এ কী করলেন ধোনি!
উইকেট পাওয়ার পর মুস্তাফিজকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস। এই আনন্দ বুকে পুষে শরীরে ব্যথা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন উদীয়মান এই পেসার। ছবি: শামসুল হক |
নিজের
আগের দুই ওভারে দুজনকে ফিরিয়েছেন। এর মধ্যে ওয়ানডের সর্বোচ্চ ইনিংসের
রানের মালিককে দিয়ে খুলেছেন উইকেটের খাতা। আজই ওয়ানডেতে অভিষিক্ত
মুস্তাফিজুর রহমানকে শেষ পর্যন্ত খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়তে হলো। নিজের
সপ্তম আর ইনিংসের ২৫তম ওভারটি শেষই করতে পারেননি। উইকেটে মহেন্দ্র সিং
ধোনির সঙ্গে ধাক্কা লেগে শেষ পর্যন্ত ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন। আবার মাঠে ফিরতে
পারবেন কিনা, এই প্রতিবেদন লেখার সময় বলার উপায় ছিল না।
ক্রিকেটের আইন বলবে ধোনি অন্যায় কিছু করেননি। তিনি তাঁর পথ ধরেই বলটা ঠেলেই সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য ছুটেছেন। বরং মুস্তাফিজই ধোনির দৌড়ের পথের ওপর এসে পড়েন। কিন্তু আইনের ভাষায় সব লেখা থাকে না। আইনের ভাষাই শেষ কথা নয়। ধোনি চাইলে মুস্তাফিজের সঙ্গে ধাক্কাটা এড়িয়েও যেতে পারতেন। বরং রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, ভারতীয় অধিনায়ক যেন ক্ষণিকের জন্য মেজাজ হারিয়ে ইচ্ছে করেই ধাক্কাটা মেরেছেন।
পলকা শরীর। এখনো বয়স ২০ বছরও হয়নি। ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন আজই প্রথম। সেই মুস্তাফিজ ধোনির মতো পেটানো শরীরের ধাক্কা সামলে উঠতে পারবেন কেন? এর আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচই খেলেছেন একটি। সেটিও টি-টোয়েন্টি। ১১ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ভারতীয় অধিনায়ক কি পারতেন না সংঘর্ষটা এড়াতে?
বলের দিকে চোখ ছিল মুস্তাফিজের। ধোনিরও। কিন্তু বলটা মিড অফের দিকে গিয়েছিল বলে মুস্তাফিজ ঘুরে গিয়েছিলেন। পেছন থেকে কে আসছে দেখার উপায় ছিল না তাঁর। কিন্তু ধোনি স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে আসছিলেন। প্রথম দিকে চোখে না পড়লেও শেষ মুহূর্তে ঠিকই মুস্তাফিজকে দেখতে পান। আর সেই সময়ই সরে যাওয়ার বদলে যেন ইচ্ছে করেই ধাক্কা মেরে মুস্তাফিজকে সরিয়ে দেন। এর পর আম্পায়ারের কাছে অভিযোগও করেন।
আইনত ধোনি ঠিক আছেন। কিন্তু ভারতীয় অধিনায়কের যে ভাবমূর্তি, এর সঙ্গে এটি যেন বড্ড বেমানান। এমনিতে ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত ধুঁকছিল। ভীষণ চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল। হয়তো সেই চাপেরই বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু আজ থেকে বহু দিন পরও যদি এই ঘটনার ফুটেজ দেখেন, ধোনি নিশ্চয়ই অনুতপ্ত হবেন। ভারত অধিনায়ক অবশ্য নিজেও এই ঘটনার পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। সাকিবের বলে মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু এখনো মাঠে ফেরা হয়নি ৩৭ রানে ২ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজের।
ক্রিকেটের আইন বলবে ধোনি অন্যায় কিছু করেননি। তিনি তাঁর পথ ধরেই বলটা ঠেলেই সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য ছুটেছেন। বরং মুস্তাফিজই ধোনির দৌড়ের পথের ওপর এসে পড়েন। কিন্তু আইনের ভাষায় সব লেখা থাকে না। আইনের ভাষাই শেষ কথা নয়। ধোনি চাইলে মুস্তাফিজের সঙ্গে ধাক্কাটা এড়িয়েও যেতে পারতেন। বরং রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, ভারতীয় অধিনায়ক যেন ক্ষণিকের জন্য মেজাজ হারিয়ে ইচ্ছে করেই ধাক্কাটা মেরেছেন।
পলকা শরীর। এখনো বয়স ২০ বছরও হয়নি। ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন আজই প্রথম। সেই মুস্তাফিজ ধোনির মতো পেটানো শরীরের ধাক্কা সামলে উঠতে পারবেন কেন? এর আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচই খেলেছেন একটি। সেটিও টি-টোয়েন্টি। ১১ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ভারতীয় অধিনায়ক কি পারতেন না সংঘর্ষটা এড়াতে?
