বাবা-ছেলে হত্যা মামলার আসামি সোহেল গ্রেপ্তার
ছেলে বাবু ও বাবা জালাল হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি ভিপি সোহেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ছবি: আসিফ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ |
নারায়ণগঞ্জের
রূপগঞ্জে ছেলে নজরুল ইসলাম বাবু ও বাবা জালালউদ্দিনকে হত্যা মামলার আসামি
শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহরিয়ার পান্না ওরফে ভিপি সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে
র্যাব-১১ একটি দল রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা সোহেলকে গ্রেপ্তার করে।
রূপগঞ্জ থানা সূত্রে জানায়, ভিপি সোহেল ছেলে নজরুল ইসলাম বাবু হত্যা মামলার ও বাবা জালাল উদ্দিন হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি। সোহেল মুরাপাড়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্র সংসদে ছাত্রলীগ প্যানেলের স্বঘোষিত ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি)।
সোহেলকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর সিও লে. কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে ভিপি সোহেলকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের সিও জানান, ভিপি সোহেলের পরিকল্পনায় গত ১৪ মে বাবু হত্যা মামলার বাদী জালালকে পরিকল্পিতভাবে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করা হয়। এরপর জালালকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ভিপি সোহেলের মিরকুটিরছেও বাসায় ওই অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। জালালকে অপহরণের আগে ওই মাইক্রোবাসটি ভিপি সোহেলের বাসার সামনে রাখা ছিল। সোহেলের অনুসারী ও সন্ত্রাসী লেদা ফারুক, সবুজ, সেলিম, মোহাম্মদ আলী, তাওলাদ হোসেন¦তালু, রশিদসহ অন্যান্যরা জালাল হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।
সিও লে. কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান জানান, ভিপি সোহেল ও জালাল হত্যায় অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীরা বাবু হত্যা মামলারও আসামি। জালাল জীবিত থাকাকালে সোহেল দীর্ঘদিন ধরে বাবু হত্যা মামলা তুলে নিতে তাঁকে চাপ দেয়। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় জালালকে হত্যা করা হয়। এরপর সোহেল আত্মগোপন করেন।
র্যাব-১১ সিও আরও জানান, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও তিনি মূলত জমির দালাল ও শীর্ষ সন্ত্রাসী শওকত গ্রুপের সদস্য ছিলেন। শওকত মারা যাওয়ার সোহেল ওই গ্রুপরে নেতৃত্বে আসেন। রূপগঞ্জের মুরাপাড়ায় সন্ত্রাসী আলমাস ও শওকত গ্রুপরে দ্বন্দ্বে এ পর্যন্ত অনেকগুলো হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোহেলকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ভিপি সোহেল ও তার অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও অস্ত্র ব্যবসা করে আসছিল। ওই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় সোহেলের অনুসারীরা ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর বাবুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় বাবুর বাবা জালাল বাদী হয়ে সোহেল ও তার অনুসারীদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। কিন্তু গত ১৫ মে বাবু হত্যার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে জালালকে বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে হত্যা করে। এই ঘটনায় জালালের স্ত্রী বাদী হয়ে সোহেলসহ ২১ আসামির বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা করেন। পুলিশ সোহেলের সহযোগী ইকবালকে গ্রেপ্তার করে। জালাল হত্যার ঘটনায় ইকবাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাতে সোহেল ও তাঁর অনুসারীদের হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে।
রূপগঞ্জ থানা সূত্রে জানায়, ভিপি সোহেল ছেলে নজরুল ইসলাম বাবু হত্যা মামলার ও বাবা জালাল উদ্দিন হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি। সোহেল মুরাপাড়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্র সংসদে ছাত্রলীগ প্যানেলের স্বঘোষিত ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি)।
সোহেলকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর সিও লে. কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে ভিপি সোহেলকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের সিও জানান, ভিপি সোহেলের পরিকল্পনায় গত ১৪ মে বাবু হত্যা মামলার বাদী জালালকে পরিকল্পিতভাবে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করা হয়। এরপর জালালকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ভিপি সোহেলের মিরকুটিরছেও বাসায় ওই অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। জালালকে অপহরণের আগে ওই মাইক্রোবাসটি ভিপি সোহেলের বাসার সামনে রাখা ছিল। সোহেলের অনুসারী ও সন্ত্রাসী লেদা ফারুক, সবুজ, সেলিম, মোহাম্মদ আলী, তাওলাদ হোসেন¦তালু, রশিদসহ অন্যান্যরা জালাল হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।
সিও লে. কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান জানান, ভিপি সোহেল ও জালাল হত্যায় অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীরা বাবু হত্যা মামলারও আসামি। জালাল জীবিত থাকাকালে সোহেল দীর্ঘদিন ধরে বাবু হত্যা মামলা তুলে নিতে তাঁকে চাপ দেয়। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় জালালকে হত্যা করা হয়। এরপর সোহেল আত্মগোপন করেন।
র্যাব-১১ সিও আরও জানান, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও তিনি মূলত জমির দালাল ও শীর্ষ সন্ত্রাসী শওকত গ্রুপের সদস্য ছিলেন। শওকত মারা যাওয়ার সোহেল ওই গ্রুপরে নেতৃত্বে আসেন। রূপগঞ্জের মুরাপাড়ায় সন্ত্রাসী আলমাস ও শওকত গ্রুপরে দ্বন্দ্বে এ পর্যন্ত অনেকগুলো হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোহেলকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ভিপি সোহেল ও তার অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও অস্ত্র ব্যবসা করে আসছিল। ওই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় সোহেলের অনুসারীরা ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর বাবুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় বাবুর বাবা জালাল বাদী হয়ে সোহেল ও তার অনুসারীদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। কিন্তু গত ১৫ মে বাবু হত্যার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে জালালকে বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে হত্যা করে। এই ঘটনায় জালালের স্ত্রী বাদী হয়ে সোহেলসহ ২১ আসামির বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা করেন। পুলিশ সোহেলের সহযোগী ইকবালকে গ্রেপ্তার করে। জালাল হত্যার ঘটনায় ইকবাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাতে সোহেল ও তাঁর অনুসারীদের হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে।
No comments