বিজিবি সদস্য অপহরণ- মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব, রাজ্জাককে ফেরত দাবি
কক্সবাজারের নাফ নদীতে বিজিবির সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণ ও নায়েক আবদুর রাজ্জাককে অপহরণের ঘটনায় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিউ মিন্ট থানকে গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) হাতে আটক রাজ্জাককে অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানান, সীমান্তে গুলিবর্ষণের ঘটনা নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে সরকারের এ অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।
চলতি মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হলো। এর আগে সমুদ্রপথে মানব পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া লোকজনকে বাংলাদেশের নাগরিক বলে মিয়ানমার অপপ্রচার চালালে দেশটির এ ভূমিকার প্রতিবাদে ৫ জুন মিউ মিন্ট থানকে তলব করা হয়েছিল।
আমাদের টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিজিপির মধ্যে গতকাল যে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব মো. মিজানুর রহমানের দপ্তরে মিউ মিন্ট থানকে তলব করা হয়। এ সময় গত বুধবারের গুলিবর্ষণের ঘটনার ব্যাখ্যা দেন মিউ মিন্ট থান। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত জানান, বিজিপির সদস্যরা বিজিবির সদস্যদের ডাকাত ভেবে গুলি ছুড়েছিলেন। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওই গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি অবিলম্বে নায়েক রাজ্জাককে ফিরিয়ে দিতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিবের দপ্তরে বসেই মিউ মিন্ট থান মিয়ানমারে ফোন করেন। তিনি মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের বিজিবির সদস্যকে দ্রুত ফেরত দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেন।
বুধবার ভোরে বিজিবির ছয় সদস্যের একটি দল নায়েক আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে নাফ নদীতে টহল দিচ্ছিল। তাঁরা বাংলাদেশের জলসীমায় মাদক চোরাচালান সন্দেহে দুটি নৌকায় তল্লাশি করছিলেন। এ সময় মিয়ানমারের রইগ্যাদং ক্যাম্পের বিজিপি সদস্যরা একটি ট্রলারে করে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে বিজিপির সদস্যদের বহনকারী ট্রলারটি বিজিবির টহল নৌযানের কাছে এসে থামে। বিজিপির ট্রলারটিকে বাংলাদেশের জলসীমা ছেড়ে যেতে বলা হলে তাঁরা নায়েক রাজ্জাককে জোর করে ট্রলারে তুলে নেন। বিজিবির অন্য সদস্যরা এতে বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে সিপাহি বিপ্লব কুমার গুলিবিদ্ধ হন। পরে বিজিপির ট্রলারটি মিয়ানমারের দিকে চলে যায়।
গত বছরের ২৮ মে বান্দরবানের পাইনছড়ি সীমান্ত এলাকায় বিজিপির সদস্যরা বিনা উসকানিতে বিজিবির সদস্যদের ওপর গুলি চালান। ওই সময় মিয়ানমারের সদস্যরা বিজিবির সদস্য নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানকে অপহরণ করে হত্যা করেন। দুই দিন পর বিজিবি মিজানুর রহমানের লাশ ফেরত নিতে গেলে উল্টো বিজিপি ওই প্রতিনিধিদলের ওপর গুলি চালায়। পরে ৩১ মে মিজানুরের লাশ ফেরত দেয় বিজিপি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানান, সীমান্তে গুলিবর্ষণের ঘটনা নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে সরকারের এ অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।
চলতি মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হলো। এর আগে সমুদ্রপথে মানব পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া লোকজনকে বাংলাদেশের নাগরিক বলে মিয়ানমার অপপ্রচার চালালে দেশটির এ ভূমিকার প্রতিবাদে ৫ জুন মিউ মিন্ট থানকে তলব করা হয়েছিল।
আমাদের টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিজিপির মধ্যে গতকাল যে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব মো. মিজানুর রহমানের দপ্তরে মিউ মিন্ট থানকে তলব করা হয়। এ সময় গত বুধবারের গুলিবর্ষণের ঘটনার ব্যাখ্যা দেন মিউ মিন্ট থান। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত জানান, বিজিপির সদস্যরা বিজিবির সদস্যদের ডাকাত ভেবে গুলি ছুড়েছিলেন। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওই গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি অবিলম্বে নায়েক রাজ্জাককে ফিরিয়ে দিতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিবের দপ্তরে বসেই মিউ মিন্ট থান মিয়ানমারে ফোন করেন। তিনি মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের বিজিবির সদস্যকে দ্রুত ফেরত দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেন।
বুধবার ভোরে বিজিবির ছয় সদস্যের একটি দল নায়েক আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে নাফ নদীতে টহল দিচ্ছিল। তাঁরা বাংলাদেশের জলসীমায় মাদক চোরাচালান সন্দেহে দুটি নৌকায় তল্লাশি করছিলেন। এ সময় মিয়ানমারের রইগ্যাদং ক্যাম্পের বিজিপি সদস্যরা একটি ট্রলারে করে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে বিজিপির সদস্যদের বহনকারী ট্রলারটি বিজিবির টহল নৌযানের কাছে এসে থামে। বিজিপির ট্রলারটিকে বাংলাদেশের জলসীমা ছেড়ে যেতে বলা হলে তাঁরা নায়েক রাজ্জাককে জোর করে ট্রলারে তুলে নেন। বিজিবির অন্য সদস্যরা এতে বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে সিপাহি বিপ্লব কুমার গুলিবিদ্ধ হন। পরে বিজিপির ট্রলারটি মিয়ানমারের দিকে চলে যায়।
গত বছরের ২৮ মে বান্দরবানের পাইনছড়ি সীমান্ত এলাকায় বিজিপির সদস্যরা বিনা উসকানিতে বিজিবির সদস্যদের ওপর গুলি চালান। ওই সময় মিয়ানমারের সদস্যরা বিজিবির সদস্য নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানকে অপহরণ করে হত্যা করেন। দুই দিন পর বিজিবি মিজানুর রহমানের লাশ ফেরত নিতে গেলে উল্টো বিজিপি ওই প্রতিনিধিদলের ওপর গুলি চালায়। পরে ৩১ মে মিজানুরের লাশ ফেরত দেয় বিজিপি।
No comments