বলের দিকে চোখ ছিল মুস্তাফিজের। ধোনিরও। কিন্তু বলটা মিড অফের দিকে গিয়েছিল বলে মুস্তাফিজ ঘুরে গিয়েছিলেন। পেছন থেকে কে আসছে দেখার উপায় ছিল না তাঁর। কিন্তু ধোনি স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে আসছিলেন। প্রথম দিকে চোখে না পড়লেও শেষ মুহূর্তে ঠিকই মুস্তাফিজকে দেখতে পান। আর সেই সময়ই সরে যাওয়ার বদলে যেন ইচ্ছে করেই ধাক্কা মেরে মুস্তাফিজকে সরিয়ে দেন। এর পর আম্পায়ারের কাছে অভিযোগও করেন।
আইনত ধোনি ঠিক আছেন। কিন্তু ভারতীয় অধিনায়কের যে ভাবমূর্তি, এর সঙ্গে এটি যেন বড্ড বেমানান। এমনিতে ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত ধুঁকছিল। ভীষণ চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল। হয়তো সেই চাপেরই বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু আজ থেকে বহু দিন পরও যদি এই ঘটনার ফুটেজ দেখেন, ধোনি নিশ্চয়ই অনুতপ্ত হবেন। ভারত অধিনায়ক অবশ্য নিজেও এই ঘটনার পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। সাকিবের বলে মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু এখনো মাঠে ফেরা হয়নি ৩৭ রানে ২ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজের।
শাস্তি পেলেন ধোনি, মুস্তাফিজও
মুস্তাফিজুর রহমানকে মহেন্দ্র সিং ধোনির
ধাক্কার ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। কাল থেকেই প্রশ্নটা আসছিল,
কী শাস্তি পেতে যাচ্ছেন ভারতীয় অধিনায়ক? এমনও শোনা যাচ্ছিল, এক-দুই ম্যাচ
নিষিদ্ধও হতে পারেন। আপাতত বড় ধরনের কোনো শাস্তি পেতে হয়নি। ম্যাচ ফি
কাটার মধ্যেও সীমাবদ্ধ থেকেছে। ধোনির সঙ্গে শাস্তি পেয়েছেন মুস্তাফিজও।
ম্যাচের পরই দুজনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেন মাঠের আম্পায়াররা। শুনানির পর দুজনকেই জরিমানা করেন ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট। জরিমানা হিসেবে কেটে নেওয়া হয়েছে ধোনির ৭৫ শতাংশ আর মুস্তাফিজের ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ম্যাচ অফিশিয়াল প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ‘‘শুনানিতে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে মুস্তাফিজ। বলেছে, আরেকটু সরে গেলে হয়তো ধাক্কাটা এড়ানো যেত। আচরণবিধির ভাষায় এটি ‘অ্যাভয়ডেবল’ ঘটনা। বোলার ওখানে দাঁড়িয়েছিল বলের জন্য। বল পাবে না জেনেও সে সরেনি। ওটা আসলে তার জায়গাও ছিল না। জায়গাটা ডানদিকে। এটা জেনে করে থাকুক বা না জেনেই করুক, অবশ্যই নিয়ম ভঙ্গ। নিয়ম বলছে, ‘কিছুতেই খেলোয়াড়েরা ধাক্কায় লিপ্ত হতে পারবে না।’ দুজনই একই লাইনে ছিল। ধোনির দোষ ছিল, দোষ হবে মুস্তাফিজেরও। যদি মুস্তাফিজ সরে দাঁড়াত এবং তার পরও ধোনি ধাক্কা দিত, তাহলে পুরো দোষ ধোনিরই হতো। তবে সব স্বীকার করে নেওয়ায় মুস্তাফিজকে ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।’’
