ভারতীয় মিডিয়া : ভারতের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় ‘বদলা’ বাংলাদেশের
মিরপুরে বৃহস্পতিবারের জয়কে "ভারতের
বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় 'বদলা' বাংলাদেশের' হিসেবে অভিহিত করেছে ভারতীয় মিডিয়া।
কলকাতাভিত্তিক একটি অনলাইন পোর্টাল ঠিক এই শিরোনামই করেছে। এখানে
প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হলো।
একেই বলে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন৷মুস্তাফিজুর রহমানের ক্ষেত্রে অন্তত কথাটা ১০০ শতাংশ কাটে৷ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে নেমেই নিজের ক্যারিসমা দিয়ে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মন জয় করে নিতে সফল বাংলাদেশি বোলার৷ভারতের পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী হয়ে উঠলেন ১৯ বর্ষীয় রহমান৷ দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়ে এদিন ম্যাচের সেরাও হলেন এই পেসার৷ বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ভারতকে ৭৯ রানে হারিয়ে ওয়ানডে অভিযান শুরু করল বাংলাদেশ৷ টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে এ যেন এক অচেনা বাংলাদেশ৷চলতি বছর বিশ্বকাপে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল তারা৷ ধোনিবাহিনীর কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল মোরতাজাদের৷ সেই হারের বদলা যেন এদিন সুদে-আসলে উসুল করে নিলেন তাঁরা৷ভারতের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়৷ঘরের মাটিতে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করেছিলেন বেঙ্গল টাইগাররা৷ওয়ানডে-তে সেই ছন্দই বজায় রাখতে সফল বাংলাদেশ৷
১৮ জুন দিনটা বাংলাদেশের কাছে ‘লাকি ডে’৷ ২০০৫ সালের এই দিনেই কার্ডিফে বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে তাক লাগিয়েছিলেন বেঙ্গল টাইগাররা৷ এবারের ১৮ জুন হল ভারত বধ৷ সেই সঙ্গে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বর জায়গা নিশ্চিত করল তারা৷।
টস জিতে শুরু থেকেই ভালো খেলছিলেন দুই বাংলাদেশি ওপেনার সৌম্য সরকার (৫৪) ও তামিম ইকবাল (৬০)৷মাত্র ১৩.১ বলে ১০০ রান ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ৷ দু’জনে ১০২ রানের ইনিংস খেলে দলকে শক্ত মাটি দিয়ে যান৷ ব্যাট হাতে সফল শাকিব-আল-হাসান (৫২), সাব্বির রহমানও (৪১)৷১৫.৪ বলে এক উইকেটে ১১৯ রান থাকাকালীন বৃষ্টি নামে৷ বেশ কিছুক্ষণের জন্য খেলা বন্ধও হয়ে যায়৷ তবে তার প্রভাব ওভারের ওপর পড়েনি৷৪৯.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান তোলে বাংলাদেশ৷রবিচন্দন অশ্বিন ৩টি এবং ভুবনেশ্বর কুমার ও উমেশ যাদব ২টি করে উইকেট তুলে নেন৷
পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুটা ভালো করলেও ছন্দপতন ঘটে ৯৫ রানে৷পরপর দু’ওভারে মুশফিকুর রহিম দুটো ক্যাচ ফেলে চিন্তা বাংলাদেশের বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে পরপর দুই ওভারে শিখর ধাওয়ান (৩০) আর বিরাট কোহলিকে (১) ফিরিয়ে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন৷ এক বছর আগে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকে ৫ উইকেট পেয়েও সেবার জয়টা হাতছাড়া হয়েছিল৷রোহিত শর্মার ৬৩ রান এদিন কাজে এল না৷ মুস্তাফিজুর জোড়া আঘাত হানলে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ১১৫। ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত তখন ধুঁকছে। রায়না-জাদেজার ৬০ রানের পার্টনারশিপে ভর করে ফের আশার আলো দেখতে শুরু করে ভারতীয় সমর্থকরা৷তবে রায়না (৪০) ও জাদেজা (৩২) প্যাভিলিয়নে ভারতের হার ফিরতেই এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়৷তাসকিন আহমেদ ও শাকিব দু’টি করে উইকেট নেন৷ বৃহস্পতিবারের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ বার্তা দিয়ে গেল, তাদের হারাতে গেলে ভারতকে ব্যাটে ও বলে আরও খাটতে হবে৷ লজ্জাজনক হার মাথায় নিয়েই হোটেলে ফিরলেন ধোনিরা৷
