দোষীরা চিহ্নিত তবুও গ্রেফতার হচ্ছে না
বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে তিন দফা হামলার ঘটনায় বিএনপি দুটি মামলা
করেছে। একটি ২০ এপ্রিল কারওয়ান বাজারে ও অপরটি ২২ এপ্রিল বাংলামোটরে
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায়। একই ঘটনায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের
পক্ষ থেকেও দুটি মামলা হয়েছে। এসব হামলার ঘটনায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের
ব্যবহারও হয়েছে। বহরে থাকা গাড়ি ছাড়াও পুলিশের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসনের
গাড়িতে এবং তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যদের (সিএসএফ) ওপর হামলা
হয়েছে। এসব হামলাকারীদের অনেকের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি
অস্ত্রের ছবিসহ হামলাকারীর ছবিও প্রকাশ হয়েছে। অথচ গত কয়েকদিনে তাদের
একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়ে গতানুগতিক ভাষায়
পুলিশ বলছে- ‘তদন্ত শুরু হয়েছে, আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। শনাক্ত
করার পর দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়ার সময় গত
কয়েকদিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে একের পর এক হামলার
বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম সরকার
যুগান্তরকে বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) অনিরাপদবোধ করলে পুলিশের কাছে
নিরাপত্তা চাইতে পারেন। হামলার বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। পুনরায় এ
ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উত্তরে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণে মির্জা আব্বাসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নেমেছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি গণসংযোগ চালাচ্ছেন। বিলি করছেন লিফলেট। চাচ্ছেন ভোট। ২০ এপ্রিল বিকালে খালেদা জিয়া গাড়িবহর নিয়ে তাবিথ আউয়ালের পক্ষে কারওয়ান বাজারে নির্বাচনী প্রচার চালান। এ সময় সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা ওই গাড়িবহরে হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় তেজগাঁও থানায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি মামলা করে। হামলাকারীদের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ভিডিও ফুটেজ ও পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিগুলোতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে হামলাকারী কারা? তাদের পরিচয় কী? হামলাকারীরা চিহ্নিত হলেও পুলিশ তাদের শনাক্ত করতে পারছে না। ঘটনার ৪ দিনে একজন হামলাকারীও গ্রেফতার হয়নি। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই মুনসুর হোসেন মানিক যুগান্তরকে বলেন, ‘হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এখনও কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।’ হামলাকারীদের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং তাদের অনেকের দলীয় পরিচয়ও রয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘পেপার কার্টিং ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছি, কিছু ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে।’ তিনি বলেন, ‘কারওয়ান বাজারে তো অনেক লোকজন, তাই হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পারছি না। যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি।’ জানা যায়, ওই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিএনপির অজ্ঞাতনামা ১০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে তেজগাঁও থানায় মামলা করেছে। এই মামলাটির কোনো আসামি শনাক্ত হয়নি।
বুধবার বিকালে খালেদা জিয়া গাড়িবহর নিয়ে দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাতে যাচ্ছিলেন। বাংলামোটরের সিগন্যালে গাড়িবহর আটকা পড়লে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪০-৫০ জন অস্ত্র নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালায়। এতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। এই ঘটনায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম রমনা থানায় মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ২৯। খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের পক্ষেও একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ২৮। ২০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক বাবু হাসান এজাহারে উল্লেখ করেন- ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নিয়ে তিনি মেয়র প্রার্র্থী সাঈদ খোকনের নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সোনারগাঁও ক্রসিং হয়ে বাংলামোটরের দিকে গেলে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর তাদের ওপর উঠিয়ে দেয়। এতে দুই কর্মী মারাত্মক আহত হন। এ বিষয়ে তারা প্রতিবাদ করতে গেলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীসহ (সিএসএফ) বিএনপির অজ্ঞাত ২০-২৫ জন নেতাকর্মী তাদের মারধর করেন। বুধবার রাতে বিএনপি ও ছাত্রলীগের পক্ষে পৃথক এ দুটি লিখিত অভিযোগ রমনা থানায় দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মামলা দুটি রেকর্ড করা হয়।
