয়ার পর পটিয়া থানার ওসি এবং এসআই ১৫ জুন আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আমেনা বেগমের করা মামলার প্রতিবেদন দিতে ট্রাইব্যুনালের কোনো আদেশ পটিয়া থানা পায়নি। এমনকি এ মামলার কোনো প্রতিবেদনও থানা থেকে আদালতে জমা দেওয়া হয়নি। ওসি এবং এসআইর সই ও সিল জাল করে ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করে তা কেউ ট্রাইব্যুনালে জমা দিতে পারেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে বলা হয়, ওই ঠিকানায় বাদীর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
থানা থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক ১৬ জুন এই মামলায় কারাগারে থাকা আসামি নেজাম উদ্দিনকে মুক্তির আদেশ দেন। বাকি পাঁচ আসামির পরোয়ানা বাতিল করেন। একই সঙ্গে আদালতের আদেশ থানায় না পৌঁছানো, থানার নাম দিয়ে পাঠানো ভুয়া প্রতিবেদনটি গ্রহণ করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন বলে জানান চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম।
জানতে চাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদেশটি এক আইনজীবীর মুন্সী নিয়ে যান পটিয়া থানায়। পরে প্রতিবেদনটি কে জমা দিয়েছে তা জানি না। এ রকম জালিয়াতি আগে দেখিনি।’
নিয়ম অনুযায়ী আদালতের আদেশটি কেন ডাকযোগে পাঠানো হয়নি সে প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি মোরশেদ আলম।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম জানান, মামলার পর থেকে বাদী ও বাদীর আইনজীবীকে ধার্য দিনে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। মূলত মামলা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করাই তাঁদের উদ্দেশ্যে ছিল। অভিযোগটি খারিজের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।
No comments