পদচারী–সেতুগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে না by সামছুর রহমান
রাজধানীর পান্থপথে এই পদচারী–সেতু সারা দিন প্রায় এমনই ফাঁকা পড়ে থাকে। ছবিটি গতকাল দুপুরে তোলা l প্রথম আলো |
স্কুলফেরত
দুই সন্তান রোহান ও রিহানকে নিয়ে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কলেজগেট
বাসস্ট্যান্ডের এক পারে দাঁড়িয়ে ছিলেন রেহানা আকতার। সড়কে যানবাহনের চাপ
একটু কমতেই ইতিউতি দেখে অপর পারে যেতে দৌড় দিলেন। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে
ব্যস্ত সড়ক পার হলেও তাঁদের ঠিক মাথার ওপরেই ছিল পদচারী-সেতু (ওভারব্রিজ)।
পদচারী-সেতু ব্যবহার না করে এভাবে রাস্তা পার হলেন কেন জানতে চাইলে রেহানা আকতার কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থেকে বলেন, ‘দুই বাচ্চাকে নিয়ে ওভারব্রিজে উঠতে-নামতে কষ্ট। আর ওভারব্রিজে উঠলে সময়ও বেশি লাগে।’
রেহানা আকতারের মতো অনেকেই পদচারী-সেতু ব্যবহার না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার এপার-ওপার যাচ্ছেন। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ত সড়কে তৈরি করা পদচারী-সেতুগুলো অব্যবহৃত পড়ে থাকছে। পথচারীরা যানবাহনের সামনে দিয়ে বিপজ্জনকভাবে রাস্তা পার হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
পথচারীদের উদাসীনতা থাকলেও পদচারী-সেতুগুলো কতটা পথচারীবান্ধব এবং চলাচল উপযোগী, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। পদচারী-সেতুর আশপাশের ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকান, সেতুতে ভবঘুরেদের আস্তানা, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় নিরাপত্তার অভাবের মতো কারণে পথচারীরা এগুলো ব্যবহারে উৎসাহী হচ্ছেন না।
পদচারী-সেতুগুলো দেখভালের দায়িত্ব ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল (টিইসি) বিভাগের। টিইসি বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমরা তো চাই জনগণ এগুলোতে উঠুক। তারা না উঠলে কী করা যাবে।’ পদচারী-সেতুগুলোর বিভিন্ন সমস্যার কথা জানানো হলে তিনি বলেন, ‘এসব আমার জানা ছিল না।’ তিনি পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
গত বুধবার রাতে ও গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর, ধানমন্ডি ও পান্থপথ এলাকার আটটি পদচারী-সেতু ঘুরে দেখা যায়, পথচারীরা এসব পদচারী-সেতু ব্যবহার না করে নিচ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। কয়েকটি সেতুর সিঁড়ির সামনে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী চা-পানের দোকান, সিঁড়ির নিচে লোকজন মূত্রত্যাগ করায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সেতুতে ভবঘুরেদের শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনের ব্যস্ত সড়কটি পার হতে গিয়ে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে কলেজের মূল ফটক থেকে কয়েক মিটার দূরে নির্মাণ করা হয় পদচারী-সেতু। কিন্তু শিক্ষার্থী-সাধারণ পথচারী কেউই পদচারী-সেতুটি ব্যবহার করেন না।
গত বুধবার রাতে গিয়ে দেখা যায়, পদচারী-সেতুর আশপাশের এলাকায় ঘুটঘুটে অন্ধকার। পদচারী-সেতুর সিঁড়ির সামনের অংশ মানুষের মূত্রে ভরা। সেতুর সিঁড়িতে বসে সিগারেট ফুঁকছিলেন যুবক বয়সী কয়েকজন।
নিচে রাস্তা পার হওয়ার জন্য অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলেন দুজন নারী পোশাকশ্রমিক। পদচারী-সেতু ব্যবহার করছেন না কেন—এমন প্রশ্ন শুনে যেন কিছুটা অবাক হলেন। তাঁদের একজন আকলিমা বললেন, ‘কেমন অন্ধকার দেখছেন। কয়েক দিন আগে উঠছিলাম। তিন-চারটা পোলাপাইন মিইল্যা যা-তা কইছে। তাই এহন আর সাহস পাই না।’ পান্থপথে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের ৫০ গজ দূরে নির্মাণ করা হয়েছে পদচারী-সেতু। কিন্তু গতকাল দুপুরে প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে মাত্র ১০ জন পথচারীকে পদচারী-সেতু ব্যবহার করতে দেখা যায়। অথচ এ সময়ের মধ্যে শ খানেক পথচারী বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বিপজ্জনকভাবে যানবাহনের ফাঁকফোকর দিয়ে রাস্তা পার হন।