মুস্তাফিজ সহজেই স্বীকার করে নিলেও ধোনি নাকি কিছুতেই নিজের দোষ স্বীকার করে নিতে চাননি। দাবি করেছেন, তাঁর সরে যাওয়ার জায়গা ছিল না। ও প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যানকে দৌড়ানোর জায়গা করে দিতে ওই পাশ দিয়ে আসতে হয়েছে। ধোনি বলেছেন, ‘আমি তাকে (মুস্তাফিজ) হাত দিয়ে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।’ কিন্তু ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে, ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়েছেন মুস্তাফিজকে। এটি আইসিসির আচরণবিধির লেভেল ২.২.৪-এর অপরাধ।
প্রশ্ন উঠবে, ধোনির শাস্তি কি যথার্থ হলো? ম্যাচ অফিশিয়াল বললেন, ‘চাইলে ধোনির পুরো ম্যাচ ফি কাটা যেত। কিংবা এক ম্যাচ বা দুই ম্যাচ নিষিদ্ধও করা যেত। এটা নির্ভর করে ম্যাচ রেফারির ওপর। তবে শাস্তি দেওয়ার আগে ওই খেলোয়াড়ের আগের ম্যাচগুলোয় তার শৃঙ্খলার বিষয়টিও বিশ্লেষণ করা হয়। ধোনির ক্ষেত্রেও তা বিবেচনা করা হয়েছে। হয়তো আগের ম্যাচগুলোয় ভাবমূর্তি খুব ভালো থাকায় শাস্তিটা ৭৫ শতাংশেই সীমাবদ্ধ থেকেছে।’
ম্যাচের পরই দুজনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেন মাঠের আম্পায়াররা। শুনানির পর দুজনকেই জরিমানা করেন ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট। জরিমানা হিসেবে কেটে নেওয়া হয়েছে ধোনির ৭৫ শতাংশ আর মুস্তাফিজের ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ম্যাচ অফিশিয়াল প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ‘‘শুনানিতে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে মুস্তাফিজ। বলেছে, আরেকটু সরে গেলে হয়তো ধাক্কাটা এড়ানো যেত। আচরণবিধির ভাষায় এটি ‘অ্যাভয়ডেবল’ ঘটনা। বোলার ওখানে দাঁড়িয়েছিল বলের জন্য। বল পাবে না জেনেও সে সরেনি। ওটা আসলে তার জায়গাও ছিল না। জায়গাটা ডানদিকে। এটা জেনে করে থাকুক বা না জেনেই করুক, অবশ্যই নিয়ম ভঙ্গ। নিয়ম বলছে, ‘কিছুতেই খেলোয়াড়েরা ধাক্কায় লিপ্ত হতে পারবে না।’ দুজনই একই লাইনে ছিল। ধোনির দোষ ছিল, দোষ হবে মুস্তাফিজেরও। যদি মুস্তাফিজ সরে দাঁড়াত এবং তার পরও ধোনি ধাক্কা দিত, তাহলে পুরো দোষ ধোনিরই হতো। তবে সব স্বীকার করে নেওয়ায় মুস্তাফিজকে ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।’’
মুস্তাফিজ সহজেই স্বীকার করে নিলেও ধোনি নাকি কিছুতেই নিজের দোষ স্বীকার করে নিতে চাননি। দাবি করেছেন, তাঁর সরে যাওয়ার জায়গা ছিল না। ও প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যানকে দৌড়ানোর জায়গা করে দিতে ওই পাশ দিয়ে আসতে হয়েছে। ধোনি বলেছেন, ‘আমি তাকে (মুস্তাফিজ) হাত দিয়ে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।’ কিন্তু ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে, ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়েছেন মুস্তাফিজকে। এটি আইসিসির আচরণবিধির লেভেল ২.২.৪-এর অপরাধ।
প্রশ্ন উঠবে, ধোনির শাস্তি কি যথার্থ হলো? ম্যাচ অফিশিয়াল বললেন, ‘চাইলে ধোনির পুরো ম্যাচ ফি কাটা যেত। কিংবা এক ম্যাচ বা দুই ম্যাচ নিষিদ্ধও করা যেত। এটা নির্ভর করে ম্যাচ রেফারির ওপর। তবে শাস্তি দেওয়ার আগে ওই খেলোয়াড়ের আগের ম্যাচগুলোয় তার শৃঙ্খলার বিষয়টিও বিশ্লেষণ করা হয়। ধোনির ক্ষেত্রেও তা বিবেচনা করা হয়েছে। হয়তো আগের ম্যাচগুলোয় ভাবমূর্তি খুব ভালো থাকায় শাস্তিটা ৭৫ শতাংশেই সীমাবদ্ধ থেকেছে।’
No comments