‘ওনাকে আমরা ভয় পাচ্ছি না’ -ইনু
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার জন্য তাকেই দোষারোপ করেছেন
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, খালেদা নিজেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন।
তিনি যাদের সমর্থন করবেন ও তাকে যারা সমর্থন করবেন ভবিষ্যতে তারা
প্রত্যেকেই এক একটা পেট্রলবোমা। গতকাল বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব
কথা বলেছেন হাসানুল হক ইনু।
বিবিসি রিপোর্টে জানায়- হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি দেশজুড়ে যে সহিংসতা চালিয়েছে, তার পরিণামে, খালেদা জিয়া জনরোষের শিকার হচ্ছেন। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি খালেদা জিয়াকে বাইরে না বের হবারও পরামর্শ দেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে বিবিসি জানতে চায়- সরকার কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা খালেদা জিয়াকে নির্বাচনী প্রচার চালাতে দেবেন না?
এর উত্তরে তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে বেগম খালেদা জিয়ার বহর ও তার সঙ্গে কিছু জায়গায় কিছু সংঘর্ষ হয়েছে। তাকে প্রশাসনিক নিরাপত্তার বিধান করছি বিধায় খালেদা জিয়াকে সে সংঘর্ষ থেকে নিরাপদে উদ্ধার করে তার বাসভবনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যে কোন সংঘর্ষমূলক অবস্থা নির্বাচনের জন্য, নির্বাচনের পরিবেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। সে দিক থেকে, আমরা সরকারের তরফ থেকে যে কোনও সংঘর্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। প্রশ্ন হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়া তার সাম্প্রতিককালে রাজনৈতিক বিতর্কিত অবস্থা এবং সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে, মানুষ পোড়ানোর যে দুষ্কর্মটা ঘটে গিয়েছে, তো ওনার বোঝা উচিত, উনি নিজেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন।
এ সময় বিবিসি প্রশ্ন করে- আপনি বলছেন যে, খালেদা জিয়া নিজেই উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন। কিন্তু আমরা যেটা দেখছি, উনি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন, তখন সরকার দলের সমর্থকরা গিয়েই তার ওপর হামলা করছে।
জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকার দলের অথবা সরকার দলের বাইরের বিষয়টা নয়। বেগম খালেদা জিয়া একটা চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছিল। উনি তো সেক্ষেত্রে সাবধানে চলবেন একটু। উনি নিজেই একটা ব্যক্তি হিসেবে উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন।
বিবিসি জানতে চায়- অর্থাৎ আপনি কি বলতে চাইছেন যে, উনি নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন না? উনি ঘরের বাইরে যাবেন না?
হাসানুল হক ইনু বলেন- না। আমরা সেটা বলছি না। উনি সাবধানে বেরোবেন। কারণ, উনি যে দুষ্কর্ম করেছে, কখন কে তার ওপর রাগ করবে, এটা তো আমরা পাহারা দিয়ে রাখা খুব কঠিন কাজ।
বিবিসি আবার জানতে চায়- কিন্তু আজকে ঢাকার সব পত্রিকায় যে সমস্ত ছবি ছাপা হয়েছে, তাতে তো এটা স্পষ্ট যে, যারা হামলা চালিয়েছে, তারা সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনের নেতা। এবং পুলিশের উপস্থিতিতেই এ হামলা হয়েছে। তার মানে সরকার নিজেই এ হামলার পেছনে আছে, এমন কথা তো বলাই যায়।
হাসানুল হক ইনু জবাবে বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা হওয়ার পরেই তো ওনাকে উদ্ধার করে দেয়া হয়েছে। আর কথাটা হচ্ছে যে, সরকার সমর্থকরা যে ক্ষতিগ্রস্ত পার্টি না, কে বললো? তাদের তো আত্মীয়স্বজন পুড়েছে। সুতরাং কোন কর্মীকে আমি আটকাবো? উনি যেখানে এখনও অনুতপ্ত হননি, উনি আগুন-সন্ত্রাসের ব্যাপারে মাফ চাননি, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই উনি এ নির্বাচনে আসলেই উত্তেজনা তৈরি করছেন।
বিবিসির পাল্টা প্রশ্ন- আপনি যে সমস্ত কথাবার্তা বলেছেন, তাতে এটা বললে কি ভুল হবে, এসব হামলার পেছনে সরকারের সরাসরি ইন্ধন আছে?