একেই বলে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন৷মুস্তাফিজুর রহমানের ক্ষেত্রে অন্তত কথাটা ১০০ শতাংশ কাটে৷ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে নেমেই নিজের ক্যারিসমা দিয়ে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মন জয় করে নিতে সফল বাংলাদেশি বোলার৷ভারতের পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী হয়ে উঠলেন ১৯ বর্ষীয় রহমান৷ দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়ে এদিন ম্যাচের সেরাও হলেন এই পেসার৷ বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ভারতকে ৭৯ রানে হারিয়ে ওয়ানডে অভিযান শুরু করল বাংলাদেশ৷ টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে এ যেন এক অচেনা বাংলাদেশ৷চলতি বছর বিশ্বকাপে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল তারা৷ ধোনিবাহিনীর কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল মোরতাজাদের৷ সেই হারের বদলা যেন এদিন সুদে-আসলে উসুল করে নিলেন তাঁরা৷ভারতের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়৷ঘরের মাটিতে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করেছিলেন বেঙ্গল টাইগাররা৷ওয়ানডে-তে সেই ছন্দই বজায় রাখতে সফল বাংলাদেশ৷
১৮ জুন দিনটা বাংলাদেশের কাছে ‘লাকি ডে’৷ ২০০৫ সালের এই দিনেই কার্ডিফে বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে তাক লাগিয়েছিলেন বেঙ্গল টাইগাররা৷ এবারের ১৮ জুন হল ভারত বধ৷ সেই সঙ্গে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বর জায়গা নিশ্চিত করল তারা৷।
টস জিতে শুরু থেকেই ভালো খেলছিলেন দুই বাংলাদেশি ওপেনার সৌম্য সরকার (৫৪) ও তামিম ইকবাল (৬০)৷মাত্র ১৩.১ বলে ১০০ রান ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ৷ দু’জনে ১০২ রানের ইনিংস খেলে দলকে শক্ত মাটি দিয়ে যান৷ ব্যাট হাতে সফল শাকিব-আল-হাসান (৫২), সাব্বির রহমানও (৪১)৷১৫.৪ বলে এক উইকেটে ১১৯ রান থাকাকালীন বৃষ্টি নামে৷ বেশ কিছুক্ষণের জন্য খেলা বন্ধও হয়ে যায়৷ তবে তার প্রভাব ওভারের ওপর পড়েনি৷৪৯.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান তোলে বাংলাদেশ৷রবিচন্দন অশ্বিন ৩টি এবং ভুবনেশ্বর কুমার ও উমেশ যাদব ২টি করে উইকেট তুলে নেন৷
পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুটা ভালো করলেও ছন্দপতন ঘটে ৯৫ রানে৷পরপর দু’ওভারে মুশফিকুর রহিম দুটো ক্যাচ ফেলে চিন্তা বাংলাদেশের বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে পরপর দুই ওভারে শিখর ধাওয়ান (৩০) আর বিরাট কোহলিকে (১) ফিরিয়ে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন৷ এক বছর আগে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকে ৫ উইকেট পেয়েও সেবার জয়টা হাতছাড়া হয়েছিল৷রোহিত শর্মার ৬৩ রান এদিন কাজে এল না৷ মুস্তাফিজুর জোড়া আঘাত হানলে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ১১৫। ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত তখন ধুঁকছে। রায়না-জাদেজার ৬০ রানের পার্টনারশিপে ভর করে ফের আশার আলো দেখতে শুরু করে ভারতীয় সমর্থকরা৷তবে রায়না (৪০) ও জাদেজা (৩২) প্যাভিলিয়নে ভারতের হার ফিরতেই এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়৷তাসকিন আহমেদ ও শাকিব দু’টি করে উইকেট নেন৷ বৃহস্পতিবারের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ বার্তা দিয়ে গেল, তাদের হারাতে গেলে ভারতকে ব্যাটে ও বলে আরও খাটতে হবে৷ লজ্জাজনক হার মাথায় নিয়েই হোটেলে ফিরলেন ধোনিরা৷
No comments