এদিকে বুধবার বিকালে হামলার ঘটনায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে হামলাকারীদের ছবি দেখানো হয়। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পত্রিকায়ও তাদের ছবি প্রকাশ হয়। ছবিতে হামলাকারীদের একজনের কোমরে অস্ত্র গোঁজা অবস্থায় দেখা গেছে। ওই সশস্ত্র অস্ত্রধারীকে পুলিশের বাধা দেয়ার দৃশ্যও রয়েছে। অস্ত্রসহ হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ হওয়ার পরও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি।
এ ব্যাপারে রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া যুগান্তরকে বলেন, বারবার খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার দায় সরকারের। সরকারদলীয় লোকজন হামলা চালিয়ে আবার মামলাও করছে। এটা সরকারের ষড়যন্ত্র। আসামিরা চিহ্নিত হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতারে কোনো ভূমিকা রাখছে না।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উত্তরে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণে মির্জা আব্বাসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নেমেছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি গণসংযোগ চালাচ্ছেন। বিলি করছেন লিফলেট। চাচ্ছেন ভোট। ২০ এপ্রিল বিকালে খালেদা জিয়া গাড়িবহর নিয়ে তাবিথ আউয়ালের পক্ষে কারওয়ান বাজারে নির্বাচনী প্রচার চালান। এ সময় সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা ওই গাড়িবহরে হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় তেজগাঁও থানায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি মামলা করে। হামলাকারীদের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ভিডিও ফুটেজ ও পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিগুলোতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে হামলাকারী কারা? তাদের পরিচয় কী? হামলাকারীরা চিহ্নিত হলেও পুলিশ তাদের শনাক্ত করতে পারছে না। ঘটনার ৪ দিনে একজন হামলাকারীও গ্রেফতার হয়নি। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই মুনসুর হোসেন মানিক যুগান্তরকে বলেন, ‘হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এখনও কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।’ হামলাকারীদের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং তাদের অনেকের দলীয় পরিচয়ও রয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘পেপার কার্টিং ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছি, কিছু ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে।’ তিনি বলেন, ‘কারওয়ান বাজারে তো অনেক লোকজন, তাই হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পারছি না। যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি।’ জানা যায়, ওই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিএনপির অজ্ঞাতনামা ১০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে তেজগাঁও থানায় মামলা করেছে। এই মামলাটির কোনো আসামি শনাক্ত হয়নি।
বুধবার বিকালে খালেদা জিয়া গাড়িবহর নিয়ে দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাতে যাচ্ছিলেন। বাংলামোটরের সিগন্যালে গাড়িবহর আটকা পড়লে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪০-৫০ জন অস্ত্র নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালায়। এতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। এই ঘটনায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম রমনা থানায় মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ২৯। খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের পক্ষেও একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ২৮। ২০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক বাবু হাসান এজাহারে উল্লেখ করেন- ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নিয়ে তিনি মেয়র প্রার্র্থী সাঈদ খোকনের নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সোনারগাঁও ক্রসিং হয়ে বাংলামোটরের দিকে গেলে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর তাদের ওপর উঠিয়ে দেয়। এতে দুই কর্মী মারাত্মক আহত হন। এ বিষয়ে তারা প্রতিবাদ করতে গেলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীসহ (সিএসএফ) বিএনপির অজ্ঞাত ২০-২৫ জন নেতাকর্মী তাদের মারধর করেন। বুধবার রাতে বিএনপি ও ছাত্রলীগের পক্ষে পৃথক এ দুটি লিখিত অভিযোগ রমনা থানায় দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মামলা দুটি রেকর্ড করা হয়।
এদিকে বুধবার বিকালে হামলার ঘটনায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে হামলাকারীদের ছবি দেখানো হয়। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পত্রিকায়ও তাদের ছবি প্রকাশ হয়। ছবিতে হামলাকারীদের একজনের কোমরে অস্ত্র গোঁজা অবস্থায় দেখা গেছে। ওই সশস্ত্র অস্ত্রধারীকে পুলিশের বাধা দেয়ার দৃশ্যও রয়েছে। অস্ত্রসহ হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ হওয়ার পরও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি।
এ ব্যাপারে রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া যুগান্তরকে বলেন, বারবার খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার দায় সরকারের। সরকারদলীয় লোকজন হামলা চালিয়ে আবার মামলাও করছে। এটা সরকারের ষড়যন্ত্র। আসামিরা চিহ্নিত হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতারে কোনো ভূমিকা রাখছে না।
No comments