কারচুপির সুযোগ দিতেই সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন : জামায়াত
জামায়াতে
ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, সরকারি
দল সমর্থিত প্রার্থীদের জোর-জবরদস্তি করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনে
বিজয়ী হওয়ার সুযোগ দেয়ার জন্যই নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে
তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। জনগণ মনে করে সরকারের চাপের কারণেই
নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। জনগণ নির্বাচন কমিশনের এ
ভূমিকায় বিক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। জনগণ মনে করে মেরুদণ্ডহীন এ নির্বাচন
কমিশনের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। তিনটি
সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত
পরিবর্তনকে নজীরবিহীন টালবাহানা আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জানিয়ে আজ এক বিবৃতিতে ডা. শফিক একথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি সর্বজনীন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যেই জনগণ বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে। আর সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা বরাবরই বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। অবশেষে জনগণের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যেই নির্বাচন কমিশন ২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিচারিক ক্ষমতা না দিয়ে শুধুমাত্র স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না যেতেই গত ২৩ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সেনাবাহিনীকে সেনানিবাসে থাকার এবং রিটার্নিং অফিসার তাদের ডাকলে সাড়া দিবে মর্মে বক্তব্য দিয়েছেন। দেশবাসী মনে করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে যে বক্তব্য দিয়ে আসছেন তাই সমর্থন করছে। সরকারি দলের সমর্থিত প্রার্থীদের জোর-জবরদস্তি করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সুযোগ দেয়ার জন্যই নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। নির্বাচন কমিশনের এ ন্যক্কারজনক ভূমিকা ভোটারগণকে হতাশ করেছে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আদৌ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি-না সে ব্যাপারে জনগণ সন্দিহান। নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের নতজানু ভূমিকা কারো কাম্য নয়।
আসন্ন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যেই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে অবিলম্বে সেনা মোতায়েন করার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে মাঠে নেমেছে জঙ্গি স্কোয়াড’ শিরোনামে আজ শুক্রবার প্রকাশিত রিপোর্টে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা’ চালানোর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ আজ এক বিবৃতি দিয়েছেন। এ রিপোর্টে ‘নাশকতার মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ছক তৈরি করে মাঠে নেমেছে জামায়াত-শিবির। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড, পেট্রলবোমা মজুদ গড়ে তুলেছে জামায়াত-শিবির।’ মর্মে যেসব কথা লেখা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। এ রিপোর্ট সম্পর্কে হামিদুর রহমান আযাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো গোটা রিপোর্টটিই অবাস্তব ও কাল্পনিক। এ রিপোর্টে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, বরং ঘৃণা করে থাকে। কাজেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাশকতার মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য ছক তৈরি করা, কিংবা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড, পেট্রলবোমা মজুদ করা এবং সাভারের আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। এভাবে ভিত্তিহীন মিথ্যা কাল্পনিক রিপোর্ট প্রচার করে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি সর্বজনীন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যেই জনগণ বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে। আর সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা বরাবরই বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। অবশেষে জনগণের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যেই নির্বাচন কমিশন ২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিচারিক ক্ষমতা না দিয়ে শুধুমাত্র স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না যেতেই গত ২৩ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সেনাবাহিনীকে সেনানিবাসে থাকার এবং রিটার্নিং অফিসার তাদের ডাকলে সাড়া দিবে মর্মে বক্তব্য দিয়েছেন। দেশবাসী মনে করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে যে বক্তব্য দিয়ে আসছেন তাই সমর্থন করছে। সরকারি দলের সমর্থিত প্রার্থীদের জোর-জবরদস্তি করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সুযোগ দেয়ার জন্যই নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। নির্বাচন কমিশনের এ ন্যক্কারজনক ভূমিকা ভোটারগণকে হতাশ করেছে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আদৌ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি-না সে ব্যাপারে জনগণ সন্দিহান। নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের নতজানু ভূমিকা কারো কাম্য নয়।
আসন্ন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যেই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে অবিলম্বে সেনা মোতায়েন করার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে মাঠে নেমেছে জঙ্গি স্কোয়াড’ শিরোনামে আজ শুক্রবার প্রকাশিত রিপোর্টে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা’ চালানোর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ আজ এক বিবৃতি দিয়েছেন। এ রিপোর্টে ‘নাশকতার মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ছক তৈরি করে মাঠে নেমেছে জামায়াত-শিবির। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড, পেট্রলবোমা মজুদ গড়ে তুলেছে জামায়াত-শিবির।’ মর্মে যেসব কথা লেখা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। এ রিপোর্ট সম্পর্কে হামিদুর রহমান আযাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো গোটা রিপোর্টটিই অবাস্তব ও কাল্পনিক। এ রিপোর্টে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, বরং ঘৃণা করে থাকে। কাজেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাশকতার মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য ছক তৈরি করা, কিংবা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড, পেট্রলবোমা মজুদ করা এবং সাভারের আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। এভাবে ভিত্তিহীন মিথ্যা কাল্পনিক রিপোর্ট প্রচার করে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
No comments