শান্তিরক্ষা মিশন ঢেলে সাজানোর পরামর্শ -আন্তর্জাতিক প্যানেলের প্রতিবেদন
সংবাদ সম্মেলনে হোসে রামোস-হোর্তা ও আমীরা হক |
জাতিসংঘের
শান্তিরক্ষা মিশনকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক তৎপরতা’য় যুক্ত না করার
পরামর্শ দিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক প্যানেল। মিশনের সদস্যরা ‘লেনদেনের
যৌনাচারে’ যুক্ত—এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া এক প্রতিবেদনে
প্যানেলটি আরও কিছু পরামর্শ হাজির করেছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের নিজস্ব এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংঘাতময় দেশগুলোতে মোতায়েন অনেক শান্তিরক্ষী খাবার, নগদ টাকা, অলংকার, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন জিনিসের বিনিময়ে দারিদ্র্যপীড়িত নারী ও মেয়েশিশুদের সঙ্গে নিয়মিত যৌনাচার করছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের গঠন করা প্যানেলটির প্রতিবেদনে সব শান্তিরক্ষা মিশনকে অধিকতর লিঙ্গ-সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মিশনের সদস্যরা যাতে যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনায় লিপ্ত না হয়, সে উদ্দেশ্যে একাধিক পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এমন কার্যকলাপে অভিযুক্ত সেনাদের স্থানীয় আদালতে সোপর্দ করার বিরোধিতাও করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত সেনাদের স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক আইন থেকে ‘অব্যাহতি’ দিয়ে, তাদের দেশের জাতীয় আইনে বিচারের নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মে পরিবর্তন আনলে শান্তিরক্ষা মিশন বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়বে বলে মনে করে প্যানেল।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সুচারুভাবে সমন্বয় করার স্বার্থে জাতিসংঘে একটি ‘অতিরিক্ত উপমহাসচিব’ পদ সৃষ্টিরও প্রস্তাব করেছে এই প্যানেল। বর্তমানে একজন উপমহাসচিব রয়েছেন, তিনি প্রশাসনিক বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও উন্নয়নসংক্রান্ত কাজগুলোতে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে ১৫ সদস্যের ওই আন্তর্জাতিক প্যানেল। এ সময় প্যানেলের সভাপতি তিমোর-লেসতের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হোসে রামোস-হোর্তা এবং বর্তমান সহসভাপতি বাংলাদেশের আমীরা হক উপস্থিত ছিলেন।
মহাসচিব বান কি মুন চলতি ও ভবিষ্যৎ শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট পূর্বাপর সমীক্ষার লক্ষ্যে গত বছরের অক্টোবরে এই প্যানেল গঠন করেন। রামোস-হোর্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কর্মশালা, রাজনৈতিক শলাপরামর্শ ও সরেজমিন তদন্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এই সমীক্ষার সূত্রে তাঁরা ঢাকা সফর করেছেন বলেও জানান তিনি।
১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি রক্ষার্থে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় শান্তিরক্ষা মিশন। গত ছয় দশকে মিশনের কার্যক্রম বহুলাংশে বদলে গেছে। নতুন বাস্তবতার আলোকে শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট কী হওয়া উচিত, তাতে আলোকপাত করে প্যানেলের প্রতিবেদনটিতে চারটি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রথমত, সামরিক উপায়ে নয়, শুধু রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়েই টেকসই শান্তি অর্জন সম্ভব—জাতিসংঘের সব শান্তি কার্যক্রমে এই নীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া। নিরাপত্তা পরিষদের উচিত হবে সমস্যা সংকটে পরিণত হওয়ার আগেই তাতে হস্তক্ষেপ করা ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়ত, সব শান্তি মিশন এক রকম নয়, এটি মাথায় রেখে প্রয়োজনের ভিত্তিতে শান্তি মিশনের ম্যান্ডেট নির্ধারণ করা। তৃতীয়ত, অধিকতর বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা। চতুর্থত, প্রতিটি শান্তি মিশন স্থানীয় জনগণের চাহিদা মাথায় রেখে গঠন করা।
সম্প্রতি জাতিসংঘের নিজস্ব এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংঘাতময় দেশগুলোতে মোতায়েন অনেক শান্তিরক্ষী খাবার, নগদ টাকা, অলংকার, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন জিনিসের বিনিময়ে দারিদ্র্যপীড়িত নারী ও মেয়েশিশুদের সঙ্গে নিয়মিত যৌনাচার করছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের গঠন করা প্যানেলটির প্রতিবেদনে সব শান্তিরক্ষা মিশনকে অধিকতর লিঙ্গ-সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মিশনের সদস্যরা যাতে যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনায় লিপ্ত না হয়, সে উদ্দেশ্যে একাধিক পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এমন কার্যকলাপে অভিযুক্ত সেনাদের স্থানীয় আদালতে সোপর্দ করার বিরোধিতাও করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত সেনাদের স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক আইন থেকে ‘অব্যাহতি’ দিয়ে, তাদের দেশের জাতীয় আইনে বিচারের নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মে পরিবর্তন আনলে শান্তিরক্ষা মিশন বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়বে বলে মনে করে প্যানেল।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সুচারুভাবে সমন্বয় করার স্বার্থে জাতিসংঘে একটি ‘অতিরিক্ত উপমহাসচিব’ পদ সৃষ্টিরও প্রস্তাব করেছে এই প্যানেল। বর্তমানে একজন উপমহাসচিব রয়েছেন, তিনি প্রশাসনিক বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও উন্নয়নসংক্রান্ত কাজগুলোতে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে ১৫ সদস্যের ওই আন্তর্জাতিক প্যানেল। এ সময় প্যানেলের সভাপতি তিমোর-লেসতের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হোসে রামোস-হোর্তা এবং বর্তমান সহসভাপতি বাংলাদেশের আমীরা হক উপস্থিত ছিলেন।
মহাসচিব বান কি মুন চলতি ও ভবিষ্যৎ শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট পূর্বাপর সমীক্ষার লক্ষ্যে গত বছরের অক্টোবরে এই প্যানেল গঠন করেন। রামোস-হোর্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কর্মশালা, রাজনৈতিক শলাপরামর্শ ও সরেজমিন তদন্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এই সমীক্ষার সূত্রে তাঁরা ঢাকা সফর করেছেন বলেও জানান তিনি।
১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি রক্ষার্থে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় শান্তিরক্ষা মিশন। গত ছয় দশকে মিশনের কার্যক্রম বহুলাংশে বদলে গেছে। নতুন বাস্তবতার আলোকে শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট কী হওয়া উচিত, তাতে আলোকপাত করে প্যানেলের প্রতিবেদনটিতে চারটি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রথমত, সামরিক উপায়ে নয়, শুধু রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়েই টেকসই শান্তি অর্জন সম্ভব—জাতিসংঘের সব শান্তি কার্যক্রমে এই নীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া। নিরাপত্তা পরিষদের উচিত হবে সমস্যা সংকটে পরিণত হওয়ার আগেই তাতে হস্তক্ষেপ করা ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়ত, সব শান্তি মিশন এক রকম নয়, এটি মাথায় রেখে প্রয়োজনের ভিত্তিতে শান্তি মিশনের ম্যান্ডেট নির্ধারণ করা। তৃতীয়ত, অধিকতর বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা। চতুর্থত, প্রতিটি শান্তি মিশন স্থানীয় জনগণের চাহিদা মাথায় রেখে গঠন করা।
No comments