ওরা কারা?
শুরু
থেকে ডাকাতেরা অনেক আক্রমণাত্মক ছিল। পালানোর পথে এরা শুধু এলোপাতাড়ি
গুলি, বোমার বিস্ফোরণই ঘটায়নি। ছুরি চালিয়েও অনেককে হতাহত করেছে।
পুলিশ বলছে, আশুলিয়ার কাঠগড়ায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ডাকাতদের আক্রমণের ধরন বলছে, এরা ‘অন্য রকম’। এদের ব্যবহৃত অস্ত্রের মধ্যে ছিল ছুরি, চাপাতি এবং হাতে তৈরি গ্রেনেড। এরা কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, ব্যাংকের ভেতরে সিসিটিভি থাকা সত্ত্বেও ডাকাতেরা কেউই মুখ ঢাকেনি। তাদের ব্যাগে মাংকি টুপি পাওয়া গেছে। সেগুলো তারা ব্যবহার করেনি। পুলিশ সিসিটিভির ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ধরা পড়া দুই ডাকাতের গ্রামের বাড়িতে খবর নিয়ে তাদের পরিবারের বিষয়ে কিছু তথ্য মিলেছে। ১৫-২০ দিন আগে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় তারা বাসা ভাড়া নেয়।
ব্যাংক ডাকাতির জন্য তারা এখানে বাসা ভাড়া নিয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। তাদের ব্যবহৃত বোমাগুলোর কয়েকটিতে ব্যাটারি সংযোগ দেওয়া ছিল। এগুলো টাইমবোমা বলে মনে হয়েছে। এ ছাড়া তারা দেশে তৈরি গ্রেনেডও ব্যবহার করেছে।
পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, এই ধরনের গ্রেনেড ও বোমাগুলো ব্যবহার করার আগে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য কী, ডাকাতদের সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, ডাকাতির আগে এলাকা সম্পর্কে ভালোভাবে তথ্য নিয়েছে তারা। পুলিশ বলছে, ব্যাংকের ভল্টের চাবি না পাওয়ায় ডাকাতেরা শুধু ক্যাশে থাকা টাকা নিয়েই পালিয়েছে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভল্টের টাকা। সাধারণ ডাকাতেরা এ রকম একটা জায়গায় দিনের বেলায় ডাকাতির চেষ্টা করবে, এটা ভাবা যায় না।
পা হারাতে হলো শরিফুলের ডাকাতদের বোমার আঘাতে সবজি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের বাঁ পা ছিন্নভিন্ন। বাঁ পায়ের পাতাও কেটে ফেলেছেন চিকিৎসকেরা। ডান পায়ের আঘাতও গুরুতর। সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শফিকুলকে। পা হারিয়ে তাঁর চিন্তা, কীভাবে চলবে বাকি জীবন।
শফিকুল বলেন, তিনি চুল কাটাতে যাচ্ছিলেন। ডাকাতের কথা শুনে মসজিদের কাছে এগিয়ে গেলে দেখেন, একজন অস্ত্র উঁচিয়ে বলছে, ‘আসলেই গুলি করব। কেউ আগাবি না।’ এর পরই একজন তাঁর পায়ের কাছে বোমা মারে।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই ডাকাতসহ গতকাল রাতে ১৬ জন চিকিৎসাধীন ছিল। গুলি-বোমায় এরা সবাই আহত হয়েছে।
এনাম হাসপাতালে ভর্তি ঝালমুড়ি বিক্রেতা নুরুল ইসলাম। ব্যাংকের সিঁড়ির নিচেই পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তিনি। ডাকাতদের ধরার চেষ্টাও করেননি তিনি। তবু পালানোর সময় প্রায় ৬০ বছর বয়সী এই ব্যক্তির পেটে ছুরিকাঘাত করে এক ডাকাত। নুরুল বলেন, ‘আমি বাবা বুড়া মানুষ। আমি ডাকাত ধরতেও যাইনি। পালানোর সুমায় হ্যারা আমার প্যাটে ছুরি মাইরা গেলোগা।’
