দখলে–দূষণে মৃতপ্রায় বরিশালের নবগ্রাম খাল
দখলে-দূষণে মৃতপ্রায় বরিশাল নগরের নবগ্রাম খাল। ময়লা-আবর্জনায় অনেক স্থানে খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই দায়। ছবিটি সম্প্রতি রুইয়া খান সড়ক এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো |
দখলে-দূষণে
মৃতপ্রায় বরিশাল নগরের নবগ্রাম খাল। ময়লা-আবর্জনায় অনেক স্থানে খালের
অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই দায়। দখলমুক্ত ও পরিচ্ছন্নতায় সিটি করপোরেশনের
কার্যত কোনো ভূমিকা নেই।
তবে সিটি করপোরেশনের দাবি, দখলদারদের উচ্ছেদ, খাল খনন ও সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প দেওয়া আছে। এটি অনুমোদন হলেই খাল সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের চৌমাথা এলাকা থেকে খালের দুই পাশের বাসিন্দারা পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। বেশির ভাগই বসতঘর। রুইয়া ও সোনা মিয়ার পুল এলাকায় সেতু নির্মাণের নামে সরু কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে পানির প্রবাহ নেই বললেই চলে। ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি স্থানে দেখা গেছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। তাতে ঢেকে আছে পুরো খাল। খান সড়ক ও পিয়ন বাড়ির সামনে দুই পাড়ে পাইলিং করে নির্মাণ করা হয়েছে বসতঘর ও দোকানপাট।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বছরের পর বছর এভাবে চলে এলেও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ খাল পরিচ্ছন্ন বা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ময়লা-আবর্জনা অপসারণে দেখা মেলে না পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। এর ফলে একদিকে খালটি মরে যাচ্ছে, অন্যদিকে হচ্ছে পরিবেশ দূষিত।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল শাখার সভাপতি আক্কাস হোসেন জানান, নগরের বটতলা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ঝালকাঠির কালিজিরা নদী পর্যন্ত নবগ্রাম খালের প্রবাহ ছিল। ঝালকাঠির বিনয়কাঠি থেকে একসময় মানুষ নৌকায় করে কাঠ, চাল, সবজি নিয়ে বটতলায় আসত। কিন্তু আস্তে আস্তে খালটির বড় অংশ ভরাট হয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনের ভেতরে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য দোকানপাট ও রাস্তা।
নবগ্রাম খালের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. কামাল সিকদার বলেন, ‘১৫ বছরেও নবগ্রাম খাল পরিষ্কার করতে দেখিনি। ময়লা-আবর্জনায় এটা এখন মশা-মাছির বাসস্থান হয়েছে।’
খান সড়কের বাসিন্দা মো. কবির আহম্মেদ বলেন, ‘এটা খাল না ডাস্টবিন, বোঝার উপায় নেই। ময়লার গন্ধে এলাকায় থাকা যায় না।’ একই এলাকার মো. মিরাজ হোসেন বললেন, ‘যেটুকু খাল অবশিষ্ট আছে, তা সংস্কার ও সংরক্ষণ করলেও পানিপ্রবাহ ঠিক থাকত।’
জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, নবগ্রাম খালসহ নগরের সব খালের দুই পাড় থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ, খাল খনন ও সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প দেওয়া আছে। ওই প্রকল্প অনুমোদন হলেই খাল সংস্কার ও সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া নবগ্রাম খাল পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পরিচ্ছন্নতা বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, তাঁর সময়ে কোনো খাল ভরাট করা হয়নি।
তবে সিটি করপোরেশনের দাবি, দখলদারদের উচ্ছেদ, খাল খনন ও সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প দেওয়া আছে। এটি অনুমোদন হলেই খাল সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের চৌমাথা এলাকা থেকে খালের দুই পাশের বাসিন্দারা পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। বেশির ভাগই বসতঘর। রুইয়া ও সোনা মিয়ার পুল এলাকায় সেতু নির্মাণের নামে সরু কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে পানির প্রবাহ নেই বললেই চলে। ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি স্থানে দেখা গেছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। তাতে ঢেকে আছে পুরো খাল। খান সড়ক ও পিয়ন বাড়ির সামনে দুই পাড়ে পাইলিং করে নির্মাণ করা হয়েছে বসতঘর ও দোকানপাট।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বছরের পর বছর এভাবে চলে এলেও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ খাল পরিচ্ছন্ন বা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ময়লা-আবর্জনা অপসারণে দেখা মেলে না পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। এর ফলে একদিকে খালটি মরে যাচ্ছে, অন্যদিকে হচ্ছে পরিবেশ দূষিত।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল শাখার সভাপতি আক্কাস হোসেন জানান, নগরের বটতলা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ঝালকাঠির কালিজিরা নদী পর্যন্ত নবগ্রাম খালের প্রবাহ ছিল। ঝালকাঠির বিনয়কাঠি থেকে একসময় মানুষ নৌকায় করে কাঠ, চাল, সবজি নিয়ে বটতলায় আসত। কিন্তু আস্তে আস্তে খালটির বড় অংশ ভরাট হয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনের ভেতরে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য দোকানপাট ও রাস্তা।
নবগ্রাম খালের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. কামাল সিকদার বলেন, ‘১৫ বছরেও নবগ্রাম খাল পরিষ্কার করতে দেখিনি। ময়লা-আবর্জনায় এটা এখন মশা-মাছির বাসস্থান হয়েছে।’
খান সড়কের বাসিন্দা মো. কবির আহম্মেদ বলেন, ‘এটা খাল না ডাস্টবিন, বোঝার উপায় নেই। ময়লার গন্ধে এলাকায় থাকা যায় না।’ একই এলাকার মো. মিরাজ হোসেন বললেন, ‘যেটুকু খাল অবশিষ্ট আছে, তা সংস্কার ও সংরক্ষণ করলেও পানিপ্রবাহ ঠিক থাকত।’
জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, নবগ্রাম খালসহ নগরের সব খালের দুই পাড় থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ, খাল খনন ও সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প দেওয়া আছে। ওই প্রকল্প অনুমোদন হলেই খাল সংস্কার ও সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া নবগ্রাম খাল পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পরিচ্ছন্নতা বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, তাঁর সময়ে কোনো খাল ভরাট করা হয়নি।
No comments