বিদেশে পাঠানোর নামে ঢাকায় এনে গণধর্ষণ
বিদেশে পাঠানোর নাম করে এক নারীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাঁকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে সাভারের মোগড়াকান্দা এলাকা থেকে হাত, পা, মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই নারী (২৬) জানান, তাঁর বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়ায়। মাস তিনেক আগে এক দালালের মাধ্যমে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের কয়লাঘাট এলাকার মানব পাচারকারী চক্রের সানাউল্লাহর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। দুবাই পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে তাঁর কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন সানাউল্লাহ। কথাবার্তা মিটিয়ে তখন তিনি পাসপোর্টসহ আনুষঙ্গিক খরচের জন্য এক লাখ টাকা দেন। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁর ফ্লাইটের কথা বলে বিমানভাড়াসহ আরও দুই লাখ টাকা নিয়ে তাঁকে ঢাকা আসতে বলেন সানাউল্লাহ।
ওই নারীর অভিযোগ, সানাউল্লাহর কথামতো তিনি দুই লাখ টাকা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে কামরাঙ্গীরচর আসেন। এরপর সানাউল্লাহ সন্ধ্যায় তাঁকে সাভারের মোগড়াকান্দা এলাকার বাকের উদ্দিনের কাছে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে নেওয়া হয় ওই এলাকার একটি ইটভাটার পাশে নির্জন স্থানে। আগে থেকে ওই স্থানে আরও অন্তত তিনজন লোক অপেক্ষায় ছিল। এরপর তাঁর হাত-পা, মুখ ও চোখ বেঁধে একের পর এক সবাই তাঁকে ধর্ষণ করে।
সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, তিনি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই ইটভাটার পাশ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নারীকণ্ঠের গোঙানি শুনতে পান। কাছে গিয়ে দেখেন, হাত-পা, মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় একজন নারী পড়ে আছেন। তিনি বিষয়টি ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিনকে জানান। এসআই সালাউদ্দিন ঘটনাস্থলে না গিয়ে ঘটনাটি সাভার মডেল থানাকে জানান। পরে থানার এসআই নুর মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে রাত সোয়া দুইটার দিকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেফালিকা দাস জানান, ওই নারীকে যখন ভর্তি করা হয়েছিল, তখন তিনি অচেতন ছিলেন। চিকিৎসা দেওয়ার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
শেফালিকা দাস বলেন, যেহেতু মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন, এ কারণে জ্ঞান ফেরার পর বুধবার সকালেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত তাঁকে সেখানে স্থানান্তরের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
বিষয়টি প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ঢাকার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানকে জানানো হলে তাঁর নির্দেশে গতকাল বেলা তিনটার দিকে সাভার মডেল থানা-পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
ভুক্তভোগী ওই নারী (২৬) জানান, তাঁর বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়ায়। মাস তিনেক আগে এক দালালের মাধ্যমে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের কয়লাঘাট এলাকার মানব পাচারকারী চক্রের সানাউল্লাহর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। দুবাই পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে তাঁর কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন সানাউল্লাহ। কথাবার্তা মিটিয়ে তখন তিনি পাসপোর্টসহ আনুষঙ্গিক খরচের জন্য এক লাখ টাকা দেন। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁর ফ্লাইটের কথা বলে বিমানভাড়াসহ আরও দুই লাখ টাকা নিয়ে তাঁকে ঢাকা আসতে বলেন সানাউল্লাহ।
ওই নারীর অভিযোগ, সানাউল্লাহর কথামতো তিনি দুই লাখ টাকা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে কামরাঙ্গীরচর আসেন। এরপর সানাউল্লাহ সন্ধ্যায় তাঁকে সাভারের মোগড়াকান্দা এলাকার বাকের উদ্দিনের কাছে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে নেওয়া হয় ওই এলাকার একটি ইটভাটার পাশে নির্জন স্থানে। আগে থেকে ওই স্থানে আরও অন্তত তিনজন লোক অপেক্ষায় ছিল। এরপর তাঁর হাত-পা, মুখ ও চোখ বেঁধে একের পর এক সবাই তাঁকে ধর্ষণ করে।
সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, তিনি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই ইটভাটার পাশ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নারীকণ্ঠের গোঙানি শুনতে পান। কাছে গিয়ে দেখেন, হাত-পা, মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় একজন নারী পড়ে আছেন। তিনি বিষয়টি ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিনকে জানান। এসআই সালাউদ্দিন ঘটনাস্থলে না গিয়ে ঘটনাটি সাভার মডেল থানাকে জানান। পরে থানার এসআই নুর মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে রাত সোয়া দুইটার দিকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেফালিকা দাস জানান, ওই নারীকে যখন ভর্তি করা হয়েছিল, তখন তিনি অচেতন ছিলেন। চিকিৎসা দেওয়ার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
শেফালিকা দাস বলেন, যেহেতু মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন, এ কারণে জ্ঞান ফেরার পর বুধবার সকালেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত তাঁকে সেখানে স্থানান্তরের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
বিষয়টি প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ঢাকার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানকে জানানো হলে তাঁর নির্দেশে গতকাল বেলা তিনটার দিকে সাভার মডেল থানা-পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
No comments