জবাবে ইনু বলেন- না। এটা সম্পূর্ণ ভুল হবে। এই জন্য যে, ইন্ধন থাকলে তো খালেদা জিয়া ওখান থেকে আর যেতেই পারতেন না। প্রশাসন শক্ত ছিল বলেই, খালেদা জিয়া সেখান থেকে বেরিয়ে আবার তো ভোট প্রচার করেছে। সুতরাং, সরকারের যদি নীতি হতো যে, ওনাকে আমি ভোটে নামতে দিবো না, ফলে ওখানেই তো উনি আটকা পড়ে থাকতেন। এবং ওখান থেকে বের করে নিয়ে আমরা ঘরের ভেতর আটকে রাখতাম। আমরা চাই যে, উনি প্রচার করুক।
বিবিসির প্রশ্ন- তো এ হামলা যারা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কি কোনও ব্যবস্থা আপনারা নেবেন?
জবাবে ইনু বলেন- আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবো অবশ্যই। মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা পুলিশ-প্রশাসনকে বলেছি, মামলা অনুযায়ী গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালান দিতে।
বিবিসি আবার জানতে চায়- এ নির্বাচনে সব দলের প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। অনেকেই আশা করছেন, এ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে সাম্প্রতিক একটি রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, সেটার একটা নিরসন হবে। সে অবস্থায় বিএনপি নেত্রী বাইরে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। তাকে আপনারা এতো ভয় পাচ্ছেন কেন?
জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন- আমি মনে করছি, ওনাকে আমরা ভয় পাচ্ছি না। আমরা কোনও সন্ত্রাসীকে ভয় পাই না। এবং আগুন যুদ্ধের নেত্রীকেও আমরা ভয় পাই না। উনি যাদেরকে সমর্থন করবেন, এবং ওনাকে যারা সমর্থন করবেন, প্রত্যেকেই ভবিষ্যতের একটা পেট্রলবোমা।
বিবিসি রিপোর্টে জানায়- হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি দেশজুড়ে যে সহিংসতা চালিয়েছে, তার পরিণামে, খালেদা জিয়া জনরোষের শিকার হচ্ছেন। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি খালেদা জিয়াকে বাইরে না বের হবারও পরামর্শ দেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে বিবিসি জানতে চায়- সরকার কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা খালেদা জিয়াকে নির্বাচনী প্রচার চালাতে দেবেন না?
এর উত্তরে তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে বেগম খালেদা জিয়ার বহর ও তার সঙ্গে কিছু জায়গায় কিছু সংঘর্ষ হয়েছে। তাকে প্রশাসনিক নিরাপত্তার বিধান করছি বিধায় খালেদা জিয়াকে সে সংঘর্ষ থেকে নিরাপদে উদ্ধার করে তার বাসভবনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যে কোন সংঘর্ষমূলক অবস্থা নির্বাচনের জন্য, নির্বাচনের পরিবেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। সে দিক থেকে, আমরা সরকারের তরফ থেকে যে কোনও সংঘর্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। প্রশ্ন হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়া তার সাম্প্রতিককালে রাজনৈতিক বিতর্কিত অবস্থা এবং সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে, মানুষ পোড়ানোর যে দুষ্কর্মটা ঘটে গিয়েছে, তো ওনার বোঝা উচিত, উনি নিজেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন।
এ সময় বিবিসি প্রশ্ন করে- আপনি বলছেন যে, খালেদা জিয়া নিজেই উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন। কিন্তু আমরা যেটা দেখছি, উনি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন, তখন সরকার দলের সমর্থকরা গিয়েই তার ওপর হামলা করছে।
জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকার দলের অথবা সরকার দলের বাইরের বিষয়টা নয়। বেগম খালেদা জিয়া একটা চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছিল। উনি তো সেক্ষেত্রে সাবধানে চলবেন একটু। উনি নিজেই একটা ব্যক্তি হিসেবে উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন।
বিবিসি জানতে চায়- অর্থাৎ আপনি কি বলতে চাইছেন যে, উনি নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন না? উনি ঘরের বাইরে যাবেন না?
