টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটনশিল্প by এনামুল হক
পর্যটক আকর্ষণ করার মতো সবকিছুই আছে টাঙ্গুয়ার হাওরে |
সুনামগঞ্জ
জেলার ধরমপাশা ও তাহিরপুর উপজেলায় মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত প্রায়
১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা
পানির জলাভূমি এবং দ্বিতীয় রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওর দিন দিন পর্যটকদের
কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। কিন্তু সেখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকা এবং
যোগাযোগ ও রাত্রি যাপনের ভালো ব্যবস্থার অভাবে পর্যটনশিল্প বিকশিত হচ্ছে
না।
‘নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল’ নামে পরিচিত ও ‘রামসার সাইট’ হিসেবে ঘোষিত এ হাওরে জীববৈচিত্র্যের মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন জাতের পাখি। স্থানীয় বাংলাদেশি জাতের পাখি ছাড়াও শীতকালে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত পরিযায়ী পাখিরও আবাস এই হাওর। এ হাওরে প্রায় ৫১ প্রজাতির পাখি বিচরণ করে। বিরল প্রজাতির প্যালাসেস ইগল, বড় আকারের গ্রে কিংস্টর্ক ও স্থানীয় জাতের মধ্যে শকুন, পানকৌড়ি, কালেম, বৈদর, ডাহুক, বালিহাঁস, গাঙচিল, বক, সারস, কাক, শঙ্খচিল, জলকুক্কুট ইত্যাদি পাখির নিয়মিত বিচরণ রয়েছে সেখানে।
২০১১ সালের পাখিশুমারিতে এই হাওরে প্রায় ৪৭ প্রজাতির জলচর পাখি বা ওয়াটারফাউলের মোট ২৮ হাজার ৮৭৬টি পাখি গণনা করা হয়। এই শুমারিতে অন্যান্য পাখির পাশাপাশি নজরে আসে কুট, মরিচা ভূতিহাঁস, পিয়ংহাঁস; সাধারণ ভূতিহাঁস, পান্তামুখী বা শোভেলার, লালচে মাথা ভূতিহাঁস, লাল শির, নীল শির, পাতিহাঁস, লেনজা, ডুবুরি, পানকৌড়ি ইত্যাদি পাখিও পাওয়া যায় এই হাওরে।
এই হাওরে সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ, ২৫০ প্রজাতির পাখি, ১২-এর বেশি প্রজাতির ব্যাঙ, ১৫০-এর বেশি প্রজাতির সরীসৃপ ও এক হাজারেরও বেশি প্রজাতির অমেরুদণ্ডী প্রাণীর আবাস রয়েছে। এ ছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওরে হিজল, করচ, বরুণ গাছের শোভা অপরূপ।
অবকাঠামোগত ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি আবাসনসংকট দূরীকরণে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প বিকাশে এ হাওর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
লেখক: সাংবাদিক, ধরমপাশা, সুনামগঞ্জ।
‘নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল’ নামে পরিচিত ও ‘রামসার সাইট’ হিসেবে ঘোষিত এ হাওরে জীববৈচিত্র্যের মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন জাতের পাখি। স্থানীয় বাংলাদেশি জাতের পাখি ছাড়াও শীতকালে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত পরিযায়ী পাখিরও আবাস এই হাওর। এ হাওরে প্রায় ৫১ প্রজাতির পাখি বিচরণ করে। বিরল প্রজাতির প্যালাসেস ইগল, বড় আকারের গ্রে কিংস্টর্ক ও স্থানীয় জাতের মধ্যে শকুন, পানকৌড়ি, কালেম, বৈদর, ডাহুক, বালিহাঁস, গাঙচিল, বক, সারস, কাক, শঙ্খচিল, জলকুক্কুট ইত্যাদি পাখির নিয়মিত বিচরণ রয়েছে সেখানে।
২০১১ সালের পাখিশুমারিতে এই হাওরে প্রায় ৪৭ প্রজাতির জলচর পাখি বা ওয়াটারফাউলের মোট ২৮ হাজার ৮৭৬টি পাখি গণনা করা হয়। এই শুমারিতে অন্যান্য পাখির পাশাপাশি নজরে আসে কুট, মরিচা ভূতিহাঁস, পিয়ংহাঁস; সাধারণ ভূতিহাঁস, পান্তামুখী বা শোভেলার, লালচে মাথা ভূতিহাঁস, লাল শির, নীল শির, পাতিহাঁস, লেনজা, ডুবুরি, পানকৌড়ি ইত্যাদি পাখিও পাওয়া যায় এই হাওরে।
এই হাওরে সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ, ২৫০ প্রজাতির পাখি, ১২-এর বেশি প্রজাতির ব্যাঙ, ১৫০-এর বেশি প্রজাতির সরীসৃপ ও এক হাজারেরও বেশি প্রজাতির অমেরুদণ্ডী প্রাণীর আবাস রয়েছে। এ ছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওরে হিজল, করচ, বরুণ গাছের শোভা অপরূপ।
অবকাঠামোগত ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি আবাসনসংকট দূরীকরণে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প বিকাশে এ হাওর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
লেখক: সাংবাদিক, ধরমপাশা, সুনামগঞ্জ।
No comments