আর চুপ রইবে না নারী
বয়স্ক
এক নারী তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করছিলেন, ‘ওই দিন
সাবসিডিয়ারি পরীক্ষার ফল দেওয়ার কথা। প্রশাসনিক ভবনের বোর্ডে টানানো ফল
দেখতে গেছেন। নিচু হয়ে বোর্ডে ফল দেখতে ঝোঁকার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হলো,
অসংখ্য কালো হাত আমাকে ঘিরে ধরেছে। সেদিনের কথা কাছের কয়েকজন নারীবন্ধুকে
ছাড়া আর কাউকে বলতে পারিনি। গলা ছেড়ে কেঁদেছিলাম, বন্ধুরা বলেছিল, রুমে
যা, কাল দেখা যাবে। সে দেখা আর হলো না।’
এভাবে চুপ করে থাকার কারণেই নারীর এখন এই অবস্থা। তাই আর চুপ করে থাকা নয়। বলতে হবে সেসব নিপীড়নের কথা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে এক গণ নারী জমায়েতে এক নারী এসব কথা বলেন। এ সময় অনেকেই স্মৃতিচারণ করেন। উদ্যোক্তারা সংবাদমাধ্যমে স্মৃতিচারণকারী নারীদের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। বর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিশিষ্ট কয়েকজন নারীর উদ্যোগে এ জমায়েত হয়।
প্রতিবাদী গানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া জমায়েতে উপস্থিত নারীরা বাঁশি বাজানোর অভিনব কর্মসূচির মাধ্যমে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের জানান দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, মুক্তিযোদ্ধা শিরীন বানু মিতিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন ও কাবেরী গায়েন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, শিল্পী কৃষ্ণকলি ইসলাম, অভিনেত্রী বন্যা মির্জা, জ্যোতিকা জ্যোতি প্রমুখ। পরে সেখানে ‘বটতলা’র আয়োজনে যৌন নিপীড়নবিরোধী নাটক প্রদর্শন করা হয়। জমায়েত থেকে প্রতিবছর পয়লা বৈশাখের দিনটিকে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে নারী গণজমায়েতের দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৩ ছাত্রসংগঠনের সংবাদ সম্মেলন: নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় গতকাল মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে ১৩টি ছাত্রসংগঠনের দুটি জোট-প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য। তারা যৌথভাবে ২৬ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদী সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করবে। পরে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়।
মশাল মিছিল, মানববন্ধন: যৌন নিপীড়কদের শাস্তি ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে প্রক্টরের অপসারণসহ ছয় দফা দাবিতে সন্ধ্যায় টিএসসিতে মশাল মিছিল করে ছাত্র ইউনিয়ন। মশাল মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী। সকালে ইডেন কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।
প্রমাণ জমা পড়েনি: নারী লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি ১৬ এপ্রিল প্রামাণিক তথ্য আহ্বান করেছিল। গতকাল ছিল তথ্য জমাদানের শেষ দিন। যোগাযোগ করা হলে কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু কেউ কোনো তথ্য জমা দেয়নি।’ এখন তদন্ত কীভাবে চলবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং করাই তো আমাদের কাজ।’
এভাবে চুপ করে থাকার কারণেই নারীর এখন এই অবস্থা। তাই আর চুপ করে থাকা নয়। বলতে হবে সেসব নিপীড়নের কথা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে এক গণ নারী জমায়েতে এক নারী এসব কথা বলেন। এ সময় অনেকেই স্মৃতিচারণ করেন। উদ্যোক্তারা সংবাদমাধ্যমে স্মৃতিচারণকারী নারীদের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। বর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিশিষ্ট কয়েকজন নারীর উদ্যোগে এ জমায়েত হয়।
প্রতিবাদী গানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া জমায়েতে উপস্থিত নারীরা বাঁশি বাজানোর অভিনব কর্মসূচির মাধ্যমে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের জানান দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, মুক্তিযোদ্ধা শিরীন বানু মিতিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন ও কাবেরী গায়েন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, শিল্পী কৃষ্ণকলি ইসলাম, অভিনেত্রী বন্যা মির্জা, জ্যোতিকা জ্যোতি প্রমুখ। পরে সেখানে ‘বটতলা’র আয়োজনে যৌন নিপীড়নবিরোধী নাটক প্রদর্শন করা হয়। জমায়েত থেকে প্রতিবছর পয়লা বৈশাখের দিনটিকে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে নারী গণজমায়েতের দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৩ ছাত্রসংগঠনের সংবাদ সম্মেলন: নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় গতকাল মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে ১৩টি ছাত্রসংগঠনের দুটি জোট-প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য। তারা যৌথভাবে ২৬ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদী সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করবে। পরে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়।
মশাল মিছিল, মানববন্ধন: যৌন নিপীড়কদের শাস্তি ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে প্রক্টরের অপসারণসহ ছয় দফা দাবিতে সন্ধ্যায় টিএসসিতে মশাল মিছিল করে ছাত্র ইউনিয়ন। মশাল মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী। সকালে ইডেন কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।
প্রমাণ জমা পড়েনি: নারী লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি ১৬ এপ্রিল প্রামাণিক তথ্য আহ্বান করেছিল। গতকাল ছিল তথ্য জমাদানের শেষ দিন। যোগাযোগ করা হলে কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু কেউ কোনো তথ্য জমা দেয়নি।’ এখন তদন্ত কীভাবে চলবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং করাই তো আমাদের কাজ।’
No comments