পদচারী-সেতু ব্যবহার না করে এভাবে রাস্তা পার হলেন কেন জানতে চাইলে রেহানা আকতার কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থেকে বলেন, ‘দুই বাচ্চাকে নিয়ে ওভারব্রিজে উঠতে-নামতে কষ্ট। আর ওভারব্রিজে উঠলে সময়ও বেশি লাগে।’
রেহানা আকতারের মতো অনেকেই পদচারী-সেতু ব্যবহার না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার এপার-ওপার যাচ্ছেন। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ত সড়কে তৈরি করা পদচারী-সেতুগুলো অব্যবহৃত পড়ে থাকছে। পথচারীরা যানবাহনের সামনে দিয়ে বিপজ্জনকভাবে রাস্তা পার হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
পথচারীদের উদাসীনতা থাকলেও পদচারী-সেতুগুলো কতটা পথচারীবান্ধব এবং চলাচল উপযোগী, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। পদচারী-সেতুর আশপাশের ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকান, সেতুতে ভবঘুরেদের আস্তানা, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় নিরাপত্তার অভাবের মতো কারণে পথচারীরা এগুলো ব্যবহারে উৎসাহী হচ্ছেন না।
পদচারী-সেতুগুলো দেখভালের দায়িত্ব ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল (টিইসি) বিভাগের। টিইসি বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমরা তো চাই জনগণ এগুলোতে উঠুক। তারা না উঠলে কী করা যাবে।’ পদচারী-সেতুগুলোর বিভিন্ন সমস্যার কথা জানানো হলে তিনি বলেন, ‘এসব আমার জানা ছিল না।’ তিনি পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
গত বুধবার রাতে ও গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর, ধানমন্ডি ও পান্থপথ এলাকার আটটি পদচারী-সেতু ঘুরে দেখা যায়, পথচারীরা এসব পদচারী-সেতু ব্যবহার না করে নিচ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। কয়েকটি সেতুর সিঁড়ির সামনে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী চা-পানের দোকান, সিঁড়ির নিচে লোকজন মূত্রত্যাগ করায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সেতুতে ভবঘুরেদের শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনের ব্যস্ত সড়কটি পার হতে গিয়ে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে কলেজের মূল ফটক থেকে কয়েক মিটার দূরে নির্মাণ করা হয় পদচারী-সেতু। কিন্তু শিক্ষার্থী-সাধারণ পথচারী কেউই পদচারী-সেতুটি ব্যবহার করেন না।
গত বুধবার রাতে গিয়ে দেখা যায়, পদচারী-সেতুর আশপাশের এলাকায় ঘুটঘুটে অন্ধকার। পদচারী-সেতুর সিঁড়ির সামনের অংশ মানুষের মূত্রে ভরা। সেতুর সিঁড়িতে বসে সিগারেট ফুঁকছিলেন যুবক বয়সী কয়েকজন।
নিচে রাস্তা পার হওয়ার জন্য অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলেন দুজন নারী পোশাকশ্রমিক। পদচারী-সেতু ব্যবহার করছেন না কেন—এমন প্রশ্ন শুনে যেন কিছুটা অবাক হলেন। তাঁদের একজন আকলিমা বললেন, ‘কেমন অন্ধকার দেখছেন। কয়েক দিন আগে উঠছিলাম। তিন-চারটা পোলাপাইন মিইল্যা যা-তা কইছে। তাই এহন আর সাহস পাই না।’ পান্থপথে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের ৫০ গজ দূরে নির্মাণ করা হয়েছে পদচারী-সেতু। কিন্তু গতকাল দুপুরে প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে মাত্র ১০ জন পথচারীকে পদচারী-সেতু ব্যবহার করতে দেখা যায়। অথচ এ সময়ের মধ্যে শ খানেক পথচারী বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বিপজ্জনকভাবে যানবাহনের ফাঁকফোকর দিয়ে রাস্তা পার হন।
No comments