ভ্যানগাড়ির চালক ৫০ বছরের রমজান আলী বলেন, ‘ডাকাত ডাকাত’ চিৎকার শুনে তিনি ব্যাংকের উল্টো দিকে মসজিদের কোনায় এসে দাঁড়ানো মাত্রই একটি বোমা ছুড়ে দেয় ডাকাতেরা। বোমার বিস্ফোরণে ঊরু ও হাতে গুরুতর আঘাত পান তিনি।
গাড়ি নিয়ে ধাওয়া: ডাকাতদের ধরতে নিজের গাড়ি নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন রনি দেওয়ান। তিনি বলেন, তিনি কাঠগড়ার বাসার সামনে নিজের গাড়িতে বসে ছিলেন। মাইকে ডাকাত ডাকাত চিৎকার শুনে চাচাতো ভাই সোহেল ও নয়নকে নিয়ে বাজারের দিকে আসেন। এ সময় সবাই চিৎকার করছিল, ‘ওই যে ডাকাত গেল।’ তাঁরা দেখেন একটি বাজাজ ডিসকোভার মোটরসাইকেলে (ঢাকা মেট্রো হ ৪১-৬৬৭৬) দ্রুতগতিতে তিনজন পালিয়ে যাচ্ছে। তিনি গাড়ি নিয়ে ওই মোটরসাইকেলের পিছু ধাওয়া করেন। এই অবস্থায় প্রায় দেড় কিলোমিটার ধাওয়া করে পেছনে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলটি ছিটকে পড়ে। তিনি গাড়ি থামাতে না থামাতেই ডাকাতেরা একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী দুজন দৌড়ে পালাতে থাকেন। রনির গাড়িতে থাকা দুজন তাদের ধাওয়া করেন। রনি বের হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে যাওয়া একজনকে ধরেও ফেলেন। তাদের ব্যাগে বেশ কিছু টাকাও পাওয়া যায়।
আমতলা বাজারের লোকজন ওই ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দেন। সেখানকার ব্যবসায়ী মো. আমিনুল বলেন, সেই ডাকাত প্যান্টের নিচে ফুটবল খেলার অ্যাঙ্কেলেট পরে ছিলেন। সম্ভবত সম্ভাব্য মার বা হামলা এড়াতে এ প্রস্তুতি। এ ছাড়া তাদের ব্যাগ থেকে আরও কয়েকটি গ্রেনেড ও একটি মুখ ঢাকার টুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, আশুলিয়ার কাঠগড়ায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ডাকাতদের আক্রমণের ধরন বলছে, এরা ‘অন্য রকম’। এদের ব্যবহৃত অস্ত্রের মধ্যে ছিল ছুরি, চাপাতি এবং হাতে তৈরি গ্রেনেড। এরা কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, ব্যাংকের ভেতরে সিসিটিভি থাকা সত্ত্বেও ডাকাতেরা কেউই মুখ ঢাকেনি। তাদের ব্যাগে মাংকি টুপি পাওয়া গেছে। সেগুলো তারা ব্যবহার করেনি। পুলিশ সিসিটিভির ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ধরা পড়া দুই ডাকাতের গ্রামের বাড়িতে খবর নিয়ে তাদের পরিবারের বিষয়ে কিছু তথ্য মিলেছে। ১৫-২০ দিন আগে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় তারা বাসা ভাড়া নেয়।
ব্যাংক ডাকাতির জন্য তারা এখানে বাসা ভাড়া নিয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। তাদের ব্যবহৃত বোমাগুলোর কয়েকটিতে ব্যাটারি সংযোগ দেওয়া ছিল। এগুলো টাইমবোমা বলে মনে হয়েছে। এ ছাড়া তারা দেশে তৈরি গ্রেনেডও ব্যবহার করেছে।
পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, এই ধরনের গ্রেনেড ও বোমাগুলো ব্যবহার করার আগে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য কী, ডাকাতদের সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, ডাকাতির আগে এলাকা সম্পর্কে ভালোভাবে তথ্য নিয়েছে তারা। পুলিশ বলছে, ব্যাংকের ভল্টের চাবি না পাওয়ায় ডাকাতেরা শুধু ক্যাশে থাকা টাকা নিয়েই পালিয়েছে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভল্টের টাকা। সাধারণ ডাকাতেরা এ রকম একটা জায়গায় দিনের বেলায় ডাকাতির চেষ্টা করবে, এটা ভাবা যায় না।
