পারলে জুতা মারো, চামড়া তুলে নাও -কথিত বিক্ষোভকারীদের বললেন আইভি
নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনের বাইরে মেয়রবিরোধীদের ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে হঠাৎ বিক্ষোভকারীদের সামনে হাজির হন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী l ছবি: প্রথম আলো |
নারায়ণগঞ্জ
নগর ভবনের বাইরে চলছিল মেয়রবিরোধীদের ঘেরাও কর্মসূচি। ঘেরাওকারীরা
স্লোগান দিচ্ছে, ‘আইভীর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘আইভীর চামড়া,
তুলে নেব আমরা’। হঠাৎ রাস্তায় নেমে কথিত বিক্ষোভকারীদের সামনে হাজির হলেন
মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী নিজেই। বললেন, ‘আমি তোমাদের সামনে এসেছি, এখন
সৎসাহস থাকলে পারলে জুতা মারো, চামড়া তুলে নাও।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নারায়ণগঞ্জ নগর ভবন পরিদর্শন করতে গিয়ে সেখানে অবস্থান করছিলেন মার্কিন দূতাবাস ও ব্রিটিশ সরকারের উন্নয়ন সংস্থা ডিএফআইডির প্রতিনিধিরা। এর কিছু আগে থেকে সাংসদ শামীম ওসমানের অনুগতরা নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করেন। ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ট্রাকে-বাসে করে কর্মসূচিতে লোক আনা হয়।
আইভীর কথা শুনে অবরোধে নেতৃত্ব দেওয়া নেতারা পিছু হটে যান। একপর্যায়ে তল্লা এলাকার যুবলীগের নেতা জানে আলম বিপ্লব মেয়র আইভীকে বলেন, ‘আপা, এটা তো আমাদের স্লোগানের ভাষা।’ বিদেশি দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নগর ভবনে ছিলেন। সাংসদের অনুগতরা ততক্ষণ ঘেরাও কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন।
নগর দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে অর্থায়ন বিষয়ে ডিএফআইডির প্রতিনিধিদল নগর ভবনে আসে। আগে থেকেই শামীম ওসমানের অনুগতরা ভবনের প্রধান প্রবেশপথ অবরোধ করে রাখে। ভবনের সামনের সড়কের দুপাশে ইংরেজিতে লেখা ব্যানার ঝোলানো হয়। ‘নারায়ণগঞ্জের সচেতন নাগরিক সমাজ’-এর নামে লেখা ব্যানারের বক্তব্য ছিল: ‘আমরা আইভীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চাই।’
ঘেরাওকারীরা সেখানে সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ প্রমুখ।
পরে মেয়র আইভী তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে একজন এমপির অনুগতরা সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের পরিদর্শনকালে ইংরেজিতে লেখা ব্যানার নিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে। নারী বলেই তারা আমাকে হেয় করার জন্য এ ধরনের পথ বেছে নিয়েছে। আমি যখন সাহস করে তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম, তখন তারা কুরুচিপূর্ণ স্লোগান বন্ধ করে চুপ হয়ে যায়।’
খোকন সাহা বলেন, ‘উন্নয়নের নামে আইভী সিটি করপোরেশনের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কর না কমালে উন্নয়নবঞ্চিত মানুষ আগামী দিনে নগর ভবন ঘেরাও করবে এবং মেয়রকে বের হতে দেবে না।’
নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচির সময় সদর মডেল থানার ওসি আবদুল মালেকের নেতৃত্বে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা কোনো বাধা দেয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নারায়ণগঞ্জ নগর ভবন পরিদর্শন করতে গিয়ে সেখানে অবস্থান করছিলেন মার্কিন দূতাবাস ও ব্রিটিশ সরকারের উন্নয়ন সংস্থা ডিএফআইডির প্রতিনিধিরা। এর কিছু আগে থেকে সাংসদ শামীম ওসমানের অনুগতরা নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করেন। ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ট্রাকে-বাসে করে কর্মসূচিতে লোক আনা হয়।
আইভীর কথা শুনে অবরোধে নেতৃত্ব দেওয়া নেতারা পিছু হটে যান। একপর্যায়ে তল্লা এলাকার যুবলীগের নেতা জানে আলম বিপ্লব মেয়র আইভীকে বলেন, ‘আপা, এটা তো আমাদের স্লোগানের ভাষা।’ বিদেশি দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নগর ভবনে ছিলেন। সাংসদের অনুগতরা ততক্ষণ ঘেরাও কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন।
নগর দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে অর্থায়ন বিষয়ে ডিএফআইডির প্রতিনিধিদল নগর ভবনে আসে। আগে থেকেই শামীম ওসমানের অনুগতরা ভবনের প্রধান প্রবেশপথ অবরোধ করে রাখে। ভবনের সামনের সড়কের দুপাশে ইংরেজিতে লেখা ব্যানার ঝোলানো হয়। ‘নারায়ণগঞ্জের সচেতন নাগরিক সমাজ’-এর নামে লেখা ব্যানারের বক্তব্য ছিল: ‘আমরা আইভীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চাই।’
ঘেরাওকারীরা সেখানে সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ প্রমুখ।
পরে মেয়র আইভী তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে একজন এমপির অনুগতরা সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের পরিদর্শনকালে ইংরেজিতে লেখা ব্যানার নিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে। নারী বলেই তারা আমাকে হেয় করার জন্য এ ধরনের পথ বেছে নিয়েছে। আমি যখন সাহস করে তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম, তখন তারা কুরুচিপূর্ণ স্লোগান বন্ধ করে চুপ হয়ে যায়।’
খোকন সাহা বলেন, ‘উন্নয়নের নামে আইভী সিটি করপোরেশনের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কর না কমালে উন্নয়নবঞ্চিত মানুষ আগামী দিনে নগর ভবন ঘেরাও করবে এবং মেয়রকে বের হতে দেবে না।’
নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচির সময় সদর মডেল থানার ওসি আবদুল মালেকের নেতৃত্বে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা কোনো বাধা দেয়নি।
No comments