হাসানুল হক ইনু বলেন- না। আমরা সেটা বলছি না। উনি সাবধানে বেরোবেন। কারণ, উনি যে দুষ্কর্ম করেছে, কখন কে তার ওপর রাগ করবে, এটা তো আমরা পাহারা দিয়ে রাখা খুব কঠিন কাজ।
বিবিসি আবার জানতে চায়- কিন্তু আজকে ঢাকার সব পত্রিকায় যে সমস্ত ছবি ছাপা হয়েছে, তাতে তো এটা স্পষ্ট যে, যারা হামলা চালিয়েছে, তারা সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনের নেতা। এবং পুলিশের উপস্থিতিতেই এ হামলা হয়েছে। তার মানে সরকার নিজেই এ হামলার পেছনে আছে, এমন কথা তো বলাই যায়।
হাসানুল হক ইনু জবাবে বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা হওয়ার পরেই তো ওনাকে উদ্ধার করে দেয়া হয়েছে। আর কথাটা হচ্ছে যে, সরকার সমর্থকরা যে ক্ষতিগ্রস্ত পার্টি না, কে বললো? তাদের তো আত্মীয়স্বজন পুড়েছে। সুতরাং কোন কর্মীকে আমি আটকাবো? উনি যেখানে এখনও অনুতপ্ত হননি, উনি আগুন-সন্ত্রাসের ব্যাপারে মাফ চাননি, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই উনি এ নির্বাচনে আসলেই উত্তেজনা তৈরি করছেন।
বিবিসির পাল্টা প্রশ্ন- আপনি যে সমস্ত কথাবার্তা বলেছেন, তাতে এটা বললে কি ভুল হবে, এসব হামলার পেছনে সরকারের সরাসরি ইন্ধন আছে?
জবাবে ইনু বলেন- না। এটা সম্পূর্ণ ভুল হবে। এই জন্য যে, ইন্ধন থাকলে তো খালেদা জিয়া ওখান থেকে আর যেতেই পারতেন না। প্রশাসন শক্ত ছিল বলেই, খালেদা জিয়া সেখান থেকে বেরিয়ে আবার তো ভোট প্রচার করেছে। সুতরাং, সরকারের যদি নীতি হতো যে, ওনাকে আমি ভোটে নামতে দিবো না, ফলে ওখানেই তো উনি আটকা পড়ে থাকতেন। এবং ওখান থেকে বের করে নিয়ে আমরা ঘরের ভেতর আটকে রাখতাম। আমরা চাই যে, উনি প্রচার করুক।
বিবিসির প্রশ্ন- তো এ হামলা যারা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কি কোনও ব্যবস্থা আপনারা নেবেন?
জবাবে ইনু বলেন- আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবো অবশ্যই। মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা পুলিশ-প্রশাসনকে বলেছি, মামলা অনুযায়ী গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালান দিতে।
বিবিসি আবার জানতে চায়- এ নির্বাচনে সব দলের প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। অনেকেই আশা করছেন, এ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে সাম্প্রতিক একটি রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, সেটার একটা নিরসন হবে। সে অবস্থায় বিএনপি নেত্রী বাইরে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। তাকে আপনারা এতো ভয় পাচ্ছেন কেন?
জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন- আমি মনে করছি, ওনাকে আমরা ভয় পাচ্ছি না। আমরা কোনও সন্ত্রাসীকে ভয় পাই না। এবং আগুন যুদ্ধের নেত্রীকেও আমরা ভয় পাই না। উনি যাদেরকে সমর্থন করবেন, এবং ওনাকে যারা সমর্থন করবেন, প্রত্যেকেই ভবিষ্যতের একটা পেট্রলবোমা।
No comments