পা হারাতে হলো শরিফুলের ডাকাতদের বোমার আঘাতে সবজি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের বাঁ পা ছিন্নভিন্ন। বাঁ পায়ের পাতাও কেটে ফেলেছেন চিকিৎসকেরা। ডান পায়ের আঘাতও গুরুতর। সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শফিকুলকে। পা হারিয়ে তাঁর চিন্তা, কীভাবে চলবে বাকি জীবন।
শফিকুল বলেন, তিনি চুল কাটাতে যাচ্ছিলেন। ডাকাতের কথা শুনে মসজিদের কাছে এগিয়ে গেলে দেখেন, একজন অস্ত্র উঁচিয়ে বলছে, ‘আসলেই গুলি করব। কেউ আগাবি না।’ এর পরই একজন তাঁর পায়ের কাছে বোমা মারে।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই ডাকাতসহ গতকাল রাতে ১৬ জন চিকিৎসাধীন ছিল। গুলি-বোমায় এরা সবাই আহত হয়েছে।
এনাম হাসপাতালে ভর্তি ঝালমুড়ি বিক্রেতা নুরুল ইসলাম। ব্যাংকের সিঁড়ির নিচেই পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তিনি। ডাকাতদের ধরার চেষ্টাও করেননি তিনি। তবু পালানোর সময় প্রায় ৬০ বছর বয়সী এই ব্যক্তির পেটে ছুরিকাঘাত করে এক ডাকাত। নুরুল বলেন, ‘আমি বাবা বুড়া মানুষ। আমি ডাকাত ধরতেও যাইনি। পালানোর সুমায় হ্যারা আমার প্যাটে ছুরি মাইরা গেলোগা।’
ভ্যানগাড়ির চালক ৫০ বছরের রমজান আলী বলেন, ‘ডাকাত ডাকাত’ চিৎকার শুনে তিনি ব্যাংকের উল্টো দিকে মসজিদের কোনায় এসে দাঁড়ানো মাত্রই একটি বোমা ছুড়ে দেয় ডাকাতেরা। বোমার বিস্ফোরণে ঊরু ও হাতে গুরুতর আঘাত পান তিনি।
গাড়ি নিয়ে ধাওয়া: ডাকাতদের ধরতে নিজের গাড়ি নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন রনি দেওয়ান। তিনি বলেন, তিনি কাঠগড়ার বাসার সামনে নিজের গাড়িতে বসে ছিলেন। মাইকে ডাকাত ডাকাত চিৎকার শুনে চাচাতো ভাই সোহেল ও নয়নকে নিয়ে বাজারের দিকে আসেন। এ সময় সবাই চিৎকার করছিল, ‘ওই যে ডাকাত গেল।’ তাঁরা দেখেন একটি বাজাজ ডিসকোভার মোটরসাইকেলে (ঢাকা মেট্রো হ ৪১-৬৬৭৬) দ্রুতগতিতে তিনজন পালিয়ে যাচ্ছে। তিনি গাড়ি নিয়ে ওই মোটরসাইকেলের পিছু ধাওয়া করেন। এই অবস্থায় প্রায় দেড় কিলোমিটার ধাওয়া করে পেছনে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলটি ছিটকে পড়ে। তিনি গাড়ি থামাতে না থামাতেই ডাকাতেরা একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী দুজন দৌড়ে পালাতে থাকেন। রনির গাড়িতে থাকা দুজন তাদের ধাওয়া করেন। রনি বের হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে যাওয়া একজনকে ধরেও ফেলেন। তাদের ব্যাগে বেশ কিছু টাকাও পাওয়া যায়।
আমতলা বাজারের লোকজন ওই ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দেন। সেখানকার ব্যবসায়ী মো. আমিনুল বলেন, সেই ডাকাত প্যান্টের নিচে ফুটবল খেলার অ্যাঙ্কেলেট পরে ছিলেন। সম্ভবত সম্ভাব্য মার বা হামলা এড়াতে এ প্রস্তুতি। এ ছাড়া তাদের ব্যাগ থেকে আরও কয়েকটি গ্রেনেড ও একটি মুখ ঢাকার টুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments